শ্বাস নিতে পারছিলাম না, বুক ধড়ফড় করছিল: আলোকচিত্রীর মুখে তুষার চিতার মুখোমুখি হওয়ার গল্প
ওই দিনের কথা স্মরণ করে লিও জানান, তিনি তুষার চিতার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ব্যবধান ছিল মাত্র আট মিটার দূরত্বের।
আন্তর্জাতিক তুষার চিতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোকচিত্রী লিও জিয়াওইয়ুন চীনে তার নিজের তোলা তুষার চিতার কিছু ছবি ও প্রাণীটির খুব কাছাকাছি যাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। তিনি প্রাণীটির এতটাই কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন যে তিনি স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস পর্যন্ত নিতে পারছিলেন না। এমনকি তার বুক ধড়ফড় করছিল।
ওই দিনের কথা স্মরণ করে লিও জানান, তিনি তুষার চিতার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ব্যবধান ছিল মাত্র আট মিটার দূরত্বের।
ছবি: লিও জিয়াওইয়ুন
তিনি বলেন, ‘তুষার চিতারা খুবই হিংস্র ও দ্রুতগতিতে ছুটতে পারে। এরা শিকারেও অত্যন্ত দক্ষ। আমি প্রাণীগুলোকে ইয়াক শিকার করতে দেখেছি। দুটি তুষার চিতা আমার সামনে ছিল। এতটাই কাছাকাছি যে আমি জোরে নিঃশ্বাসও নিতে পারছিলাম না, আমার বুক ধড়ফড় করছিল।’
দুটি চিতারই গতিবিধি ও অভিব্যক্তি পর্যবেক্ষণ করে তাদের খুবই শান্ত দেখাচ্ছিল। তাদের শারীরিক অঙ্গভঙ্গিতে আক্রমণাত্মক কোনো কিছুও দেখা যায়নি।
ছবি: লিও জিয়াওইয়ুন
তিনি বলেন, ‘কেউ হয়ত ভাবতে পারেন, সবসময়ই তুষারে আচ্ছাদিত উঁচু এই এলাকায় চলাফেরার জন্য চিতাগুলোকে ছদ্মবেশি হওয়া শিখতে কিংবা মানিয়ে নিতে হয়। কিন্তু ব্যাপারটি হলো তাদের গায়ের হালকা ধূসর রঙ ও দাগগুলো পাহাড়ি পাথরের মধ্যে তাদের লুকাতে বেশ সহায়ক।
ওয়ার্লড ওয়াইল্ড লাইফের (ডব্লিউডব্লিউএফ) সর্বশেষ লিভিং প্ল্যানেট রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৫০ বছরে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে তুষার চিতার সংখ্যা গড়ে ৬০ শতাংশ কমেছে। আর এর পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের মতো কারণগুলো দায়ী।
ছবি: লিও জিয়াওইয়ুন
বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ তুষার চিতার বাস চীনে। তাদের দুর্গম আবাসস্থলের কারণে প্রাণীগুলোর বিষয়ে অধিকতর জানাশোনাও বেশ কঠিন। যে কারণে প্রাণীগুলোর বিষয়ে অনেক তথ্য এখনও অজানা।