International

খুব শীঘ্রই হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করতে যাচ্ছে ভারত!

গেল কয়েকদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কিছু জায়গা ভারতের সীমান্ত বাহিনী বিএসএফ কর্তৃক সীমান্তে বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুদেশের মধ্যে দেখা দিয়েছিল উত্তেজনা।সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছিলেন,ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকালে গত কয়েক দিন ধরে যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল তা এখন আর নেই।বিএসএফ সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখায় উত্তেজনাও বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ এবার সীমান্ত ইস্যুতে মুখ খুলেছেন, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সীমান্ত ইস্যু নিয়ে কথা বলেন বিজেপির এই নেত্রী।

ভারতের সাংবাদিকের এ অবস্থায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনারকে পাঠিয়েছে আলোচনা করতে এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন  প্রশ্নের জবাবে বিজেপির এই নেত্রী বলেন,আমরা ভালোভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।তারপর কুড়ি তারিখের পরে কোনদিক থেকে কোন দিকে, কোথায় কি ছুটে,কি ছুটবে কি হবে,কে ঢুকবে কিছু বলা যাচ্ছে না।আমরাতো বুঝতে পারছি, মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার কীভাবে বাংলাদেশের গরীব, অর্ধশিক্ষিত,মানুষদের কীভাবে ভারতের বিরুদ্ধে, তাতাবার চেষ্টা করছে,উষ্কাবার চেষ্টা করছে, এটা আমরা বুঝতে পারছি।

শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে বিজেপির এই নেত্রী আরো বলেন, আপনারা কী বলছেন এটা মানা হচ্ছে না? কি কি ছিল শেখ হাসিনাঝি সরকারের সময় সেগুলা মানা চলবে না।জিরো লাইন এ করে দিবেন এসব কি গল্প দিচ্ছেন।যা হয়ে আসছে,যা আন্তর্জাতিক আইন সে হিসাবেই করা হচ্ছে।

কোন লাভ হবে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এগুলা করে কোন লাভ হবে না মোহাম্মদ ইউনূস।কুড়ি তারিখের জন্য অপেক্ষা করছি, আপনারা কুড়ি তারিখ পর অনেক কিছুই দেখতে পাবেন।তারপর মোহাম্মদ ইউনূস আপনি কোথায় থাকবেন, সেটা একবার দেখে নিন।

ভারতের সাংবাদিকদের সমস্ত পরিস্থিতি সামনে রেখে এই পরিস্থিতির সমাধান চিত্র বেরিয়ে আসবে।বাংলাদেশের যে সীমান্ত সেখানে একটা হাই এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে এই যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে, জবাবে বিজেপি বলেন, দেখুন আজকে বাংলাদেশ বলুন আর পাকিস্তান বলুন, দুটো দেশই  অখন্ড ভারতবর্ষের অন্তর্গত ছিল।

নেহেরুর কথা উল্লেখ করে বিজেপির এই নেত্রী আরো বলেন, জওরুল লাল নেহেরু আর মহাত্না গান্ধীর জন্য আজ দেশকে ভাগ হতে হয়েছে।এবং হলো তো হলো, সেখানে যারা হিন্দুরা রয়ে গেল তারা দেখলাম বছরের পর বছর শুধু কমতে থাকল।

ভারতবর্ষের মুসলমান বাড়ছে আর পাকিস্তান বলুন আর বাংলাদেশতো আমরা সবাই জানি কি হচ্ছে? আর মোহাম্মদ ইউনূসের অন্তবর্তীকালীন সরকার তিনি বুঝেছেন, তাঁকে যদি এই সরকারে থাকতে হয়,তাঁর জন্য নির্বাচন তিনি এখন করবেন না।তিনি তা বলেই দিয়েছেন।আর তাকে যদি বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার হিসাবে থাকতে হয়, তাকে সেই মৌলবাদীদের কথা শুনে চলতে হবে।মৌলবাদীরা চাইছে এখানে হিন্দুরা থাকবে না।হিন্দুরা হয় চলে যাক, নয়তো ধর্ম পরিবর্তন করুক।এজন্যই মৌলবাদীদের কথায় হ্যাঁ মিলানো হচ্ছে।

ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে ঘোষণা করলেই কি এই সমস্যার সমাধান হবে, আপনারা মনে করছেন, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে বিজেপির এই নেত্রী আরো বলেন, দেখুন ভারতবর্ষকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করা হবে কিনা তা শীর্ষ নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিদ্ধান্ত নিবেন।

কিন্তু আমাদের যেই সংবিধান, সেখানে প্রথম থেকেই যে সংবিধান ছিল সেখানেতো সোশ্যালিষ্ট বা সেকুলারিজম কথাটা ছিল না এটাতো চালাকি করে নেহেরু এবং কংগ্রেস সরকার ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থায় সংবিধানে যুক্ত করেছে।পুরো জিনিসটাকে ঘোট পাকিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস।হিন্দু রাষ্ট্র হবে কিনা সেটা আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব জানবেন।

শীর্ষ নেতৃত্ব বা প্রধানমন্ত্রী জানবেন ভারত হিন্দুরাষ্ট্র হবে কিনা তাঁর এই বক্তব্যের পরেই, বিভিন্ন মহলে কথা উঠেছে তাহলে কি খুব শীঘ্রই হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করতে যাচ্ছে ভারত?

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button