ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিপর্যস্ত সিরিয়ার নতুন প্রশাসন
বাশার আল-আসাদের পতনের পর গত দুই দিনে সিরিয়ায় অন্তত ৩০০ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
সিরিয়ার যুদ্ধ বিষয়ক একটি পর্যবেক্ষক সংস্থার বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
রাজধানী দামেস্ক ও সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে এসব হামলার ফলে নতুন প্রশাসনের জন্য দায়িত্ব পালন ‘প্রায় অসম্ভব’ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইসরায়েলি আর্মি রেডিও চলমান হামলাকে দেশের বিমান বাহিনীর ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরিসরের অভিযানগুলোর একটি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
আল জাজিজার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজধানী দামেস্ক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরে অব্যাহত আক্রমণে বিদ্রোহীদের জন্য রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো রক্ষা এবং সুষ্ঠুভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইসরায়েলি পত্রিকা টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, রোববার থেকে সিরিয়ার তিনটি প্রধান বিমান ঘাঁটি, সামরিক স্থাপনা ও অস্ত্রাগারে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
আরেক ইসরায়েলি পত্রিকা ইয়েনেট জানায়, এই মাত্রায় আক্রমণ অব্যাহত রাখলে কয়েকদিনের মধ্যেই সিরিয়ার বিমান বাহিনী সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
বিমান হামলার পাশাপাশি সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে ভূমি অধিগ্রহণ শুরু করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরাসরি নির্দেশে চলছে এই অধিগ্রহণ।
ইসরায়েলের এই আগ্রাসন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ নিন্দা জানালেও সিরিয়ার বিদ্রোহীরা এখনো এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।