যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সেনাপ্রধান জোসেফ লেবাননের নতুন প্রেসিডেন্ট
দুই বছরেরও বেশি সময় পর প্রেসিডেন্ট পেল লেবানন।
আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত জোসেফ আউনকে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছে দেশটির পার্লামেন্ট।
প্রায় আট বছর পর দেশের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে আউন বেসামরিক পোশাকে শপথ গ্রহণ করেছেন। সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও আল জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, লেবাননের প্রেসিডেন্ট একজন ম্যারোনাইট খ্রিষ্টান, প্রধানমন্ত্রী একজন সুন্নি মুসলমান ও পার্লামেন্টের স্পিকার একজন শিয়া মুসলমান হয়ে থাকেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য পার্লামেন্টের দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পেতে হয়। প্রথম দফা ভোটে কোনো প্রার্থী সেই সমর্থন না পেলে আরেক দফা ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
২০২২ সালের অক্টোবর মাসে মেয়াদ শেষ হয় লেবাননের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের। এরপর বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্ট ১৩তম চেষ্টায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সফল হয়।
লেবাননের পার্লামেন্টে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহরও বেশ কিছু আসন রয়েছে। পার্লামেন্টের হিজবুল্লাহ অংশ প্রথম দফা ভোটে আউনকে সমর্থন না দিলেও দ্বিতীয় দফায় তাকে ভোট দেয়।
‘জাতীয় সংহতির’ কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ।
মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ গত বছর ইসরায়েলের আগ্রাসনে তাদের শীর্ষ নেতাকর্মীদের প্রায় সবাইকে হারিয়েছে। এই আগ্রাসনে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গোষ্ঠীটি গত ২৭ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে।
এই চুক্তির দুই মাসের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট পেল লেবানন।
আল জাজিরার বৈরুত প্রতিনিধি জেইনা খোদর বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসনের ফলে হিজবুল্লাহ ও লেবানন অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। পশ্চিম সমর্থিত একজন প্রেসিডেন্ট ছাড়া দেশ পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা পাওয়া সম্ভব হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
শপথ গ্রহণের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আউন দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দেন। ঘোষণা দেন, তার অধীনে দেশে এক ‘নতুন যুগের’ সূচনা হবে।
হিজবুল্লাহর অস্ত্রভাণ্ডারকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের অধীনেই অস্ত্রের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হবে।