Bangladesh

‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’-এ বিএনপির ৩ নেতাকে আমন্ত্রণ: যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

‘বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এ দাওয়াত সংশ্লিষ্টদের জন্য একটি কৌশলগত বার্তা বহন করবে।’

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। 

এর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। একেকজন একেক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টিকে দেখছেন।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শাহীদুজ্জামান বলেছেন, ‘এটি বিএনপির প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তাদের নেতৃত্বের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গুড উইলের স্বীকৃতি। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ভবিষ্যতে দাওয়াতপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন এবং বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়নে অবদান রাখবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ দাওয়াতের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পরবর্তী প্রজন্মের নেতৃত্বকে মেনে নিচ্ছে। একইসঙ্গে, বিএনপির তারেক রহমানের গুরুত্বপূর্ণ দুই সহযোগীকেও স্বীকৃতি দিচ্ছে। এটি তাদের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগও করে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এ দাওয়াত সংশ্লিষ্টদের জন্য একটি কৌশলগত বার্তা বহন করবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ুন কবির দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ‘দাওয়াতটি অবশ্যই ইতিবাচক একটি দিক। তবে এটি হাজারো অতিথির একটি অনুষ্ঠান, যেখানে বৈশ্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব উপস্থিত থাকে। সেখানে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গভীর আলাপচারিতার সুযোগ না থাকলেও অন্যদের সঙ্গে ইন্টারঅ্যাকশনের সুযোগ পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র কখনোই একপাক্ষিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয় না। তারা সব পক্ষের সঙ্গেই যোগাযোগ রক্ষা করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ উপলক্ষ্যকে কতটা কার্যকরভাবে কাজে লাগানো যায় সেটাই আসল বিষয়। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল, তাই এ অনুষ্ঠান তাদের সঙ্গে যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে। বিশ্বের বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো এ ধরনের চর্চা করে।’

এম. হুমায়ুন কবির আরও বলেন, ‘এটি একটি সুযোগ—যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়। দাওয়াতটি একটি আনুষ্ঠানিক বিষয়মাত্র।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠেয় ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানের সঙ্গে মার্কিন সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে ইতিমধ্যে স্পষ্ট করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। দূতাবাসের মুখপাত্র আশা বে সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ নামে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে না। এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নয়। 

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button