পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করবে গুগল
গুগল তাদের ডেটা সেন্টার এবং এআই প্রযুক্তি পরিচালনার জন্য প্রচুর শক্তি ব্যবহার করে। এই শক্তি আসে বিদ্যুৎ থেকে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ তৈরি করতে তেল, কয়লার মতো জ্বালানী ব্যবহার করা হয়। এজন্য প্রচুর কার্বণ নিঃসরণ হয়।
পরিবেশের জন্য যা ভয়ানক ক্ষতিকর।
কার্বন নিঃসরণ করতে তারা পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের কথা ভাবছে এই টেক জায়ান্ট। এজন্য গুগলল একটি নতুন চুক্তি করেছে। তারা এখন ক্যালিফোর্নিয়ার কাইরোস পাওয়ার নামের একটি থেকে ছোট পারমাণবিক চুল্লি থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ কিনবে।
এই ধরনের পারমাণবিক শক্তি গুগলকে নির্ভরযোগ্য এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সহায়তা করবে। ২০৩০ সালের মধ্যে গুগলের প্রথম ধাপের চুল্লিগুলি তৈরি হবে এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে পরবর্তী ধাপের চুল্লিগুলি চালু হবে।
গুগলের মতে, পারমাণবিক শক্তি তাদের ২৪ ঘণ্টা পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম। ফলে তাদের ডেটা সেন্টারগুলোর বিশাল বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ক্লাউড প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান চাহিদার জন্য প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রয়োজন। সেই চাহিদা পূরণ করতে অনেক প্রযুক্তি কোম্পানি পরিবেশবান্ধব উৎসের দিকে ঝুঁকছে।
গুগল নুতন চুক্তির আওতায় কাইরোস থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। গুগলের এনার্জি বিভাগের সিনিয়র ডিরেক্টর মাইকেল টেরেল বলেছেন, ‘আমাদের এআই প্রযুক্তির জন্য নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে নতুন উৎস প্রয়োজন, যা বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
তবে, ছোট চুল্লি বা এসএমআর প্রযুক্তি নিয়ে কিছু সমালোচনা রয়েছে।
অনেকে মনে করেন, এসএমআরগুলো ব্যয়বহুল হতে পারে এবং বড় চুল্লিগুলোর মতো একই পরিমাণ শক্তি উৎপাদন করতে পারবে না। তবু অনেক দেশে, যেমন যুক্তরাজ্যে, এসএমআর প্রযুক্তি উন্নয়নের জন্য সরকারি সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
এই চুক্তি তাদের শক্তির ব্যবহারে আরও উন্নত এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ বলে মনে করছেন গুগলের কর্তাব্যক্তিরা।