‘জাতপ্রথা’ নিষিদ্ধ করছে আমেকিার প্রথম যে রাজ্য
‘জাতিগত বৈষম্য’ নিষিদ্ধ করতে একটি বিল অনুমোদন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আইনসভা। এর মধ্য দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়াই হতে যাচ্ছে আমেরিকার প্রথম কোনও রাজ্য যেখানে এ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা আইনে পরিণত হতে যাচ্ছে।
ওই রাজ্যের আইনপ্রণেতাদের দাবি, অন্যায় আচরণের শিকার হওয়া দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূতদের সুরক্ষা দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন গভর্নরের স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিলটি আইনে পরিণত হবে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম মার্কিন শহর হিসেবে জাতপ্রথা নিষিদ্ধ করে ওয়াশিংটনের সিয়াটল।
ক্যালিফোর্নিয়া আইনসভায় মঙ্গলবার ৩১-৫ ভোটে পাস হওয়া বিলটি আনেন ডেমোক্রেটিক স্টেট সিনেটর আয়েশা ওয়াহাব। তিনি বলেন, লিঙ্গ, জাতি, ধর্ম ও অক্ষম ব্যক্তির পাশাপাশি রাজ্যের বৈষম্য বিরোধী আইনে ‘জাত’কে একটি সুরক্ষিত বিভাগ হিসেবে যুক্ত করবে এ বিল।
আয়েশা ওয়াহাব রাজ্য আইনসভায় নির্বাচিত প্রথম মুসলিম ও আফগান-আমেরিকান নারী। তিনি বলেন, হাজার হাজার বছরের পুরানো বৈষম্যের অদৃশ্য শিকলে লাখ লাখ মানুষের হাত বাধা। আমরা এর ওপর আলো ফেলছি।
পাঁচজন রিপাবলিকান স্টেট সিনেটর এই আইনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। তাদের যুক্তি হলো, এর মধ্যেই রাষ্ট্রীয় আইনের অধীনে বৈষম্য অবৈধ।
ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউজমের অফিস বলেছে, বিলটি ডেস্কে পৌঁছালে তিনি মূল্যায়ন করবেন।
ভারতে বর্ণপ্রথা তিন হাজার বছরেরও বেশি পুরনো এবং হিন্দু সমাজকে কঠোর শ্রেণিবদ্ধ গোষ্ঠীতে বিভক্ত করে। তবে ১৯৪৮ সালে আইন করে বর্ণ বৈষম্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এখন কিছু হিন্দু গোষ্ঠী যুক্তি দিচ্ছে, উত্তর আমেরিকায় জাতপ্রথা একটি গুরুতর সমস্যা নয়।
দ্য হিন্দু আমেরিকান ফাউন্ডেশন (এইচএএফ) সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছে, স্পষ্টভাবে দক্ষিণ এশীয়দের লক্ষ্য করে বিভাজনকারী বিলটি আনা হয়েছে। গ্যাভিন নিউজমকে ভেটো দিতে হবে।
তবে কিছু দলিত কর্মী বলছেন, তারা একটি বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বর্ণের লোকদের কাছ থেকে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
২০২০ সালে অভিযোগ উঠে এক দলিত ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছেন দুই উচ্চ-বর্ণের ভারতীয় ম্যানেজার। তাকে কম বেতন দেওয়ার অভিযোগে প্রযুক্তি সংস্থা সিসকোর বিরুদ্ধে মামলা করে রাজ্য।