ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে পুতিনের সমর্থন

এর আগে পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক শীর্ষ সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, এটি কেবল ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধ থেকে সাময়িক অবকাশ প্রদান করবে।
ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত সমাধানে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মস্কোয় সংবাদদাতাদের পুতিন বলেন, ‘আমরা লড়াই বন্ধের প্রস্তাবের সাথে একমত। তবে আমরা এই ধারণা নিয়ে এগোচ্ছি যে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী শান্তির দিকে নিয়ে যাবে এবং সংকটের মূল কারণগুলো দূর করবে।’
তিনি বলেন, ‘সম্ভবত আমার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ফোন করা উচিত এবং তার সাথে আলোচনা করা উচিত।’
এর আগে পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি-বিষয়ক শীর্ষ সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, এটি কেবল ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধ থেকে সাময়িক অবকাশ প্রদান করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে রুশ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করতে মস্কো পৌঁছানোর পর তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুশ প্রেসিডেন্টের সহযোগী ইউরি উশাকভ নিশ্চিত করেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। তারা সম্মত হয়েছেন, এই যোগাযোগে গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে।
এই সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা সৌদি আরবে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সাথে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা উপস্থাপনের জন্য বৈঠক করেন।
বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য ইউক্রেন প্রস্তুত।’
জেলেন্সকি বলেন, যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি সংঘাতের জন্য একটি বৃহত্তর শান্তি চুক্তি তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণের মাধ্যমে এই সংঘাত শুরু হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের বাহিনী ইউক্রেনীয় সৈন্যদের কাছ থেকে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলের প্রধান শহর সুদজার নিয়ন্ত্রণ পুনর্দখল করেছে।
গত আগস্টে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে অতর্কিত হামলার সময় ইউক্রেনীয় বাহিনী শহরটি দখল করে। তখন থেকেই শহরটি ধরে রাখতে তারা লড়াই করছিল।