ট্রাম্প ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন, প্রথম দিনেই সই করবেন রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশে
ওয়াশিংটন পৌঁছে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি সেখানেই তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ শেষে সেদিনই রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশে সই করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প, তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া এবং ট্রাম্প পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে ইউএস এয়ার ফোর্সের একটি উড়োজাহাজ স্থানীয় সময় শনিবার ডালাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সেখান থেকে ট্রাম্প তাঁর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভার্জিনিয়ায় তাঁর গলফ ক্লাবে যাবেন। ভার্জিনিয়া ওয়াশিংটন উপকণ্ঠে অবস্থিত। গলফ ক্লাবে আতশবাজি পোড়ানোর মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ উৎস শুরু হয়ে যাবে।
ট্রাম্প শনিবার ওয়াশিংটন রওনা হওয়ার আগে টেলিফোনে এনবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে তিনি বলেন, সোমবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনই তিনি রেকর্ডসংখ্যক নির্বাহী আদেশে সই করবেন। যদিও ঠিক কতগুলো আদেশে সই করবেন, তা এখনো ঠিক করা হয়নি বলে জানান তিনি। তবে সেটি রেকর্ডসংখ্যক হবে।
ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সংখ্যাটি ১০০ পার করবে কিনা। জবাবে তিনি বলেন, সংখ্যাটি অন্তত এমনই হবে।
ট্রাম্প যেসব নির্বাহী আদেশে সই করবেন, তার অনেকগুলোই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের গৃহীত নীতি বাতিল করতে করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্প তাঁর নতুন মেয়াদের প্রথম দিন থেকে যেসব কর্মসূচি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার মধ্যে গণবিতাড়ন কর্মসূচিও রয়েছে।
ট্রাম্প এনবিসি নিউজকে বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন কর্মসূচি খুব, খুবই দ্রুত শুরু হবে।
এনবিসি নিউজকে ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘কোন কোন শহরে হবে আমি এখনই তা বলতে পারছি না। কারণ, সবকিছু ছড়িয়ে পড়ছে। এবং এটা আমরা বলতে চাই বলেও আমার মনে হয় না। আপনি এটা সরাসরি দেখতেই পাবেন।’
সাম্প্রতিক কালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানগুলো ন্যাশনাল মলের সামনে ইউএস ক্যাপিটলের সিঁড়িতে হয়েছে। তবে ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান সেখানে হচ্ছে না।
গত শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওয়াশিংটনে অস্বাভাবিক ঠান্ডা আবহাওয়ার পূর্বাভাস থাকার কারণে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ঘরের ভেতরে স্থানান্তর করা হয়েছে।