দাগি অপরাধীরা প্রকাশ্যে এসেই খুনোখুনিতে
রাজধানীর পল্লবীর টেকেরবাড়িতে গেল সোমবার দিনদুপুরে ১০-১২ দুর্বৃত্ত মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু নামে এক যুবককে চাপাতি ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। বাবুর স্বজন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, এই হত্যায় কলকাঠি নাড়েন দাগি সন্ত্রাসী মুসা শিকদার ওরফে সুমন শিকদার। এ ঘটনায় মুসাকে প্রধান আসামি করে পল্লবী থানায় মামলাও করেন বাবুর স্ত্রী। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্রসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
২০২২ সালে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে আসেন মুসা। এর পর সাঙ্গোপাঙ্গ নিয়ে ফের দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অপরাধ জগৎ।
মুসার মতো অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে এসেই ফের জড়াচ্ছেন অপরাধে। এতে বাড়ছে খুনোখুনি। চাঁদা ও ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘাত ছাড়াও এক পক্ষ অন্য পক্ষের ওপর হামলা করছে। স্থানীয়রা বলছেন, অন্তর্কোন্দলের ঘটনায় বাবুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বাবুর বিরুদ্ধেও দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে।
দাগি অপরাধীর অপতৎপরতার পাশাপাশি একের পর এক ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজিতে জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল রাজবংশী আহত হয়েছেন। তাঁর কাছ থেকে ৭০ ভরি স্বর্ণ ও ৪ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার গুলশানে ব্যবসায়ী দুই ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ কোটি টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাত ৯টার দিকে গুলশান-২-এ হামলার শিকার হন তারা।
১০ জানুয়ারি রাতে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে এহতেশামুল হক নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ওয়াহিদুল হাসান নামে আরেক ব্যবসায়ীর ওপর একই সময়ে হামলা হয়। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, এহতেশামুলকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অন্তত ২০ জন ছিলেন। তারা এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেটসহ আশপাশের এলাকার বিপণিবিতান, ইন্টারনেট, কেবল টিভির সংযোগ (ডিশ) ও ফুটপাতের চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে এসেছেন। দখল, চাঁদাবাজি ও খুনোখুনির কিছু ঘটনায় কয়েকজনের সম্পৃক্ততার তথ্য মিলেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, সানজিদুল ইসলাম ওরফে ক্যাপ্টেন ইমন, আব্বাস আলী ওরফে কিলার আব্বাস ও সুব্রত বাইন। তেজগাঁওয়ের শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসুও কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এরই মধ্যে মগবাজারের বিশাল সেন্টার ঘিরে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তৎপর হয়। অপহরণ ও চাঁদাবাজির শিকার হয়েছেন এমন অনেকেই প্রকাশ্যে মুখ খোলার সাহস করছেন না। সম্প্রতি ঢাকা থেকে অপহরণ করে একজনকে কুমিল্লা নিয়ে আটকে রাখা হয়। ৫০ লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি ছাড়া পেলেও জীবন শঙ্কায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেননি।
সন্ত্রাসী তৎপরতার ওপর গোয়েন্দা তথ্য রাখেন এমন এক কর্মকর্তা জানান, সন্ত্রাসীদের মধ্যে কেউ কেউ নতুন গ্রুপ তৈরি করেছে। আবার কয়েকজন পুরোনো শীর্ষদের ব্যবহার করে দখল, চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে পিচ্চি হেলাল ও ইমন দেশ ছেড়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সতর্ক রয়েছে ডিএমপি। তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় জেলে থাকার পরও তাদের মধ্যে কোনো সংশোধন নেই। এটা দুঃখজনক। বয়স হলেও জেল থেকে বের হয়ে সেই আগের মতো চাঁদাবাজি, দলাদলি শুরু করে দিয়েছে।’ পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের জামিন বাতিলে আবেদন করবে পুলিশ।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ১২টি হত্যাকাণ্ড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১০টি খুনে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। আর দু্’জনকে গুলি করে মারা হয়। রাজনৈতিক ও জমি নিয়ে বিরোধে ১টি, পারিবারিক কলহে ৪টি, ছিনতাই-ডাকাতিতে বাধা পেয়ে ৪ জন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২টি ও পূর্বশত্রুতার জেরে ১ জনকে খুন করা হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের থানা, ফাঁড়িসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলি লুটের ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে লুট হওয়া অস্ত্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৫০টি। গুলি লুট হয় ৬ লাখ ১৩ হাজার ৯৯ রাউন্ড। অনেকের আশঙ্কা, এসব অস্ত্র-গুলি হাতবদল হয়ে সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাংয়ের হাতে চলে যেতে পারে। এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৫৮টি অস্ত্র উদ্ধার করা গেছে। এখনও ১ হাজার ৩৯২টি অস্ত্র বেহাত।
পুলিশের অপরাধ তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসে ঢাকাসহ সারাদেশে ৯৪৭ জন খুন হয়েছেন। ডাকাতি ও ছিনতাই ঘটনায় ওই চার মাসে মামলা হয়েছে ৭৯৬টি। ২০২৩ সালের একই সময়ে এসব অপরাধের ঘটনায় মামলা হয় ৪৯৪টি। গত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপহরণের ঘটনায় মামলা হয় ৩০২টি। ২০২৩ সালের ওই সময়ে অপহরণের মামলা হয়েছিল ১৬০টি। তবে মামলার সংখ্যা দিয়ে প্রকৃত ঘটনা কখনোই নিরূপণ করা যায় না; বলছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ অনেক ভুক্তভোগী মামলা করতে থানার পথে হাঁটেন না।
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. উমর ফারুক সমকালকে বলেন, ‘বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নাজুক। আগে থেকেই যাদের অপরাধ করার প্রবণতা ছিল, এ পরিস্থিতিতে অনেকেই অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাই আইন না মানার প্রবণতা ও অপরাধের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অপরাধ আরও বাড়বে।’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) এসএন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘টপ গ্যাং যারা তারা সামনে আসে না। দৃশ্যের বাইরে থেকে তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে। তাদের কারও কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দাগী এসব অপরাধীর ব্যাপারে ইমিগ্রেশনে তথ্য দেওয়া হবে। দু’একজন দেশ ছাড়ার কথা শোনা গেলেও আমরা নিশ্চিত নই। আমাদের চেষ্টার ত্রুটি নেই।’
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, ‘যারা নতুনভাবে অপরাধে জড়াচ্ছে তাদের ওপর নজরদারি রয়েছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আমরা তাদের ধরার চেষ্টা করছি।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (গণমাধ্যম) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর নিবিড় তদন্ত চলছে।’
ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় খুন
১৮ ডিসেম্বর রাতে হানিফ ফ্লাইওভারে বাস থেকে নেমে হেঁটে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাচ্ছিলেন ২৩ বছরের তরুণ কামরুল হাসান। উদ্দেশ্য ছিল বন্ধুদের সঙ্গে সাজেক যাওয়ার। ফ্লাইওভারে কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁকে ঘিরে ধরে। এতে বাধা দিলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তাঁর বুকে চাকু মারে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে তাঁর মোবাইল ফোন ও ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার তিনজনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
জোড়া খুনের মামলা
মাদক কারবার ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মোহাম্মদপুরে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দুটি অপরাধী চক্রের সংঘর্ষে নাসির বিশ্বাস ও মুন্না হাওলাদার খুন হন। সংঘর্ষে জড়ানো এলেক্স ইমন ও আরমানের অনুসারীরা চুরি-ছিনতাই, মাদক কারবারসহ নানা অপরাধে জড়িত। সম্প্রতি তারা জামিনে বেরিয়ে নিজেদের সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারে নেমে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। নিহত দু’জনই আরমান গ্রুপের সদস্য। ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের ১ নম্বর ফটকের পাশে এ দু’জনকে খুন করা হয়। এ ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল এবং কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা এলেক্স ইমনসহ কয়েকজনের নামে মামলা হয়। পিচ্চি হেলাল দীর্ঘ ২৪ বছর পর ১৫ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পায়।
ব্যবসায়ীর ওপর হামলা
গত ১০ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ইসিএস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) সামনে দুর্বৃত্তরা ব্যবসায়ী এহতেশামুল হককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ এহতেশামুলের। এ ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজেদুল হক ওরফে ইমন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানায় মামলা হয়।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর ইমন জামিনে বের হয়ে মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের কিছু দোকান দখল ও চাঁদাবাজির চেষ্টা করছে। এ ছাড়া মার্কেটের ইন্টারনেট, খাবার পানি সরবরাহ ও পার্কিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে নিতে চেয়েও একাধিকবার মার্কেট নেতাদের কাছে ফোন করেছে ইমন ও তার সহযোগী কিলার মুন্না। এ ঘটনার পর ইমনের মা ডা. সুলতানা জাহান সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ইমন বিদেশে চলে গেছে। তাকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। হামলার ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত নয়।
ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক খুন
২১ সেপ্টেম্বর ভোরে গেণ্ডারিয়ায় ছুরিকাঘাতে মো. জিন্নাহ নামে ব্যাটারিচালিত এক রিকশাচালককে খুন করে দুর্বৃত্তরা। জিন্নাহ জুরাইন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি রাতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাতেন। পুলিশ জানায়, রিকশা ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে দুর্বৃত্তরা তাঁর পেটে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে লোকজন এগিয়ে আসেন। তখন দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
কক্সবাজারে গুলি করে খুন
খুলনার সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী ওরফে টিপুকে ৯ জানুয়ারি কক্সবাজারে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশ জানায়, চাচা শহীদুলের হত্যার প্রতিশোধ নিতে আসামি শাহরিয়ার ইসলাম ওরফে পাপ্পু সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানীকে হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেন। অন্য দুই আসামি ঋতু ও গোলাম রসুলও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেন।
বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা
১৩ আগস্ট বিকেলে গেণ্ডারিয়ার বসুবাজার এলাকায় স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আনিসুর রহমানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। রাজনৈতিক বিরোধ ও ফ্ল্যাট দখল নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে স্থানীয় যুবলীগ নেতা রেজাউল কবির তিতাস তাঁকে খুন করেন বলে জানতে পারে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তিতাসকে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। তিনি নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল থেকে গুলি করেন। গেণ্ডারিয়া থানার ওসি আবু শাহেদ খান বলেন, ঘটনার পর তিতাস পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।