বিএনপির পক্ষে ৬১ শতাংশ, ইনকিলাবের জরিপ : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
আসন্ন ত্রায়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শতকরা ৬১ দশমিক ০৮ শতাংশ ভোটার বিএনপিকে ভোট দেওয়ার মনস্থির করেছেন বলে জানিয়েছেন। জামায়াতকে ভোট দেবেন ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ ভোটার। ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন নতুন কোনো রাজনৈতিক দল গঠিত হলে তারা সে দলকে ভোট দেবেন। ইসলামী ধারার দলগুলোকে ৫ দশমিক ০৫ শতাংশ, আওয়ামী লীগকে ২ দশমিক ৯৯ শতাংশ, বাম ধারার দলগুলোকে শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ এবং অন্যান্য দলকে ২ দশমিক ৯৮ শতাংশ ভোটার ভোট দেবেন বলে মনস্থির করেছেন। ইনকিলাবের এক জরিপে এ চিত্র উঠে এসেছে। সারাদেশের ৩৪ জেলার ৪৬ উপজেলা ও ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত এ জরিপ পরিচালিত হয়।
জরিপে অংশ নেয়া ৬১ দশমিক ৬১ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছেন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত নয়। তবে ৩৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোটার মনে করেন ত্রায়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত। কি কারণে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত এবং কি কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া উচিত নয় সে ব্যাপারেও ভোটারগণ নিজেদের মতামত তুলে ধরেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের কত দিনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়া উচিত সে বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছেন জরিপে অংশ নেয়া ভোটাররা। বর্তমান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে ৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ ভোটার জানালেও ৯৪ দশমিক ৬১ শতাংশ ভোটার জানান, তারা মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। এই সরকারের আয়োজিত নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব পরিচালিত ‘ত্রায়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন’ জরিপ পরিচালিত হয় গত ২০ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সারাদেশের ইনকিলাবের প্রতিনিধিরা ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন। এ জরিপে মতামত দিয়েছেন সর্বমোট ৬ হাজার ৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৩০৪ জন (৮৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ) আর নারী ৭৩২ জন মতামত দিয়েছেন (১২ দশমিক ১২ শতাংশ)। তবে ১৮ বছরের নিচে (ভোটার নয়) এমন ৪৭ জন মোট উত্তরদাতার (দশমিক ৭৭ শতাংশ) আসন্ন নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মতামত দেন। জরিপে ১৫ দিনব্যাপী তথ্য সংগ্রহ করেছেন ইনকিলাবের জেলা, উপজেলা ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদদাতারা। জরিপে ফরমে উত্তরদাতাদের বয়স (নারী-পুরুষ) চার ক্যাটাগরিতে নির্ধারণ করা হয়েছিল। প্রথম ক্যাটাগরিতে ১৮ থেকে ৩২ বছর, দ্বিতীয় ক্যাটাগরি ৩৩ থেকে ৫০ বছর এবং তৃতীয় ক্যাটাগরিতে ৫১ বছরের ঊর্ধ্বে। এ ছাড়াও ভোটার নন এমন ১৮ বছরের নিচে বয়সীদের বিশেষ গ্যাটাগরিতে মতামত নেয়া হয়।
জরিপকারীরা ঘরে ঘরে, হাটে-বাজারে গিয়ে মতামত গ্রহণ করেন। মতামত নেয়ার জন্য কারো রাজনৈতিক পরিচিতি দেখা হয়নি। তবে যাদের ‘কট্টর রাজনৈতিক পরিচিতি’ রয়েছে তাদের এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। দলমতের ঊর্ধ্বে থেকেই জরিপ পরিচালিত হয়েছে। জরিপে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের সবার পূর্ণ ঠিকানা, মোবাইল নম্বর নেয়া হয় এবং জরিপের ফরম ইনকিলাব অফিসে সংরক্ষণ করা হয়েছে। জরিপকারীরা যে ফরম পূরণ করে জমা দিয়েছেন সে ফরমের কিছু মোবাইল নম্বরে ফোন করেও অংশগ্রহণকারীদের মতামতের সত্যতা যাচাই করা হয়। ইনকিলাবের এই জরিপ কোনো এনজিওর করা ছকে বাঁধা, কনসালটিং ফার্মের কেতাবি থিওরি বা কিছু গণমাধ্যমের কয়েকশ’ মানুষের মতামত নিয়ে শতকরা মতামত বের করে ইচ্ছামতো অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়িয়ে তথাকাথিত জরিপ নয়। এ জরিপ কার্যত আনকাট তথা উত্তরদাতারা যেভাবে জবাব দিয়েছেন সেভাবেই তা লিপিবন্ধ করা হয়েছে।
জরিপে সরাসরি যে প্রশ্নগুলো করা হয় তার মধ্যে আপনি কি ভোটার? আগামী নির্বাচনে আপনি ভোট দিতে চান কি না? আপনার পরিবারের ভোটারের সংখ্যা কত? আপনি কতদিনের মধ্যে নির্বাচন চান? আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে কোন দল ক্ষমতায় আসতে পারে? আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত কি না? আপনি কি মনে করেন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? এসব প্রশ্নের বেশির ভাগ উত্তরদাতা জবাব দিয়েছেন। হাতেগোনা কিছু উত্তরদাতা কিছু প্রশ্নের জবাব দেননি। কেউ কেউ নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আবার জরিপে পূরণ করা ফরমে দেখা গেছে অনেক ঘর ফাঁকা রাখা হয়েছে। এক কথায় ত্রুটিপূর্ণ ফরমগুলো জরিপের হিসাব থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
যেসব জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে জরিপ পরিচালিত হয় সেগুলো হচ্ছে- উলিপুর (কুড়িগ্রাম), ঝিনাইদহ, খুলনা, নারায়ণগঞ্জ, রামু (কক্সবাজার), কক্সবাজার সদর, চকরিয়া (কক্সবাজার), উখিয়া (কক্সবাজার), টেকনাফ (কক্সবাজার), ভাঙ্গা (ফরিদপুর), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী সদর, কিশোরগঞ্জ সদর, বগুড়া সদর, সিলেট সদর, জকিগঞ্জ (সিলেট), শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), বাগেরহাট সদর, বরিশাল সদর, গাজীপুর সদর, টাঙ্গাইল সদর, সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ), মাদারীপুর সদর, শিবচর (মাদারীপুর), কুষ্টিয়া সদর, যশোর সদর, পাবনা সদর, সাভার (ঢাকা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরা (ঢাকা), যাত্রাবাড়ী, পটুয়াখালী সদর, ময়মনসিংহ সদর, সাতক্ষীরা সদর, নেত্রকোনা সদর, রংপুর সদর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ফেনী সদর, কুমিল্লা সদর, শ্রীনগর (মুন্সিগঞ্জ), পদ্মা সেতু উত্তর (মুন্সিগঞ্জ), চাঁদপুর সদর, মাগুরা সদর, মুজিবনগর (মেহেরপুর), সৈয়দপুর (নীলফামারী), চিলমারী (কুড়িগ্রাম), চট্টগ্রাম সদর, ভোলা সদর, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, লালমাহন (ভোলা)।
এ জরিপে সারাদেশে ৭ হাজারের মতো ভোটার তাদের মতামত দিয়েছিলেন। তবে ত্রুটিপূর্ণ ফরমগুলো বাদ দিয়ে ৬ হাজার ৩৬ জনের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের পর কয়েকশ’ উত্তরদাতার জবাব জরিপকারীরা পাঠিয়েছেন। সেগুলোকে এ হিসাবে নেয়া হয়নি। জরিপে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী উত্তরদাতাদের পরিবারে ভোটারের সংখ্যা ২৬ হাজার ৬১২ জন। পরিবারের সদস্য ভোটারদের বেশির ভাগই বিএনপিকে ভোট দেবেন বলে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়েছেন।
জরিপে ১৮-৩২ বছর বয়সী ভোটার অংশ নিয়েছেন ২ হাজার ৭৮ জন (৩৪ দশমিক ৪২% মোট সংখ্যার)। এর মধ্যে নারী ৩১৯ জন (৫ দশমিক ২৮%); আর পুরুষ ১ হাজার ৭৫৯ জন (২৯ দশমিক ১৪%)। ৩৩-৫০ বছর বয়সী মোট অংশ নিয়েছেন ২ হাজার ৬২৮ জন (৪৩ দশমিক ৫৩% মোট সংখ্যার)। এর মধ্যে নারী ৩১৫ জন (৫ দশমিক ২১%) আর পুরুষ ২ হাজার ৩১৩ জন (৪৩ দশমিক ৫৩% শতাংশ)। ৫১ বছরের ঊর্ধ্বে মোট অংশ নিয়েছেন ১ হাজার ২৮৩ জন (২১ দশমিক ২৫% মোট সংখ্যার)। এর মধ্যে নারী ৯৮ জন (১ দশমিক ৬২)। আর পুরুষ ১ হাজার ১৮৫ জন (১৯ দশমিক ৬৩%)।
কত দিনের মধ্যে নির্বাচন চান? প্রশ্নের জবাবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দেয়া উচিত মতামত দিয়েছেন ৬৩০ জন (১০ দশমিক ৪৩%)। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কারের পর নির্বাচন দেয়া উচিত মতামত দিয়েছেন ২৭০ জন (৪ দশমিক ৪৭%)। ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দেয়া উচিত মত দিয়েছেন ১ হাজার ৫২৩ জন (২৫ দশমিক ২৩%)। ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে নির্বাচন দেয়া উচিত মনে করেন ১ হাজার ৫৮৫ জন (২৬ দশমিক ২৫%)। দেড় বছর থেকে ৩ বছরের বেশি সময়ে নিয়ে নির্বাচন দেয়া উচিত বলে মতামত দেন ১ হাজার ৮৪৯ জন (৩০ দশমিক ৬৩%)।
আগামী নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় যাবে বলে মনে করেন? প্রশ্নের জবাবে জরিপে অংশ নেয়া ৩ হাজার ৬৮৭ জন (৬১ দশমিক ০৮%) ভোটার বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে। তারা বিএনপিকে ভোট দেবেন। ত্রায়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতকে ৮৯৫ জন (১৪ দশমিক ৮২%) ভোট দেবেন বলে জানান। এ ছাড়াও নতুন দলকে ৪৯০ জন (৮ দশমিক ১১%); ইসলামী দলগুলোকে ৩০৫ জন (৫ দশমিক ০৫%); বাম দলগুলোকে ১২ জন (দশমিক ১৯%); আওয়ামী লীগকে ৩৩৭ জন (৫ দশমিক ৫৮%); অন্য দলকে ১৭৮ জন (২ দশমিক ৯৮%) ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত কি না? প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মোট ৫ হাজার ৯২৯ জন। এর মধ্যে ‘হ্যাঁ’ উত্তর তথা আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত বলেছেন ২ হাজার ২৭৬ জন (৩৮ দশমিক ৩৮%)। সুযোগ থাকা উচিত নয় তথা ‘না’ উত্তর দিয়েছেন ৩ হাজার ৬৫৩ জন (৬১ দশমিক ৬১%)। যারা হ্যাঁ বলেছেন তাদের মধ্যে ১ হাজার ৬২৮ জন এর কারণ উল্লেখ করেছেন। বাকিরা জবাব এড়িয়ে গেছেন। যারা মতামত দিয়েছেন সেই ১ হাজার ৬২৮ জনের মধ্যে বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের বিচারের পর দলটিকে নির্বাচনের সুযোগ দেয়া যেতে পারে ৭১ জন (৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ); দেশে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক, প্রতিযোগিতামূলক, গ্রহণযোগ্য করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে সুযোগ দেয়া উচিত মত দিয়েছেন ৫৭৬ জন (৩৫ দশমিক ৩৮%); অতীতের ভুল স্বীকার করলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ আওয়ামী লীগের থাকা উচিত ৬০ জন (৩ দশমিক ৬৮%); আওয়ামী লীগ পুরনো দল, অন্যতম বৃহৎ দল, মুক্তিযুদ্ধে অবদান আছে, দেশের উন্নয়ন করেছেÑ সে কারণে ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ থাকা উচিত মত দিয়েছেন ৫৭৭ জন (৩৫ দশমিক ৪৪%); এবং দেশের গণতন্ত্র চর্চার স্বার্থে আসন্ন নির্বাচনে দলটিকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া যেতে পারে বলেছেন ৩৪৪ জন (২১ দশমিক ১৩%)।
অন্যদিকে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকা উচিত নয় উত্তর দিয়েছেন ৩ হাজার ৬৫৩ জন। উত্তরদাতাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদী, একনায়ক, গণতন্ত্র হত্যাকারী বলেছেন ১ হাজার ৪৮১ জন (৪০ দশমিক ৫৯%); আওয়ামী লীগ দুর্নীতিবাজ, ভোট চোর, লুটেরা, টাকা পাচারকারী বলেছেন ৭৩৭ জন (২০ দশমিক ২০%); গণহত্যাকারী, ছাত্র হত্যাকারী বলেছেন ৮৪২ জন (২৩ দশমিক ০৮%); শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে গেছেন ৭০ (১ দশমিক ৯১%); আওয়ামী লীগ মানবতাবিরোধী, গুমকারী দল বলেছেন ১৫৪ জন (৪ দশমিক ২২%); আওয়ামী লীগ ভারতের দালাল, দেশবিরোধী, ষড়যন্ত্রকারী বলেছেন ৫৩ (১ দশমিক ৪৫%); আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল বলেছেন ৩১১ জন (৮ দশমিক ৫২%)।
এদিকে বর্তমানের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব কি না এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন মোট ৫ হাজার ৮৫০ জন। এর মধ্যে ‘হ্যাঁ’ উত্তর দিয়েছেন ৫ হাজার ৫৩৫ জন (৯৪ দশমিক ৬১%)। আর ‘না’ উত্তর দিয়েছেন ৩১৫ জন (৫ দশমিক ৩৮%)। এ প্রশ্নের উত্তরে যারা ‘না’ বলেছেন, তাদের মধ্যে কারণ উল্লেখ করেছেন ১২৩ জন। অন্তর্বর্তী সরকার সঠিকভাবে দেশ চালাতে পারছে না বলেছেন ৯৬ জন (৩০ দশমিক ৪৭%)। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ নয় (বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদের প্রতি সফট, আওয়ামী লীগের প্রতি বিরূপ) বলেছেন ১২৩ জন (৩৯ দশমিক ০৪%)। আর মতামত দেয়নি ৯৬ জন (৩০ দশমিক ৪৭%)।
নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই জরিপটি পরিচালিত হয়েছে। তবে পার্বত্য তিন জেলার মতামত নেয়া হয়নি এবং জাতীয় পার্টিকে ‘ভোট দেবেন কি না’ আলাদাভাবে ঘরে রাখা হয়নি। জরিপে বিপুল সংখ্যক অংশগ্রহণকারী বয়সে তরুণ-তরুণী ছিলেন। পর্যায়ক্রমে জরিপের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে।