Bangladesh

দেশ ছাড়তে চাচ্ছেন তরুণরা

বেকারত্ব নিয়ে ৪২ শতাংশ শিক্ষার্থীর উদ্বেগ বিদেশে নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্য দেখানো মেধাবীদের দেশে ফিরিয়ে এনে কাজে লাগানোর তাগিদ

একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছেন শাওন হাওলাদার। চাকরির জন্য প্রায় এক বছর থেকে ঘুরছেন। বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিলেও আওয়ামী দুঃশাসনের অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির কারণে কোথাও চাকরির দেখা মিলেনি। কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ায় বড় অঙ্কের ঘুষও দিতে পারেননি বলে চাকরি মেলেনি। কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। উপায় না পেয়ে বিদেশে যাওয়ার চিন্তা করছেন। শাওন হাওলাদার বলেন, আমার বড় ভাই আট বছর চেষ্টা করেও যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাননি। আবার উদ্যোক্তা হতে গিয়েও ধাপে ধাপে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। এখন আমি দেশে এই রিস্ক নিতে চাচ্ছি না।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী আতিক হাসান। বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষে এখন চাকরি করছেন ১৮ হাজার টাকা বেতনে। আতিক বলেন, যেখানে আমার লেখাপড়ার সময় মাসে গড়ে খরচ হয়েছে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তিনি বলেন, এত টাকা খরচ করে বাবা-মা পড়ালেন। এখন নিজের খরচটাই চালাতে পারছি না। আমি সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, বিদেশে এই বিষয়ের গুরুত্ব আছে। এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্যও বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শোভন ইসলাম। তিনিও বিদেশে যাওয়ার সুযোগ খুঁজছেন। তিনি বলেন, দুটি কারণে মূলত দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছি। প্রথমত, অর্থনৈতিক আর দ্বিতীয়ত, সামাজিক নিরাপত্তা। শোভন বলেন, প্রতিদিন সকালে উঠেই চোখে পড়ছে অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বায়ু। দ্রব্যমূল্য হাতের নাগালের বাইরে। ব্যবসা বাণিজ্য নেই। ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। এত নেতিবাচক প্রভাব পীড়া দেয়। আমার বাবার পেনশনের টাকা তুলতে এক বছর হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার টাকা ঘুষসহ খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। এসব কারণে বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

শাওন, আতিক ও শোভনের মতো হাজারো তরুণ এখন বিদেশে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর। কেউ জমানো টাকা খরচ করে পাড়ি জমাচ্ছেন। আবার কেউ ঝুঁকি নিয়ে সাগর পথে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছেন। প্রত্যেকেই বলছেন অর্থনৈতিক ও উন্নত জীবনের কথা। দেশের মোট শ্রমশক্তির একটি বড় অংশ তরুণ-তরুণী। এই তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিদেশে পাড়ি দিতে চান বলে ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে ‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ-২০২৪’ এক সমীক্ষায় এসেছে। বেকারত্ব নিয়ে দেশের ৪২ শতাংশ তরুণ উদ্বিগ্ন। তাদের মতে, বেকারত্বের কারণগুলো হচ্ছে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ, নিয়োগে বৈষম্য এবং পারিবারিক জীবন ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে না পারা। এসবের ফলে ৫৫ শতাংশ তরুণ বিদেশে যেতে আগ্রহী। একই শিরোনামে ২০১০ ও ২০১৫ সালে দুটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। যদিও এবারের গবেষণাটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তিন হাজার ৮১ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন এমঅ্যান্ডসি সাচি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসেসের ইভ্যালুয়েশন অ্যান্ড লার্নিং বিভাগের সিনিয়র গবেষণা পরিচালক আইবেক ইলিয়াসভ।

জরিপে অংশ নেয়া ৩৭ শতাংশ তরুণ বলেছেন, বেকারত্বের বড় কারণ দুর্নীতি ও স্বজন পোষণ। ২০ শতাংশ নিয়োগে বৈষম্য এবং ১৮ শতাংশ পারিবারিক জীবন ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে না পারা বেকারত্বের বড় কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। ৪৪ শতাংশ তরুণ আগামী বছরের মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের ৬৬ শতাংশ তরুণ নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ছেলেদের ৭৭ শতাংশ ও মেয়েদের ৫৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ২৭ শতাংশ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার। ৩০ শতাংশ তরুণ মনে করেন, নারীরা পুরুষের সমান নন। নারীদের ঘরের বাইরে পুরুষের মতো একই স্বাধীনতা পাওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন ২৫ শতাংশ তরুণ। তরুণরা যেসব বিষয়ে অগ্রগতি দেখতে চান, শিক্ষা তার মধ্যে এক নম্বর ক্ষেত্র। ৪৯ শতাংশ ‘পুওর টিচিং কোয়ালিটি’র (পাঠদানের নিম্নমান) কথা বলেছেন। বিশেষ করে তারা আধুনিক কর্মবাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন পাঠদান ও পাঠ্যসূচির কথা বলেছেন।

জরিপে উঠে আসে, ৭২ শতাংশ তরুণ ৭ জানুয়ারি হয়ে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী ছিলেন। তবে ৬৫ শতাংশ তরুণ নিজেদের বিচ্ছিন্ন (ডিজএনগেজড) বলে মনে করছিলেন। ওই একতরফা নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় যায় আওয়ামী লীগ। তবে গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন। নোবেল বিজয়ী এ আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব দেশের প্রধান হওয়ার পর দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্যে উল্লাস দেখা গেছে। সম্প্রতি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তরুণদের মনস্থির করার ও স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশেষ করে তরুণদের তাদের মনস্থির করতে, চিন্তা করতে ও স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করি। স্বপ্ন হলো পরিবর্তনের সূচনা। স্বপ্ন দেখলে পরিবর্তন হবে। আপনি যদি স্বপ্ন না দেখেন, তবে এটি কখনোই হবে না।’ বাস্তবতা হলোÑ তরুণদের স্বপ্ন দেখার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিপুল সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যান। তারা বিদেশে লেখাপড়া শেষে চাকরি করে সাফল্য দেখাচ্ছেন। দেশের কর্মসংস্থান না থাকায় তাদের ফিরিয়ে আনা যাচ্ছে না। অথচ মেধাবী ওই তরুণদের দেশে ফিরিয়ে এনে কাজে লাগানো গেলে দেশ উপকৃত হতো। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা সম্প্রতি যে সব দাবি-দাওয়া দিয়েছেন তার মধ্যে বিদেশে পড়তে যাওয়া মেধাবীদের দেশে ফিরিয়ে এনে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

কিন্তু গত তিন মাসে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান বা দেশে থাকার জন্য কোনো আশাবাদী উদ্যোগ নেয়া হয়নি। শুধুমাত্র রেমিট্যান্সেই সাফল্য। যাতে অবদান বিদেশিদের। এদিকে রেমিট্যান্স বাড়লেও আগামী দিনে রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য জনশক্তি রফতানিতে যেভাবে গুরুত্ব দেয়া দরকার বর্তমান সরকারের, তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশ্বব্যাপী একটা ভালো ভাবমর্যাদার সঠিক ব্যবহার এখনো দেখা যায়নি। তাই এখনো কাক্সিক্ষত গতি ফিরেনি জনশক্তি রফতানিতে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী তরুণরা অনেকেই শেয়ার ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। কিন্তু এখনো শেয়ার বাজারকে বিনিয়োগ উপযোগী করা যায়নি। একই সঙ্গে ব্যাংক খাতে এখনো স্বাভাবিকতা ফিরেনি। ব্যাংক থেকে চাহিদামতো টাকা তুলতে পারছেন না অনেকে। তরুণরা অনেকেই পরিবারের ব্যবসায় যোগ দেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনার পলায়নের পর এখনো ব্যবসার স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরেনি। বিপণি-বিতানে বিক্রি নেই। এতে ব্যবসায় মনযোগ দেয়ারও আগ্রহ হারাচ্ছেন তরুণরা। এদিকে কর্মসংস্থানের অন্যতম খাত আবাসন শিল্প বতর্মান সঙ্কটে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন শতাধিক ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ বা সহযোগী শিল্পও ভালো নেই। সব মিলিয়ে আবাসন শিল্পের ৪৫৮ উপ-খাত ঝুঁকিতে রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশের আবাসন খাতে চলছে ভয়াবহ অস্থিরতা। আতঙ্কিত ক্রেতারা টাকা হাতছাড়া করতে নারাজ। প্লট ও ফ্ল্যাটের কিস্তি পরিশোধ বন্ধ। নেই টাকার সরবরাহ। এমন পরিস্থিতিতেও আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যাংক কোনো সহযোগিতা করছে না। অসংখ্য ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধের হুমকিতে পড়েছে। সব মিলিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, সরাসরি অর্ধ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে আবাসন শিল্পে। আর এই শিল্পের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রায় দুই কোটি মানুষ নির্ভরশীল। আবাসন শিল্প মালিকদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) জানিয়েছে, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য অনেক বেড়েছে। প্লট আর ফ্ল্যাট বিক্রি এখন শূন্যের কোটায়। ক্রেতাদের কিস্তি পরিশোধও বন্ধ। নেই টাকার সরবরাহ। ফলে প্রায় দুই লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। অনেক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার হুমকিতে পড়ায় ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। উদ্যোক্তারা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোতে আবাসন খাতে ১ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে ক্রেতাদের জন্য সেই ব্যবস্থা নেই। তাই চলমান এ সঙ্কট উত্তরণে আবাসন খাতের ক্রেতাদের জন্য স্বল্প সুদের বিশেষ ঋণ তহবিল গঠন করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া মিলন বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা এখন খারাপ। ক্রেতারা কিস্তি দিতে পারছেন না। ক্রেতারা টাকা ধরে রেখে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। ইতোমধ্যে আবাসন শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি ও সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে রিহ্যাব। সরকারও আমাদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে।

ব্যবসার স্বাভাবিক পরিবেশ না ফিরলে কোনো খাতই স্বাভাবিক হবে না। অপরদিকে, কর্মসংস্থানেরও তেমন সুযোগ তৈরির পদক্ষেপ এখনো আসেনি। তাই তরুণরা কী নিয়ে স্বপ্ন দেখবে শিক্ষিত অধিকাংশ বেকার-তরুণদের এই প্রশ্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ শতাংশ কর্মক্ষম তরুণ সমাজ রয়েছে। দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অবশ্যই তরুণ সমাজ গুরুত্বপূর্ণ। তারুণ্য শক্তির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো জরুরি। তাদের মতে, বাংলাদেশে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের (তরুণ জনগোষ্ঠীর আধিক্য) সুবিধা সাময়িকভাবে এখনো চলছে। আগামী ১৫-২০ বছরের মধ্যে যা শেষ হবে। এই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট সুযোগের অপচয় রোধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ব্যাপারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। অন্যথায় ব্রেইন ড্রেইন তথা মেধা পাচার হবে। যা আগামীতে দেশের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় বয়ে আনবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ বলেছেন, সরকার দেশের তরুণদের আকাক্সক্ষাকে কেন্দ্রে রেখে কাজ করছে। সরকারের মৌলিক কাজ হবে মানবাধিকার রক্ষা, বৈষম্যহীন আইন ও নীতি কার্যকর এবং রাষ্ট্রে জনস্বার্থভিত্তিক নীতি কার্যকর করা।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের অনেক শিক্ষার্থী বিদেশে গিয়ে পড়ছে কাজ করছে, এটি আমাদের জন্য গর্বের। আবার এসব মেধাবীকে কীভাবে আমরা কাজে লাগাতে পারি তাও ভাবতে হবে। মেধাকে কাজে লাগানোর সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে তাদের যেন আমরা মূল্যায়ন করতে পারি। দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে বিদেশে চলে যাচ্ছে এতে ক্ষতি হচ্ছে। আবার তারা দক্ষ হয়ে ফিরে এলে দেশের জন্য ভালো। দীর্ঘদিন স্বৈরাচার সরকারের সময়ে শিক্ষার্থীদের চাকরি বা ব্যবসায় আস্থা ছিল না তাই বিদেশমুখী বেশি ছিল শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে অবস্থার অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হবে এসব শিক্ষার্থী যাতে বিদেশে না যায়। এ জন্য চাকরি ও ব্যবসাসহ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। যাতে দক্ষরা দেশেই থাকে। দেশের জন্য অবদান রাখতে পারে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
toto gacor
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
xx1toto