ভরপুর ফলনেও কাঁদছেন চাষি, পাশে নেই কেউ
ফসলের ভরপুর ফলনে চাষির ঘরে থাকার কথা আনন্দের দোল। সাদাচোখে এটাই সত্য! তবে এখন হিসাব বদলে গেছে। বাম্পার উৎপাদনেও কখনও-সখনও কৃষকের হৃদয় পোড়ে। এই যেমন বগুড়ার শিবগঞ্জের মোকামতলার কৃষক মাসুদুর রহমানের দুই চোখে বেদনার জল। তাঁর দুই একর জমিতে জম্পেশ ফলেছে ফুলকপি। শরীরের লবণপানি ঝরিয়ে উৎপাদিত ফুলকপি স্থানীয় মহাস্থান হাটে তোলার পর দাম শুনে মনে যে চোট পেলেন, তা সারার কোনো দাওয়াই নেই! শুধু ভেজা চোখে বললেন, ‘বাড়িত গরু-ছাগল থাকলে তাদেরই খাওয়াতাম। উৎপাদন খরচ বাদ দিলাম, মাঠ থেকে হাট পর্যন্ত ফুলকপি আনতে কেজিতে যে খরচ হচ্চে, সেই ট্যাকাও পানো না।’
ঠাকুরগাঁওয়ের বর্গাচাষি আসাদুল হক ধারদেনা করে এ বছর ছয় একর জমিতে আগাম আলুর আবাদ করেছিলেন। নিজের পরিশ্রম বাদেও খরচ হয়েছিল ছয় লাখ টাকা। আলু বেচতে গিয়ে রীতিমতো ভ্যাবাচ্যাকা! উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামও পকেটে তুলতে পারেননি আসাদুল।
শুধু ফুলকপি কিংবা আলু নয়; বাঁধাকপি, মুলা, শিমসহ আরও কয়েকটি সবজির দাম কৃষক পর্যায়ে তলানিতে এসে ঠেকেছে। মুড়িকাটা পেঁয়াজেও নেই দামের ঝাঁজ। বছরের পর বছর যে কোনো ফসলের ক্ষেত্রেই দর না পেয়ে কৃষকের খেদোক্তির শেষ নেই। দামের এ গাড্ডা থেকে কৃষককে বের করতে সরকারের নেই তেমন কার্যকর উদ্যোগ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের সমন্বয় না থাকা, সিন্ডিকেটের কারসাজি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঠিক দিকনির্দেশনার অভাব, কোল্ডস্টোরেজ সংকট, প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যবস্থা না থাকা, বাজার ব্যবস্থাপনায় নীতিমালার অভাব, রপ্তানিতে বাধা, মূল্য কমিশন গঠন না করা এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর ব্যর্থতায় দাম নিয়ে কৃষকের এমন দুর্গতি বছর বছর কপাল লেখন হয়ে গেছে। অন্যদিকে ভেজাল বীজ, নিম্নমানের সার, ডিলারের কারসাজি, কৃষিঋণে ভোগান্তি, প্রণোদনায় স্থানীয় প্রভাবশালীর দাপট, কীটনাশকের চড়া দর, সেচের গ্যাঁড়াকলে পড়ে শুরু থেকেই চাষবাসে পিছিয়ে পড়েন ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিরা। সেখানে যোগ হয় বাম্পার ফলনের চাপে দামে ধস!
ঢাকায় দাম ১০ গুণ
নাটোরের বাজারে এখন মুলার কেজি ২ থেকে ৩ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৫ থেকে ৭ টাকা, শসার কেজি ৮ থেকে ১০ টাকা, লালশাকের আঁটি এক টাকা, ধনেপাতা ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি। অথচ ঢাকার বাজারে এসে ভোক্তাপর্যায়ে এসব সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে ১০ গুণের বেশি।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এক কেজি শিম উৎপাদনে খরচ হয় ৬ টাকা ৮৮ পয়সা। এ ছাড়া প্রতি কেজি টমেটো ৯ টাকা ৬৯ পয়সা, বেগুন ১০ টাকা ২৬ পয়সা এবং প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপির উৎপাদন খরচ প্রায় ১০ টাকা। প্রতিটি লাউ উৎপাদনে খরচা হয় ১৩ টাকা ২০ পয়সা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘কৃষকের প্রাণ কৃষি পরিবার’ নামে একটি গ্রুপে চাষিদের হাহাকার খানিকটা আঁচ পাওয়া যায়। সাড়ে তিন লাখের বেশি সদস্যের গ্রুপটি ভারী হয়ে উঠেছে কৃষকের কষ্টকথায়। নওগাঁ থেকে একজন গ্রুপে লিখেছিলেন, ‘হাট থেকে ১২৩ পিস ফুলকপি ১৪০ টাকা দিয়ে কিনে আনলাম গরুকে খাওয়াতে।’
মাঠের কৃষকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেও ফেসবুকের সেই গ্রুপের বিলাপধ্বনি কানে বাজে। গাইবান্ধার কৃষক সুরত মিয়া এবার ফুলকপি নিজের মাঠেই নষ্ট করেছেন। কারণ, ফুলকপির দাম নেই। মাঠ থেকে ফুলকপি দুই টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে পারেননি তিনি।
সংস্থাগুলো হাত গুটিয়ে
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে কৃষক পরিবারের সংখ্যা ১ কোটি ৬৫ লাখ। এর প্রায় ৮৪ শতাংশ প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষক। এই অসংগঠিত কৃষক তাঁর উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম কীভাবে পাবেন? সেই আলোচনা দীর্ঘদিনের, তবে সমাধানে নেই আলোর দেখা। কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের অনেক সংস্থা থাকলেও তাদের নেই কার্যকর পদক্ষেপ।
প্রতিযোগিতামূলক দরে সাধারণ মানুষের পণ্য ও সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে দেশে রয়েছে প্রতিযোগিতা কমিশন। সেই প্রতিযোগিতা কমিশনের এ বিষয়ে কোনো পরিকল্পনাই নেই। বাজার পরিদর্শন পর্যন্তই থেমে আছে কমিশনের কাজ। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রতিযোগিতা কমিশনের সব পরিচালক একযোগে পদ ছাড়েন। এর পর থেকে এই কমিশনের কাজ থমকে গেছে।
কৃষিপণ্য উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান। কৃষিপণ্য বিপণনের দায়িত্ব কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের। শুরু থেকেই দায়সারা কাজে দায় সারছেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। দাম নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে থাকা বিপণন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষিপণ্যের বাজার সংযোগ সৃষ্টি ও সুষ্ঠু সরবরাহে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে বলা হয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরকে। পাশাপাশি কৃষিপণ্যের চাহিদা ও জোগান নিরূপণ, মজুত এবং মূল্য পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার কথা এই অধিদপ্তরের। প্রয়োজনে অত্যাবশ্যকীয় কৃষিপণ্যের দর আগাম প্রক্ষেপণ করে সে বিষয়ে তথ্য দেবে দাম সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে। বিশাল এই সংস্থাটি যেন ‘ভাতঘুমে’!
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম বলেন, ‘হাতবদলে দাম বাড়ার প্রবণতা কীভাবে কমিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছি। ভবিষ্যতে এসব পদক্ষেপ চলমান থাকলে আপনারা এর ফল দেখতে পারবেন।’
প্রায় দেড় দশক আগে গ্রামীণ কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে এবং সরাসরি পাইকারের সঙ্গে যুক্ত করতে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় চালু হয় গ্রোয়ার্স মার্কেট। উত্তর-পশ্চিম শস্য বহুমুখীকরণ প্রকল্পের (এনসিডিপি) আওতায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে স্থাপিত হয় এই বাজার। কৃষকের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে নির্মিত এ বাজারের অধিকাংশই এখন ‘অদৃশ্য’।
দেশে হিমাগার (কোল্ডস্টোরেজ) স্বল্পতায় সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিপণ্য। এতে ক্ষতির মুখোমুখি কৃষক। কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে ২৮টি সরকারি হিমাগারের সবকটিই বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি)। এ ছাড়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সাত জেলায় ১০ টন ধারণক্ষমতার ৩০০ প্রাকৃতিক পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার, ৩০ টনের ৩৮৩ প্রাকৃতিক আলু সংরক্ষণাগার ও ৫০ টনের চারটি টমেটো সংরক্ষণাগার নির্মাণ করেছে। দেশে ৩৩৮টি বেসরকারি আলুর হিমাগার আছে।
সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৩৬৬ হিমাগারে আলুর ধারণক্ষমতা প্রায় ৩০ দশমিক ৬৯ লাখ টন। ২০২৪ সালে এসব হিমাগারে ২৪ দশমিক ২৩ লাখ টন আলু সংরক্ষণ করা হয়। অথচ দেশে আলুর সর্বোচ্চ বার্ষিক চাহিদা ৮০ লাখ টন। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টনের কাছাকাছি। বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশে বেসরকারি কোল্ডস্টোরেজ আছে ৪১৪টি, যার ৯৫ শতাংশ ব্যবহার হয় আলু সংরক্ষণে। বাকি ৫ শতাংশে ফল ও মাছ সংরক্ষণ করা হয়। অথচ পাশের দেশ ভারতে সাত হাজারের বেশি হিমাগার আছে।
দেশে যে হিমাগার আছে, এর সুফলও পাচ্ছেন না প্রান্তিক কৃষকরা। আবার আলু হিমাগারে রাখতে গিয়ে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এই মৌসুমে আলু সংরক্ষণের খরচ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন হিমাগার মালিকরা। আলু সংরক্ষণের জন্য ভাড়া প্রতি কেজিতে ১ টাকা বাড়িয়ে ৮ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা আলু হিমাগারে সংরক্ষণে ভাড়া ছিল ৩৫০ টাকা। এবার তা করা হয়েছে ৪০০ টাকা।
ফসলের উৎপাদনে অগ্রগতি হলেও কৃষিভিত্তিক শিল্পায়নে এখনও পিছিয়ে বাংলাদেশ। রপ্তানি প্রক্রিয়া, বাণিজ্যিকীকরণ ও বহুমুখীকরণে গতি নেই। পর্যাপ্ত প্যাকেজিং ও প্রক্রিয়াজাতকরণেরও সুযোগ নেই। সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও সরবরাহ প্রক্রিয়ায় দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে উৎপাদিত ফসলের একটা অংশ নষ্ট হচ্ছে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছেন উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা। উদ্যোক্তারা বলছেন, রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা কমে যাওয়া, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং পর্যাপ্ত বন্দর সুবিধা না পাওয়ায় রপ্তানি হচ্ছে কম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, বিশ্বে শীর্ষ দশে আছে বাংলাদেশে উৎপাদিত কয়েকটি কৃষিপণ্য। সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয়। বছরে উৎপাদন হয় ১ কোটি ৬০ লাখ টন। সবজি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা বলছেন, মান নিয়ে কড়াকড়ির কারণে ২০১৭ সালের মার্চে ইইউতে সবজি রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। এর পর ২০১৮ সালের জুলাইয়ে সে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
ঢাকার শ্যামপুরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাংলাদেশে ফাইটোস্যানিটারি সামর্থ্য শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অধীনে সেন্ট্রাল প্যাকিং হাউস করা হয়। সেটি তেমন কাজে আসছে না। উদ্যোক্তারা বলছেন, শ্যামপুর থেকে বিমানবন্দরে যেতে যানজটের কারণে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লেগে যায়। অথচ ভারত সবজি রপ্তানির জন্য আলাদা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড) করেছে।
কৃষি উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। এটি দীর্ঘদিনের সমস্যা হলেও নতুন করে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। মিনি কোন্ডস্টোরেজ নির্মাণ করতে যাচ্ছি, যাতে প্রান্তিক কৃষকের ঘরে ঘরে কোল্ডস্টোরেজ যেতে পারে।
তবে কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খানের মতে, শুধু বিনিয়োগ দিয়ে হিমাগার বা প্রসেসিং ইউনিট করলেই হবে না। এর সঙ্গে প্রয়োজন সরকারের সঙ্গে কৃষকের সরাসরি সেতুবন্ধন। ভারত ‘মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইজ’ নামে একটি স্কিম চালু করেছে, যা কৃষকের নিজের উৎপাদিত ফসলের নির্দিষ্ট দাম পাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়। এ ছাড়া ‘ফসল বীমা কর্মসূচি’ও রয়েছে সেখানে। ভারতে প্রায় ২৩টি পণ্য সরকার কিনে নিয়ে মজুত করে। পরে যখন মৌসুম শেষ হয়, তখন সরকার বাজারে সেই পণ্য ছাড়ে। তাতে বাজার নিয়ন্ত্রিত থাকে। কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ‘কৃষিমূল্য কমিশন’ গঠনের প্রস্তাবও করেন এই কৃষি বিশেষজ্ঞ।
বাজার নিয়ে নেই পরিকল্পনা
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কে জে এম আবদুল আউয়াল বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই ভরা মৌসুমে পণ্যের দাম কমলেও একটা ভারসাম্য থাকে। আমাদের দেশে সেটি নেই। ভরা মৌসুমে দাম তলানিতে যায়। তিনি বলেন, এবার যারা আগাম সবজি করেছিলেন, তারা ভালো দাম পেয়েছেন। যারা একসঙ্গে করেছেন, তারা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। কোন অঞ্চলের কৃষক কোন জাতের কী পরিমাণ ফসল উৎপাদন করবেন, সরকারের তরফ থেকে এর একটি নির্দেশনা দেওয়া থাকে। কৃষকের সেটি অনুসরণ করা দরকার।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. তাজউদ্দিন বলেন, পণ্যের বিকল্প ব্যবহার বাড়াতে হবে। অর্থাৎ মুলা দিয়ে শুধু তরকারি না খেয়ে অন্য কীভাবে এটি সংরক্ষণ করা যায়, সে চিন্তা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে এসব পণ্য ভরা মৌসুম বাদ দিয়ে পরে বিক্রি করলে দাম পাওয়া যাবে। কৃষিপণ্যের ভ্যালু এডিশন করে কৃষককে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় টাকা ও সরঞ্জাম রাষ্ট্রীয়ভাবে দিতে হবে।
একসঙ্গে সব এলাকায় একই ফসল না করে অঞ্চলভিত্তিক ফসল উৎপাদনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে উৎপাদনের ব্যাপারে কোটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তারা আগাম দামও নির্ধারণ করে। যদিও আমাদের দেশে এ কাজ করা খুব কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। মৌসুমের শুরুতে দামটা নির্ধারণ করে দিলে কৃষক লোকসানে পড়বেন না।