Science & Tech

পৃথিবীর গতিপ্রকৃতির গল্প বলবে নিসার স্যাটেলাইট

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘নাসা-ইসরো সিনথেটিক অ্যাপারচার রাডার (নিসার)’ মিশন সেন্টিমিটার স্তরে পৃথিবীর স্থল এবং বরফের স্তর পর্যবেক্ষণ করবে। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী পল রোসেন জানিয়েছেন, এই মিশন পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবর্তনগুলো পর্যবেক্ষণ করে একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র তুলে ধরবে।  

২০১৪ সালে স্বাক্ষরিত এই প্রকল্পের মাধ্যমে জলাভূমি, হিমশীতল স্তর এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা হবে। আগামী মার্চ মাসে ইসরোর শ্রীহরিকোটা স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে এই উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হবে।  

নিসার স্যাটেলাইটটি দুই ধরনের রাডার সিস্টেম নিয়ে কাজ করবে—এল-ব্যান্ড এবং এস-ব্যান্ড। এল-ব্যান্ডের দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার এবং এস-ব্যান্ডের দৈর্ঘ্য ১০ সেন্টিমিটার। এই রাডার সিস্টেমের মাধ্যমে উপগ্রহটি পৃথিবীর স্থল এবং বরফের স্তর প্রতি ১২ দিনে দু’বার পর্যবেক্ষণ করবে এবং প্রয়োজনীয় বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করবে।

নাসা মিশনের জন্য এল-ব্যান্ড রাডার সিস্টেম, রাডার রিফ্লেক্টর অ্যান্টেনা এবং উচ্চ-গতির যোগাযোগ উপব্যবস্থা সরবরাহ করছে। ইসরো মিশনের জন্য এস-ব্যান্ড রাডার সরঞ্জাম, স্যাটেলাইটের কাঠামো এবং উৎক্ষেপণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সরবরাহ করছে। এছাড়া হায়দ্রাবাদের ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার এস-ব্যান্ড ডেটা সংগ্রহ এবং প্রচারের দায়িত্বে থাকবে।

নিসারের মাধ্যমে পৃথিবীর হিমবাহ, বরফের স্তর, বনভূমি এবং জলাভূমির পরিবর্তন নজরদারি করা হবে। এছাড়া ভূমির অগ্রসরতা, ভূমিধস, ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। নিসারের ছবি টেনিস কোর্টের অর্ধেক আকারের ছোট অঞ্চলেরও পরিবর্তন শনাক্ত করতে সক্ষম।  

বিজ্ঞানী পল রোসেন জানিয়েছেন, নিসারের ডেটা পৃথিবীর একটি গল্প তৈরি করবে—পৃথিবী কীভাবে একটি জীবন্ত ব্যবস্থার মতো কাজ করে, তা বুঝতে সাহায্য করবে। এই পর্যবেক্ষণগুলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ক্ষয়ক্ষতির পূর্বাভাস এবং মূল্যায়নে সহায়তা করবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button