নৌকাতে ফাটল, সাগরেই ডুবল অভিবাসপ্রত্যাশীরা
স্পেনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি নৌকা ডুবে গেছে। পশ্চিম আফ্রিকা থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসা নৌকাটি মরোক্কো উপকূলে ডুবে যায়। এতে অর্ধশতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) অধিকার গ্রুপ ওয়ার্কিং বর্ডার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
ওয়ার্কিং বর্ডার্স বলছে, ৮৬ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিয়ে গত ২ জানুয়ারি নৌকাটি মৌরিতানিয়া থেকে ছেড়ে আসে। এর মধ্যে ৬৬ জনই পাকিস্তানের নাগরিক। বুধবার সাগর থেকে ৩৬ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করে মরোক্কো কর্তৃপক্ষ।
সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) অধিকার গ্রুপটির সিইও হেলেনা মালেনো লেখেন, ‘ভাঙা নৌকা নিয়ে ১৩ দিন সাগরে ভাসছিল অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। এ সময়ে কেউ তাদের উদ্ধার করতে আসেনি।’
এক্সে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পশ্চিম সাহারা অঞ্চলের উপকূলে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ৪০ পাকিস্তানি প্রাণ হারিয়েছে। বেঁচে যাওয়াদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ছিলেন। তাদের দাখলা বন্দরের কাছে একটি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ বলছে, নৌকাটিতে ৮০ জন যাত্রী ছিল।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী নিখোঁজ একটি নৌকার বিষয়ে কোনো বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে সতর্কতা পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে স্পেনের মেরিটাইম রেসকিউ সার্ভিস বলেছে, তারা গত ১০ জানুয়ারি মৌরিতানিয়ার নোয়াকচট ছেড়ে আসা একটি নৌযান সম্পর্কে জানতে পেরেছিল। তবে, সেটি সংকটের মধ্যে পড়েছিল বলে ধারণা করা হলেও ভেঙে যাওয়া নৌকাটিই সেটি কি না, তা নিশ্চিত করতে পারেনি স্পেনের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ।
ওয়ার্কিং বর্ডার্স বলছে, ছয়টি সম্পৃক্ত দেশকে তারা নিখোঁজ নৌযানের ব্যাপারে জানিয়েছে। আর অ্যালার্ম ফোন নামে একটি এনজিও বলছে, তারা নিখোঁজ নৌযানের বিষয়ে স্পেনের মেরিটাইম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল।
অধিকার গ্রুপটির তথ্যমতে, ২০২৪ সালে স্পেনে যেতে গিয়ে ১০ হাজার ৪৫৭ অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছে। সে হিসেবে সাগরে প্রতিদিন মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। মৃতদের বেশিরভাগ নৌকা আফ্রিকার পশ্চিমাঞ্চল থেকে ছেড়েছিল। আর স্পেনে যেতে তারা আটলান্টিক রুট ব্যবহার করতো।