ডাইনোসরের আদলে রোবট তৈরির পথে বিজ্ঞানীরা
ডাইনোসর, প্রাগৈতিহাসিক এই প্রাণীটি আজও শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু। সিনেমা জগতেও ডাইনোসর এক আলোচিত চরিত্র, যার প্রভাব বিশেষ করে ‘জুরাসিক পার্ক’ চলচ্চিত্রে স্পষ্ট। যদিও ডাইনোসরকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। বিজ্ঞানীরা এর বিকল্প হিসেবে কাজ করছেন ডাইনোসরের আদলে রোবট তৈরির পরিকল্পনায়। রোবটিকস প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব রোবট প্রাণীর গতি, শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্য এবং বিবর্তন সম্পর্কে গভীরতর ধারণা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সায়েন্স রোবটিকসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিজ্ঞানীরা ‘প্যালিওইনস্পায়ার্ড রোবটিকস’ নামে একটি নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করছেন। এই পদ্ধতিতে বিলুপ্ত প্রাণীদের গতি ও শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্য পুনর্গঠিত করা হয়। ঐতিহ্যবাহী জৈব রোবটিকসে নির্দিষ্ট প্রাণীর কিছু বৈশিষ্ট্য অনুকরণ করা হলেও, প্যালিওইনস্পায়ার্ড রোবটিকসে একাধিক প্রজাতির বিবর্তনীয় বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় নেওয়া হয়।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী মাইকেল ইশিদা এই বিষয়ে বলেন, আমাদের কাছে থাকা বিবর্তনের তথ্য, যা লাখ লাখ বছরের পুরনো, তা এখন প্রকৌশল ও থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে জীবন্তভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব। রোবট তৈরির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।
বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে জীবন্ত মাছের গতি ও আচরণকে অনুসরণ করে বিলুপ্ত মাছের রোবট নকশার কাজ শুরু করেছেন। এই রোবটগুলো শুধু প্রাণীর বিবর্তন নয়, বরং প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গেও নতুন ধারণা প্রদান করবে।
বিজ্ঞানীদের মতে, রোবটের মাধ্যমে বিলুপ্ত প্রাণীগুলোকে পুনর্গঠন করা বিবর্তন গবেষণার এক বিপ্লব ঘটাবে। ডাইনোসরসহ বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের সম্পর্কে আমাদের অজানা তথ্য জানতে এ ধরনের রোবট প্রযুক্তি বড় ভূমিকা রাখবে।