USA

ট্রান্সজেন্ডার সেনাদের বাদ দেবেন ট্রাম্প

মার্কিন সেনাবাহিনী থেকে সব ট্রান্সজেন্ডার সদস্যকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত ৪৭তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সম্ভাব্য এক নির্বাহী আদেশ নিয়ে দেশটির ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। সোমবার দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রান্সজেন্ডার সেনা সদস্যদের শারীরিকভাবে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। ট্রাম্প প্রথম মেয়াদে এমনই এক আদেশ দিয়েছিলেন, যেখানে ট্রান্সজেন্ডারদের নতুন করে সেনাবাহিনীতে যোগদানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। তবে চাকরিতে থাকা ট্রান্সজেন্ডারদের সেনাবাহিনীতে বহাল রাখা হয়েছিল। তবে, এবার তিনি চাকরিতে থাকা সব ট্রান্সজেন্ডার সদস্যদেরও সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।

আগামী ২০ জানুয়ারি, ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিনেই এই নির্বাহী আদেশে সই করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সেদিন থেকেই এই আদেশ কার্যকর হতে পারে। ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরেই ট্রান্সজেন্ডার সম্প্র্রদায়কে মূল সমাজে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিকে উপেক্ষা করে এসেছেন। তার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কথিত ‘দুর্বলতা’ এবং ‘বামপন্থি মতাদর্শ’ দূর করা।

তিনি আগেই বলেছিলেন যে, কোনো স্কুলে সমালোচনামূলক বর্ণবাদী তত্ত্ব, ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু এবং অনুপযুক্ত যৌন বা রাজনৈতিক বিষয় পড়ানো হলে সেই স্কুলের অর্থায়ন বন্ধ করবেন। তবে কিছু সামরিক দাতব্য সংস্থা রোববার রাতে এই প্রস্তাবের সমালোচনা করেছে।

এলজিবিটিকি সামরিক কর্মীদের পক্ষে প্রচারণা চালানো সংস্থা মডার্ন মিলিটারি অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার নির্বাহী পরিচালক র‌্যাচেল ব্রানামান বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম দিন থেকেই যদি এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়, তবে এটি সামরিক প্রস্তুতিতে বাধা দেবে এবং আরও বড় নিয়োগ ও নিরাপত্তার সংকট তৈরি করবে। এছাড়া এটি প্রতিপক্ষের কাছে আমেরিকার দুর্বলতার ইঙ্গিত দেবে।’ 

তিনি আরও বলেন, সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ যখন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪১ হাজার কম তখন ১৫ হাজারের বেশি সামরিক কর্মীকে হঠাৎ করে বরখাস্ত করা যুদ্ধের ইউনিটগুলোতে প্রশাসনিক বোঝা বাড়াবে, ইউনিটের সংহতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতার ঘাটতি বাড়াবে। এতে উলে­খযোগ্য আর্থিক ব্যয় হবে। পাশাপাশি অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের ক্ষতি হবে যা পূরণ করতে প্রায় ২০ বছর এবং বিলিয়ন ডলার সময় লাগতে পারে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button