ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করলেন ইলন মাস্ক, কেন
আলোচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্স (সাবেক টুইটার), টেসলা, স্পেসএক্স ও নিউরালিংকের মালিক ইলন মাস্ক। প্রতিযোগিতা–বিরোধী আচরণের অভিযোগ তুলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রাথমিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারও আবেদন করেছেন তিনি। গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্ট আদালতে করা এই মামলায় ইলন মাস্ক অভিযোগ করেছেন, ওপেনএআই অসাধু কার্যকলাপের মাধ্যমে বাজার প্রতিযোগিতাকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং নিজেদের স্বার্থে একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
মামলায় ওপেনএআইয়ের প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রকম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যান, ওপেনএআইয়ের সাবেক বোর্ড সদস্য ও লিংকডইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হফম্যান এবং ওপেনএআইয়ের সাবেক বোর্ড সদস্য ও মাইক্রোসফটের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডি টেম্পলটনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার নথিতে বলা হয়েছে, ওপেনএআই ইচ্ছাকৃতভাবে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে মাস্কের প্রতিষ্ঠিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআইকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এর ফলে অক্টোবর মাসে ওপেনএআইয়ের অর্থ সংগ্রহ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া এক শীর্ষ বিনিয়োগকারী পরবর্তী সময়ে এক্সএআইতে বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওপেনএআই পরিচালকদের আর্থিক স্বার্থ রক্ষার জন্য ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, পেমেন্ট প্রসেসরের জন্য স্ট্রাইপকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যা ওপেনএআইয়ের সিইও স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ওপেনএআইয়ের অলাভজনক থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর হওয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
মাস্কের আইনজীবীরা দাবি করেছেন, ‘ওপেনএআইয়ের অলাভজনক চরিত্র রক্ষা করার পাশাপাশি স্বার্থসংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। তা না হলে প্রতিষ্ঠানটির নৈতিক অবস্থান চিরতরে হারিয়ে যাবে।’
অন্যদিকে ওপেনএআই ইলন মাস্কের অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বলেন, ‘ইলনের এই অভিযোগগুলো পুরোনো ও ভিত্তিহীন। এর কোনো আইনি বা যৌক্তিক ভিত্তি নেই।’
উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও ইলন মাস্ক ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সে সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ওপেনএআই তাদের প্রতিষ্ঠাকালীন অলাভজনক লক্ষ্য থেকে সরে এসেছে।