হামাসের কাছ থেকে ‘উপহার’ পেলেন মুক্তি পাওয়া ৩ ইসরায়েলি জিম্মি
দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মতি দিয়েছে হামাস-ইসরায়েল। গতকাল থেকে কার্যকর হওয়া এই চুক্তির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে মুক্তি পেয়েছেন তিন ইসরায়েলি বেসামরিক নারী। মুক্তির সময় তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে হামাস একটি করে ‘উপহারের’ ব্যাগ দিয়েছে।
আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।
মুক্তি পাওয়া তিন নারীর নাম এমিলি ডামারি, রোমি গোনেন ও ডোরন স্টাইনব্রেগার। এমিলি ও রোমি একইসঙ্গে বন্দি ছিলেন।
ব্যাগের ভেতর যা ছিল
উপহার বুঝে নিচ্ছেন এমিলি ডামারি।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের সংবাদ মতে, তিন জিম্মিই একটি করে ‘উপহারের ব্যাগ’ পেয়েছেন।
মুক্তি দেওয়ার আগে হামাস একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জিম্মিদের হাতে উপহারের ব্যাগ তুলে দেয়।
ব্যাগে ছিল গাজা উপত্যকার একটি মানচিত্র, বন্দি থাকা অবস্থায় জিম্মির নিজের ছবি (হামাসের সদস্যদের তোলা) এবং একটি সনদ।
সনদে বড় করে ‘মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’ লেখা ছিল। ওই সনদ হাতে নিয়ে জিম্মিরা হাসিমুখে ছবি তোলেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির (আইসিআরসি) সদস্যরা এই সনদে সাক্ষর করছেন।
পরবর্তীতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তের অংশ হিসেবে রেড ক্রসের হাতে জিম্মিদের তুলে দেওয়া হয়।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের ভাষ্য
রেড ক্রসের কাছে জিম্মিদের হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলে আল কাসেম ব্রিগেডের এই সদস্য।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমে এই উপহার বা স্মারক দেওয়ার বিষয়টিকে হামাসের ‘মনস্তাত্বিক যুদ্ধের’ অংশ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বেশ কড়া ভাষায় এ বিষয়টির নিন্দা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
তাদের দাবি, হাসিমুখে সনদ হাতে ছবি তুললেও এতে রাজি ছিলেন না জিম্মিরা। হামাস তাদেরকে সনদ নেওয়ার অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এবং ছবি তুলতে বাধ্য করেছে।
জেরুজালেম পোস্ট দাবি করেছে, বেঁচে ফিরে আসা জিম্মিরা এই ঘটনাকে একটি নেতিবাচক কৌশল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সনদ হাতে ছবি তুলছেন এমিলি ডামিরি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সামাজিক গণমাধ্যমে অনেক মানুষ বিষয়টিকে ‘অসুস্থ মানসিকতার উদাহরণ’ ও ‘নির্মমতার নতুন সংজ্ঞা’ হিসেবে ব্যাখা করেন। অপরদিকে, হামাস সমর্থকদের একটি মহল এর প্রশংসা করেন।
উপহার দেওয়া ও ছবি তোলার ঘটনা নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাসের সশস্ত্র অঙ্গসংগঠন এজেদ্দিন আল-কাসাম ব্রিগেড।