উড্ডয়নের পরপরই স্পেসএক্সের স্টারশিপ বিস্ফোরিত
প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট উৎক্ষেপণের পরপরই বিস্ফোরিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে ১৬ জানুয়ারি উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় স্টারশিপ। স্টারশিপের ধ্বংসাবশেষ মেক্সিকো উপসাগরের ওপর ছড়িয়ে পড়ে। সতর্কতা হিসেবে বিভিন্ন বিমান সংস্থাকে মেক্সিকো উপসাগর এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।
স্পেসএক্সের স্টারশিপে পরীক্ষামূলকভাবে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট বহন করা হচ্ছিল। উৎক্ষেপণের ঠিক ৮ মিনিট পর বিস্ফোরিত হয় স্টারশিপ। স্পেসএক্সের কমিউনিকেশন ম্যানেজার ড্যান হুট বলেন, ‘আমরা নভোযানের সঙ্গে সব যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিলাম। রকেটের ওপরের অংশে কোনো অসংগতি বলে এমনটা হয়েছে। সর্বশেষ স্টারশিপ রকেটে গত বছরের মার্চ মাসে ত্রুটি দেখা গিয়েছিল।’
বিস্ফোরণের কারণে রকেটের ধ্বংসাবশেষ এড়াতে কয়েক ডজন বাণিজ্যিক ফ্লাইটের পথ পরিবর্তন করা হয়েছে। মায়ামি, ফোর্ট লডারডেলসহ বেশ কিছু বিমানবন্দরে ফ্লাইট ৪৫ মিনিট দেরি করা হয়। স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক এক্সে ধ্বংসাবশেষ নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, সাফল্য অনিশ্চিত, তবে বিনোদন নিশ্চিত! মাস্ক আরও জানিয়েছেন, ব্যর্থতার প্রাথমিক মূল্যায়নে দেখা যায়, তরল অক্সিজেন জ্বালানির অংশে অভ্যন্তরীণ ফুটোর কারণে চাপ তৈরি হয় বলে রকেটে ত্রুটি দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করবে। এই বছরে কমপক্ষে ১২টি স্টারশিপ রকেট উড্ডয়নের পরিকল্পনা আছে ইলন মাস্কের। এ নিয়ে স্পেসএক্স তাঁর সপ্তম স্টারশিপ উড্ডয়ন পরীক্ষা চালানো। এই রকেটে মঙ্গল গ্রহে মানুষ ও পণ্যসম্ভার বহন করতে করতে চান ইলন মাস্ক।