নিউ গ্লেন রকেটের প্রথম উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিল ব্লু অরিজিন
জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠিত ব্লু অরিজিন অবশেষে তাদের বহু প্রতীক্ষিত নিউ গ্লেন রকেটের প্রথম উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত। এই বিশালাকার রকেটটি আগামী রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপিত হতে যাচ্ছে। প্রায় ৩০ তলা উচ্চতার এই রকেটটি ব্লু অরিজিনের এক দশকের গবেষণা ও কয়েক বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের ফসল।
স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটের আধিপত্য চ্যালেঞ্জ করতে ব্লু অরিজিন তাদের নিউ গ্লেন রকেটকে তৈরি করেছে। নিউ গ্লেন ফ্যালকন ৯ এর চেয়ে দ্বিগুণ শক্তিশালী এবং এর পেলোড ক্যাপাসিটিও বেশি। এটি একসাথে বৃহৎ সংখ্যক স্যাটেলাইট বহন করতে সক্ষম। সফল হলে নিউ গ্লেন আমাজনের কুইপার স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক উৎক্ষেপণে কাজ করবে, যা স্পেসএক্সের স্টারলিঙ্কের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে।
নিউ গ্লেনের উৎক্ষেপণ ব্লু অরিজিনের জন্য একটি বড় পরীক্ষা। সংস্থাটি এতদিন তাদের ছোট রকেট নিউ শেপার্ড দিয়ে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। তবে এটি হবে তাদের প্রথম কক্ষপথে পৌঁছানোর মিশন। নতুন রকেটের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার ঝুঁকি থেকে যায়, তবে সফল হলে এটি স্পেস প্রতিযোগিতায় নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।
ব্লু অরিজিন ইতিমধ্যে ইউটেলস্যাটের ওয়ানওয়েব, কানাডার টেলিস্যাট এবং এএসটি স্পেসমোবাইলের মতো বড় গ্রাহকদের সাথে চুক্তি করেছে। এই রকেটের পুনঃব্যবহারযোগ্য অংশ উৎক্ষেপণের পর ড্রোন শিপে অবতরণের চেষ্টা করবে।
ব্লু অরিজিনের নিউ গ্লেন প্রকল্পটি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছে। ২০২৩ সালে কোম্পানির নতুন সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া ডেভ লিম্প এই প্রকল্পকে নতুন গতিশীলতা দিয়েছেন। ব্লু অরিজিনের কর্মীরা এখন দিনরাত কাজ করছেন প্রথম উৎক্ষেপণ সফল করতে।
এই উৎক্ষেপণটি যুক্তরাষ্ট্রের স্পেসফোর্সের গুরুত্বপূর্ণ সার্টিফিকেশন অর্জনের একটি ধাপ। এটি সফল হলে ব্লু অরিজিন জাতীয় নিরাপত্তা মিশনের জন্য মাল্টিবিলিয়ন ডলারের চুক্তি পেতে পারে।