USA

মার্কিন ভোটারদের সমর্থন হারাচ্ছেন ট্রাম্প

সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে ভূমিধস জয় পেয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়া ডনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা দিন দিন কমতে শুরু করেছে। ভোটারদের সমর্থনও হারাচ্ছেন তিনি। অর্থনীতি এবং অভিবাসন নীতিতে ধাক্কা দেয়ায় ট্রাম্পের সমালোচনা করছেন আমেরিকানরা। জরিপের ফলাফল বলছে, জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন করেই ট্রাম্প যে নীতি গ্রহণ করেছে তা অনেক আমেরিকানের কাছেই তাকে অজনপ্রিয় করে তুলছে।

এতে বলা হয়, রিপাবলিকান ভোটারদের বিপুল সমর্থন ধরে রাখতে শুল্ক আরোপ থেকে শুরু করে অভিবাসন দমন অভিযান পর্যন্ত নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প। তবে এতে সার্বিক ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছেন তিনি। ইকোনমিস্টের জানমতকারী প্রতিষ্ঠান ইউগভ- এর এক জরিপে দেখা গেছে যে, ট্রাম্পের পদক্ষেপগুলোর রেটিং নিম্নগামী। রেটিং পয়েন্ট তালিকায় তাকে বর্তমানে ৪১ শতাংশ আমেরিকান সমর্থনের কথা জানিয়েছে। যা জানুয়ারিতে ছিল ৫০ শতাংশ। 

পিউ রিসার্চ সেন্টারের করা আরেক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের কার্যক্রমের রেটিং ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে। যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৪৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে একই সময়ের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রেটিং অনেকটা এগিয়ে ছিল। ২০২১ সালে তার রেটিং ছিল ৫৯ শতাংশ। অর্থাৎ বেশিরভাগ আমেরিকানরাই ট্রাম্পের পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন। 

জনমত জরিপকারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ গত সপ্তাহে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ফেরার পর প্রথম তিন মাসে ট্রাম্পের গড় সমর্থনের হার ৪৫ শতাংশ- যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত অন্য সকল প্রেসিডেন্টের তুলনায় কম। ফলাফলগুলো আরও দেখাচ্ছে যে, অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ট্রাম্পের পদক্ষেপের ওপর আস্থা হারাচ্ছে মার্কিন জনগণ। 

২০২৪ সালের ভোটাররা ৭৮ বছর বয়ষী এই ধনকুবেরকে অর্থনীতিতে শক্তিশালী হিসেবে দেখলেও, এপ্রিলে তিনি বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করে বৈশ্বিক বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছেন। ইউগভ-এর জরিপ অনুযায়ী, এখন প্রায় ৫৪ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি আগের তুলনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ৩৭ শতাংশ।

রয়টার্সের জনমতকারী প্রতিষ্ঠান ইপসোস- এর এক জরিপে দেখা গেছে, জীবন যাত্রার ব্যয় কমাতে ট্রাম্পের পদক্ষেপকে সমর্থনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এক্ষেত্রে মাত্র ৩১ শতাংশ আমেরিকান ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তুষ্ট। নভেম্বরের নির্বাচনে মুদ্রাস্ফীতি ছিল একটি উত্তপ্ত বিষয়, তখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় আসলে দ্রুত দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

bacan4d slot toto