লুট হতে পারে চাঁদের সম্পদ, কীভাবে সম্ভব
পৃথিবী গ্রহের প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদকে প্রথমবারের মতো হুমকির সম্মুখীন সাংস্কৃতিক স্থানের তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। ভবিষ্যতে লুটের আশঙ্কা ও বাণিজ্যিক মহাকাশ ভ্রমণের কারণে চন্দ্রের বিভিন্ন শিলা ও সম্ভাব্য প্রত্নতাত্বিক বস্তুর ওপরে ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছে ওয়ার্ল্ড মনুমেন্ট ফান্ড। বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পিত ও বাণিজ্যিক চন্দ্র অভিযানের কারণে চাঁদের সম্পদ লুটপাট ও ধ্বংসের আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে চাঁদকে হুমকির সম্মুখীন স্থানের তালিকায় রাখা হয়েছে।
এই তালিকা প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড মনুমেন্টস ফান্ড। সংস্থাটি সাধারণভাবে পৃথিবীর দুর্বল সাংস্কৃতিক স্থানের তালিকা প্রকাশ করে থাকে। ২০২২ সাল থেকে তালিকাবদ্ধ করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থানের নাম। ২০২২ সালের তালিকায় কুহাপাক নান নামের একটি প্রাক্-হিস্পানিক আন্দিয়ান সড়কব্যবস্থা, তুরস্কের আনতাক্যা ও জাপানের নোটো উপদ্বীপের নাম দেখা যায়। নতুন তালিকায় চাঁদের নাম যুক্ত করা হয়েছে।
তালিকা প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএমএফের প্রেসিডেন্ট বেনেডিক্ট ডি মন্টলাউর বলেন, চাঁদ নিয়ে মানুষের ক্রিয়াকলাপ বাড়ছে। এতে ঝুঁকি বাড়ছে। এ কারণে চাঁদকে ২৫টি স্থানের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চাঁদ নিয়ে ২০২০ সালের পর বড় বড় দেশের অনেক অভিযান দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি চীন ও ভারতের মতো দেশ চাঁদে নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর কাজ করছে। ২০২৭ সাল নাগাদ নাসার আর্টেমিস অভিযান দেখা যাবে চাঁদে।
সংস্থাটি মনে করে, ১৯৬০ দশকে চন্দ্র জয়ের পরে টেলিভিশন ক্যামেরা, বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্নসহ শত শত বস্তু সেখানে আছে। এসব লুট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। চন্দ্র ছাড়াও তালিকায় আফ্রিকার সোয়াহিলি উপকূল, মোজাম্বিক দ্বীপসহ বিভিন্ন স্থাপনার নাম রয়েছে। আলবেনিয়ার ড্রিনো ভ্যালির অর্থোডক্স মঠ, চীনের বৌদ্ধ স্থাপনার নাম দেখা যায়।