International

কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে কে এই ‘লেডি ট্রাম্প’

কানাডার আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অংশ নিচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাবেক এমপি রুবি ধল্লা। তিনি কানাডার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশগ্রহণ করেছেন।

নির্বাচনের আগে নিজের প্রচারণায় কানাডার এই নারী রাজনীতিবীদ প্রতিবেশি যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্পের সুরেই কথা বলছেন। তিনি সরকার গঠন করতে পারলে কানাডা থেকে সব অবৈধ অভিবাসীকে বিতাড়িত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ফলে তাকে ট্রাম্পের সঙ্গে তুলনা করে ‘লেডি ট্রাম্প’ ডাকা হচ্ছে।

সম্প্রতি দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণ করে অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে কঠোর অবস্থান তুলে ধরেন ট্রাম্প। যদিও নির্বাচনি প্রচারণার সময় থেকেই এ নিয়ে কথা বলে আসছেন তিনি। এরপর ক্ষমতা গ্রহণের দিনই জারি করেন, অবৈধ কোনো অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারবে না। ইতোমধ্যে এটি প্রয়োগও হচ্ছে। বহু মানুষকে আটক করে কারাগারে এবং নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কানাডার রুবি ধল্লা অভিবাসন ইস্যুতে নিজের কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরলে নতুন করে আলোচনায় আসেন। পাশাপাশি মানব পাচার কঠোরভাবে দমনেরও ঘোষণা দিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হলে আমি অবৈধ অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেব এবং মানব পাচার কঠোরভাবে বন্ধ করব। এটাই আমার প্রতিশ্রুতি।’ এই কঠোর অবস্থানের কারণে অনেকেই তাকে ‘লেডি ট্রাম্প’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন।

রুবি ধল্লা ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কানাডার ব্র্যাম্পটন-স্প্রিংডেল আসনের এমপি ছিলেন। বর্তমানে লিবারেল পার্টির শীর্ষ নেতৃত্বের জন্য শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন পোস্ট ও অনুষ্ঠানে তিনি জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হওয়ার তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

রুবি ইতিহাস সৃষ্টি করে লিবারেল পার্টির প্রথম নারী নেতা এবং কানাডার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন বলেও এক ভিডিওতে দাবি করেন। এই রাজনীতিবীদ বলেন, আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছি, লিবারেল পার্টির প্রথম নারী নেতা এবং কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button