USA

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যত খুঁটিনাটি, বাজছে লড়াইয়ের রণবাদ্য

আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সরাসরি ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই নির্বাচন সবচেয়ে বেশি ভোটপাওয়া প্রার্থীকে জয়ের নিশ্চয়তা দেয় না। কারণ, সরাসরি ভোটারদের দ্বারা নয়, ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়। 

এবারের নির্বাচনে এত ভুল করার পরও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা টলেনি বললেই চলে। অন্যদিকে নির্বাচনি প্রচরণায় এ পর্যন্ত বড় ধরণের কোনো ভুল না করলেও হ্যারিস তার জনপ্রিয়তা খুব একটা বাড়াতে পারেননি। তবু এখন পর্যন্ত আসন্ন নির্বাচনের ফলাফল অনুমান করা দুরূহ, অন্তত জনমত জরিপগুলো থেকে নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের রণবাদ্য বাজছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন এই নির্বাচনকে ঘিরে সারা বিশ্বেই নির্বাচনী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সবাই তাকিয়ে রয়েছে নির্বাচনের ফলাফলের দিকে। কারণ, এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই বিশ্ব রাজনীতির নানা খেলা চলে। ভবিষ্যতে কি হতে যাচ্ছে তার জল্পনা-কল্পনা চলছে এই নির্বাচনকে ঘিরে। তবে এই নির্বাচনের পদ্ধতি এতোটাই জটিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু নাগরিকও এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা রাখে না। প্রতিবেদনে নির্বাচনের নানা খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করা হলো-

নির্বাচন কবে হয়

প্রতি চার বছর পর পর যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পর যে মঙ্গলবার পড়ে, সেদিনই ভোটগ্রহণ হয়। সেই হিসাবে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের ৫ তারিখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।

যেভাবে কাজ করে ইলেক্টোরাল কলেজ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট দেশটির নাগরিকদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন না। ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ নামে পরিচিত একদল কর্মকর্তার পরোক্ষ ভোটেই নির্বাচিত হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ ক্ষেত্রে ‘কলেজ’ শব্দটি বলতে একদল লোককে বোঝায়, যারা নির্বাচকের (ইলেকটর) ভূমিকা পালন করেন। এই নির্বাচকমণ্ডলীর কাজ হলো প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা। সাধারণ নাগরিকরা ইলেকটরদের নির্বাচন করে। এই পদ্ধতির কারণে কোন প্রার্থী জনগণের কাছে বেশি ভোট পেয়েও প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসতে পারেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের মোট আসন সংখ্যা ৫৩৮টি। এই নির্বাচনে বিজয়ী হতে হলে কমপক্ষে ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়। প্রতিটি রাজ্যের জন্য ইলেকটোরাল আসন সংখ্যা রাজ্যটির জন্য বরাদ্দকৃত সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদের মোট আসন সংখ্যার সমান। অর্থাৎ, কোনো একটি অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদে যতগুলো আসন আছে, তার সাথে অঙ্গরাজ্যটির জন্য বরাদ্দ থাকা দুটি সিনেট আসন যোগ করে ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা পাওয়া যায়। তবে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়াকে আলাদাভাবে সম্মানসূচকভাবে তিনটি ইলেকটোরাল ভোট বরাদ্দ করা হয়েছে।
 
নির্বাচনে প্রভাবশালী দল কারা

মার্কিন রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রভাবশালী দল মাত্র দুটি-রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টি। সাধারণত এই দুই দলের যেকোনো একটি দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। অবশ্য ছোট ছোট কিছু রাজনৈতিক দল যেমন লিবার্টারিয়ান, গ্রিন, ইন্ডিপেনডেন্ট পার্টি–তারাও কখনও কখনও প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী মনোনয়ন ঘোষণা করে। রিপাবলিকান পার্টি একটি রক্ষণশীল দল হিসেবে পরিচিত। এ দলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন আব্রাহাম লিঙ্কন, জর্জ ডাব্লিও বুশ ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে ডেমোক্রেটিক দল তুলনামূলকভাবে উদারনৈতিক রাজনৈতিক দল। দলটি থেকে উল্লেখযোগ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন এফ কেনেডি, বিল ক্লিনটন, বারাক ওবামা এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

 ‘উইনার টেক অল’ পদ্ধতি কী, কেন বিতর্কিত?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা পদ্ধতি দুটি। একটি হলো মাথাপিছু ভোট, যাকে বলে পপুলার ভোট। অপরটি হলো অঙ্গরাজ্যভিত্তিক ইলেকটোরাল কলেজ ভোট। মার্কিন গণতন্ত্রে পপুলার ভোটের চেয়ে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট অনেক বেশি ক্ষমতাশালী। একজন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সর্বাধিক পপুলার ভোট অর্জন করলেও তা তাকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার নিশ্চয়তা দেয় না। কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট (২৭০) অর্জন করতে সক্ষম হলেই প্রেসিডেন্ট হওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। যে রাজ্যের জনসংখ্যা যত বেশি তাদের ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যাও তত বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল রাষ্ট্র হল ক্যালিফোর্নিয়া। তাই এ রাজ্যে সর্বোচ্চ ৫৫টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। ইলেকটোরাল ভোটের সবচেয়ে বিতর্কিত একটি বিষয় হল ‘উইনার টেক অল’ পদ্ধতি। এর অর্থ হলো, জয়ী প্রার্থীকে সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট দিয়ে দেওয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের  ডেমোক্রেটিক পার্টি পেয়েছে ৩০ টি ভোট এবং রিপাবলিকান পার্টি পেয়েছে ২৫টি ভোট। যেহেতু ডেমোক্রেটিকরা বেশি ভোট পেয়েছে তাখন ধরে নেওয়া হবে শুধু ৩০টি ভোট নয় ৫৫টি ভোটই ডেমোক্রেটিকরা পেয়েছে। একেই বলা হয় ‘উইনার টেক অল’ পদ্ধতি। উইনার টেক অল পদ্ধতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলেকটোরাল কলেজের বিষয়টি বেশ বিতর্কিত। 

২০০০ সালে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী আল গোর ওই সময়ে সর্বাধিক পপুলার ভোট পেয়েও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। কারণ, তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের জর্জ বুশ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছিলেন ২৭১টি। আর এতেই তিনি আল গোরকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন। একই ঘটনা ঘটে হিলারি ক্লিনটনের বেলায় ২০১৬ সালে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে প্রায় ২ শতাংশ ভোট বেশি পেলেও ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে পিছিয়ে পড়েছিলেন হিলারি। ট্রাম্প পেয়েছিলেন ৩০৪টি ইলেকটোরাল ভোট, আর হিলারি পেয়েছিলেন ২২৭টি। ফলে প্রেসিডেন্ট হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

কোন অঙ্গরাজ্যে কতটি ইলেক্টোরাল ভোট

বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ায় ৫৫টি, টেক্সাসে ৩৮টি, ফ্লোরিডায় ২৯টি, নিউইয়র্কে ২৯টি, পেনসিলভানিয়ায় ২০টি, ইলিনয়ে ২০টি, ওহাইওতে ১৮টি, জর্জিয়ায় ১৬টি, মিশিগানে ১৬টি, নর্থ ক্যারোলাইনায় ১৫টি, নিউজার্সিতে ১৪টি, ভার্জিনিয়ায় ১৩টি, ওয়াশিংটন ডিসিতে ১২টি, ইন্ডিয়ানায় ১১টি, টেনেসিতে ১১টি, অ্যারিজোনায় ১১টি, ম্যাসাচুসেটসে ১১টি, মিনেসোটায় ১০টি, উইসকনসিনে ১০টি, মিসৌরিতে ১০টি, ম্যারিল্যান্ডে ১০টি, সাউথ ক্যারোলাইনায় ৯টি, কলোরাডোয় ৯টি, আলাবামায় ৯টি, কেন্টাকিতে আটটি, লুইজিয়ানায় আটটি, ওরিগনে সাতটি, কানেকটিকাটে সাতটি, ওকলাহোমায় সাতটি, কানসাসে ছয়টি, আইওয়াতে ছয়টি, আরকানসাসে ছয়টি, নেভাদায় ছয়টি, ইউটায় ছয়টি, মিসিসিপিতে ছয়টি, নেব্রাস্কায় পাঁচটি, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় পাঁচটি, নিউ মেক্সিকোতে পাঁচটি, আইডাহোতে চারটি, রোড আইল্যান্ডে চারটি, হাওয়াইতে চারটি, নিউ হ্যাম্পশায়ারে চারটি, মন্টানায় তিনটি, নর্থ ডাকোটায় তিনটি, ভারমন্টে তিনটি, মেইনে চারটি, ডেলাওয়ারে তিনটি, ওয়াইওমিংয়ে তিনটি, সাউথ ডাকোটায় তিনটি, আলাস্কায় তিনটি এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়াতে তিনটি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদী ‘ইলেকশন ইয়ার’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পদ্ধতি যেমন জটিল তেমনিভাবে এটি বেশ দীর্ঘমেয়াদী একটি প্রক্রিয়া। প্রায় বছরব্যাপী নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলমান থাকে বলে যে বছর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সে বছরকে বলা হয় ‘ইলেকশন ইয়ার’। একটি ইলেকশন ইয়ারের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক দল গুলো তাদের প্রার্থী বাছাই করার কাজ শুরু করে। এরপর প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে প্রধানতম প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজেদের মধ্যে বিতর্ক করার মাধ্যমে ভোটারদেরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে থাকে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের স্পন্সরশিপে আয়োজিত এসব বিতর্ক যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখে। 

নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান কী বলছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। এত জটিল প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে জানার পর একটি প্রশ্ন স্বভাবতই মনে হতে পারে–যদি জনসমর্থনের ওপরই নির্বাচকমণ্ডলীর বা ইলেকটরদের নির্ভর করতে হয়, তাহলে এত প্যাঁচালো প্রক্রিয়ায় নির্বাচকমণ্ডলী দিয়ে পরোক্ষ নির্বাচন করানো কেন? তার চেয়ে বরং সরাসরি জনগণের ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করলে হয় না? 

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে। ১৭৭৬ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়, তখন সেটি একক কোনো দেশ ছিল না। তখনকার যুক্তরাষ্ট্র ছিল অনেক স্বাধীন অঙ্গরাজ্যের একটি সমন্বিত  জোট। যে কারণে এখনো দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের আইন পরস্পরের চেয়ে আলাদা ও বৈচিত্র্যপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের গোড়াপত্তনের সময় নিউজার্সির মতো ছোট অঙ্গরাজ্যগুলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভার্জিনিয়া কিংবা নিউইয়র্কের মতো জনবহুল অঙ্গরাজ্যগুলোর একচ্ছত্র আধিপত্যের আশঙ্কায় প্রচলিত প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের পথে যেতে চায়নি। তাই জাতীয় নির্বাচনে ছোট-বড় সব অঙ্গরাজ্যের মতামতের প্রতিফলন ঘটাতেই ইলেকটোরাল কলেজ ব্যবস্থার জন্ম। এ ছাড়া সাধারণ জনগণ সরাসরি ভোট দিলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে এবং মানের চেয়ে সংখ্যার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়ে যেতে পারে–এসব আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানপ্রণেতারা প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের বদলে পরোক্ষ গণতন্ত্রকেই বেছে নিয়েছিলেন।

‘সুইং স্টেট’ কী, নির্বাচনে এগুলির প্রভাব কী?

বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই রাজ্যগুলো ‘রেড স্টেট’ এবং ডেমোক্র্যাটপ্রধান রাজ্যগুলো ‘ব্লু স্টেট’ হিসেবে পরিচিত। এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের চিন্তা করতে হয় না।

কিন্তু হাতেগোণা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে, যে রাজ্যগুলোর ভোট যে কোনো শিবিরে যেতে পারে। এসব রাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এজন্য এসব রাজ্যকে ‘সুইং স্টেট’ বা ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ বলা হয়।

এগুলোই হল আমেরিকার নির্বাচনী রণক্ষেত্র। এগুলো ‘পার্পল স্টেট’ হিসেবে চিহ্নিত। এসব রাজ্যে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। তাই প্রার্থীদের কাছে এসব অঙ্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এ রাজ্যগুলোর ভোটই শেষ পর্যন্ত জয়-পরাজয়ের চাবিকাঠি হয়ে দাঁড়ায়।

২০১৬ সালে ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট’ হয়ে উঠেছিল অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য। 

যেসব রাজ্যের ভোট বেশি, প্রার্থীরা সেসব রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারণার পেছনে অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন।

ইলেক্টোরাল কলেজের সুবিধা-অসুবিধা

সুবিধা:
• ছোট অঙ্গরাজ্যগুলি প্রার্থীদের কাছে গুরুত্ব পায়। • প্রার্থীদের গোটা দেশ ঘোরার দরকার হয় না, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলির প্রতি নজর দিলেই চলে। • কর্মকর্তারা একটি অঙ্গরাজ্যের সমস্যা সহজে চিহ্নিত করতে পারেন, ফলে পুনর্গণনা সহজ হয়।

অসুবিধা:
• সাধারণ মানুষের ভোটে জয়ী প্রার্থীও নির্বাচনে হেরে জেতে পারেন। • ভোটারদের একাংশের মনে হয়, তাঁদের ব্যক্তিগত ভোটের কোনো মূল্য নেই। • কথিত ‘সুইং স্টেট’গুলির হাতে অত্যধিক ক্ষমতা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button