হামাসকে গাজার পরবর্তী সরকারের অংশ হতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র : ট্রাম্প

হামাস পাল্টা বলেছে, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রই নতুন করে যুদ্ধ শুরু করেছে।
গাজা উপত্যকার সঙ্ঘাত-উত্তর ভবিষ্যৎ প্রশাসনে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে কোনোভাবে অংশ নিতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওয়াশিংটন থেকে তাস জানায়, এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, সঙ্ঘাত-পরবর্তী গাজা শাসনে হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে কিনা- এ প্রশ্নে ট্রাম্প সোজাসাপটা জবাব দেন, ‘আমরা হামাসকে সেটা করতে দেব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গাজার কী হয় সেটা দেখা যাবে, তবে আমরা মধ্যপ্রাচ্যে অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছি।’
ট্রাম্প বলেন, ‘সেই বিশেষ দিন—৭ অক্টোবর—ঘটার কথা ছিল না। আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে সেটা ঘটত না। তবে আমরা পুরো পরিস্থিতিকে থামিয়ে দিতে যাচ্ছি।’
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আবারো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যখন গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের সীমান্তবর্তী বসতিতে হঠাৎ হামলা চালায় এবং বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়।
এর জবাবে ইসরাইল গাজায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক কাঠামো ধ্বংস করাই যার লক্ষ্য। সঙ্ঘাতের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় এক লাখ ১৭ হাজার।
চলতি বছরের ১৮ মার্চ ইসরাইল আবার গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে, জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়, মধ্যস্থতাকারী ও মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় হামলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তাদের ভাষায়, এই অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে গাজায় থাকা সব জিম্মিকে মুক্ত করা। হামাস পাল্টা অভিযোগ করে বলেছে, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রই নতুন করে যুদ্ধ শুরু করেছে।