USA

যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে রহস্যময় ড্রোন কোথা থেকে এল

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন এলাকায় আকাশে সম্প্রতি রহস্যজনক ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

হোয়াইট হাউস গতকাল সোমবার জোর দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী রহস্যময় ড্রোনগুলো বৈধভাবে উড়ছে।

তবে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি করছে সরকার।

নিউজার্সি ও নিউইয়র্কের আকাশে যে রহস্যজনক দৃশ্য দেখা গেছে, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আসলে কী ঘটছে, তা সরকার জানে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর প্রশাসন রহস্যজনক বস্তুগুলোর উৎস স্পষ্টভাবে চিহ্নিত না করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বাইডেন প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কারবি জোর দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট ও স্বচ্ছ। তিনি বলেন, আকাশে যেসব ড্রোন দেখা গেছে, তার বেশির ভাগই চালানো হয়েছে বৈধ ও আইনসম্মতভাবে।

কারবি সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি মূল্যায়ন অনুযায়ী, আজ পর্যন্ত যেসব ড্রোন দেখা গেছে, সেগুলো আইনসম্মতভাবে বাণিজ্যিক ড্রোন, শখের ড্রোন এবং আইন প্রয়োগকারী ড্রোন। মনুষ্যচালিত ফিক্সড-উইং বিমান, হেলিকপ্টার এবং এমনকি রাতের আকাশে তারাকে ভুল করে ড্রোন বলে দাবি করা হচ্ছে।

কারবি আরও বলেন, ‘আমরা অস্বাভাবিক কিছু বা জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কোনো জিনিস চিহ্নিত করিনি। ড্রোনের তথ্যগুলো বেশ কাছ থেকে পরীক্ষা করে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা এ মূল্যায়ন করেছেন।

এর আগে এ ঘটনায় বিদেশি সম্পৃক্ততার অভিযোগও পাওয়া গিয়েছিল। এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এমনকি ড্রোনগুলো সাগরে ইরান বা চীনের জাহাজ থেকে পাঠানো হয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে এ দাবিও অনেকটাই বানোয়াট বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে, নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার আকাশে রহস্যময় কিছু একটি উড়ছে।

এ বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডায় তাঁর মার-এ-লাগো রিসোর্টে বলেছেন, সরকার জানে, কী ঘটছে। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সামরিক বাহিনী ও প্রেসিডেন্ট বিষয়টি সম্পর্কে জানেন। কিন্তু কিছু কারণে তাঁরা জনগণকে রহস্যের মধ্যে রাখতে চান।’

তবে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রধান গত রোববার একটি বিশেষ ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে জোর দিয়ে বলেছেন, ‘কোনো নিরাপত্তাজনিত হুমকি নেই।’

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button