পাহারায় উপদেষ্টার স্বামী! বিপুর বিপুল লুটপাট

নসরুল হামিদ বিপু। ভারত পালিয়ে যাওয়া হাসিনার মাফিয়াচক্রের অন্যতম সিপাহসালার। হালে তার পুরো পরিবার আত্মগোপনে। তার সন্তানরা আগে থেকেই পশ্চিমা দেশে। নসরুল হামিদ বিপুও এখন ভারত পালিয়ে গেছেন-মর্মেও প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়। শেখ হাসিনার সঙ্গে বিপুর পারিবারিক সম্পর্ক থাকায় লুটপাটের ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ দিয়ে রেখেছিলেন নসরুল হামিদ বিপুকে। শেখ মুজিবের সঙ্গে পিতা হামিদুর রহমানের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ভিত্তিতে বিপুও পরিচয় দিতেন ‘আওয়ামী পরিবারের সদস্য’ হিসেবে। হামিদুর রহমান ছিলেন শেখ মুজিবের বিশ্বস্ত সহচর। নামের আগে ‘অধ্যাপক’ যুক্ত করলেও মুজিবের জনসভায় মানুষ সাপ্লাই দেয়াই ছিল হামিদুর রহমানের বড় ‘রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা’। ১৯৫৮ সালের দিকে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত কেরানীগঞ্জে করতেন জমির দালালি। সেই টাকায় গড়ে তোলেন ‘হামিদ গ্রুপ’। জমির দালাল জাতে ওঠার জন্য নামকরণ করেন ‘হামিদ রিয়েল এস্টেট’। এ সাইনবোর্ড সামনে রেখে নসরুল হামিদ বিপু ছাত্র জীবনেই কেরানীগঞ্জ এবং পুরান ঢাকায় প্রতিষ্ঠা করেন একচ্ছত্র আধিপত্য। বেপরোয়া হয়ে ওঠেন দখল-বাণিজ্যে। বুড়িগঙ্গার তীর, খাস জমি, ডোবা, নালা, খাল, বিল, পুরান ঢাকার হিন্দু বাড়ি, দুর্বল ওয়ারিশদের মালিকানাধীন বাড়িÑ কিছুই বাদ যায়নি তার নখরথাবা থেকে। দখলদারিত্বের সঙ্গে চলে চাঁদাবাজিও। এহেন বিপু হামিদ রিয়েল এস্টেট থেকে প্রতিষ্ঠা করেন ‘হামিদ গ্রুপ’। রিয়েল এসেস্ট ব্যবসার ব্রান্ড হচ্ছে ‘প্রিয়প্রাঙ্গণ’। কথিত হামিদ গ্রুপের ভেতর ‘হামিদ রিয়েল এস্টেট’ ছাড়াও রয়েছে ‘হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’, ‘হামিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’, ‘ডেলকো বিজনেস অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড’, ‘হামিদ ইকনোমিক জোন’ ‘হামিদ ফ্যাশন লিমিটেড অ্যান্ড হামিদ সোয়েটার লিমিটেড’ এবং ‘হামিদ অ্যাগ্রো লিমিটেড’। এর বাইরেও নসরুল হামিদ বিপুর রয়েছে অঘোষিত বহু প্রতিষ্ঠান। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সিরামিক পণ্য উৎপাদন, প্লাস্টিক, চামড়াজাত জুতা প্রস্তুত প্রতিষ্ঠানÑ এসবের অন্যতম।
শেখ হাসিনার অপত্য ¯েœহে গত দেড় দশকে পত্র-পল্লবে বিকশিত হয়েছে বিপুর এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মূলত হাসিনার লোপাটতন্ত্রের বড় বরকন্দাজ বিপু প্রকল্পের নামে লোপাটকৃত হাজার হাজার কোটি টাকা ‘বৈধ’ করতেই লুটের একটি অংশ এসব প্রতিষ্ঠানে ‘বিনিয়োগ’ দেখান।
বিপুর দুর্নীতির ধারণাপত্র : গত ২১ আগস্ট নসরুল হামিদ বিপুর ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ‘প্রিয় প্রাঙ্গণ’ অভিযান চালিয়ে মাত্র এক কোটি টাকা জব্দ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২০ এপ্রিল দুদক রাজধানীতে বিপুর মালিকানাধীন একটি ফ্ল্যাট, তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট, তিনটি গাড়ি জব্দ এবং ৭০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে। এসব অ্যাকাউন্টে টাকা মিলেছে মাত্র ৩৭ কোটি ৯৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭৪৭ টাকা। এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে বিপু, তার স্ত্রী সীমা হামিদ, পুত্র জারিফ হামিদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে সংস্থাটি। কিন্তু কী পরিমাণ রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করেছেন বিপু- সেটি এখনো নিরূপণ করা যায়নি। তবে হাসিনার মাফিয়াতন্ত্রের সময় শুধু জ্বালানি সেক্টর থেকে কী পরিমাণ অর্থ লুট করেছেন তার একটি ধারণা পাওয়া যায়।
হাসিনার তিনটি সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন নসরুল হামিদ বিপু। শেখ হাসিনা স্বয়ং এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকায় প্রতিমন্ত্রী বিপুই ছিল মন্ত্রণালয়ের সর্বেসর্বা। ফলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ সেক্টরে জ্বালানি ক্রয় এবং বিদ্যুৎ প্রকল্পের নামে যত খরচ হয়েছে সবগুলোই হয়েছে নসরুল হামিদ বিপুর হাত দিয়ে। বেনামি প্রতিষ্ঠান খুলে তিনি নিজেই সরকারের সঙ্গে ব্যবসা করেন মর্মে উঠে এসেছে নেত্র নিউজের অনুসন্ধানে। ২০২১ সালের ১০ আগস্ট ‘ওরা প্রতিমন্ত্রীর লোক’ নামের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জ্বালানি সেক্টরকেন্দ্রিক বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে বিপুর ভাই, বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজন সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। ‘মাতারবাড়ি এলপিজি টার্মিনাল’ স্থাপন প্রকল্পে কি কৌশলে অর্থ লোপাট করা হয়েছে সেই তথ্য তুলে ধরা হয় এতে। এর আগে আরেকটি স্থানীয় দৈনিক নসরুল হামিদ বিপুর স্বার্থসংশ্লিষ্ট কোম্পানি ‘পাওয়ারকো ইন্টারন্যাশনাল’ মাত্র ১০০ কোটি ডলার পরিশোধিত মূলধনের প্রতিষ্ঠান হয়েও কিভাবে ৩০০ পাঁচ মিলিয়ন ডলারের কার্যাদেশ পাওয়া একটি কনসোর্টিয়ামের অংশ হতে পারেÑ এ প্রশ্ন তোলে। ‘পাওয়ারকো ইন্টারন্যাশনাল’ ঢাকার জয়েন্টস্টক কোম্পানিতে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠান। নসরুল হামিদ বিপুর মামা মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী ও বন্ধু ভারতীয় নাগরিক নাবিল খানের অংশীদারিত্বমূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধন নেয়া হয়। ২০২০ সালে কামরুজ্জামান চৌধুরীকে সরিয়ে সামনে আনা হয় মো. মুরাদ হাসানকে। তাকে করা হয় পাওয়ারকোর এমডি। ২০১৯ সাল থেকে জি টু জি চুক্তির আওতায় সিঙ্গাপুর, কাতারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। আমদানিকৃত এলএনজির ৬০ ভাগ সরবরাহ করছে ‘ভিটল এশিয়া’ এবং ‘গানভর’। ‘ভিটল এশিয়া’র সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বিপুর মালিকানাধীন ‘পাওয়াকো ইন্টারন্যাশনাল’র চুক্তি।
গত বছর ২০ অক্টোবর পর্যন্ত খোলাবাজার থেকে ৭৪টি এলএনজি কার্গো কেনা হয়। এর মধ্যে ভিটল একাই সরবরাহ করে ৩০টি। গানভর ও টোটাল কোম্পানি সরবরাহ করে যথাক্রমে ১৫ ও ১৪টি কার্গো। ১০টি কার্গো সরবরাহের কার্যাদেশ পায় অ্যাকসিলারেট এনার্জি। এওটি ট্রেডিং ১৭টি দরপত্রে অংশ নিলেও কার্যাদেশ পায় তিনটির। বাকি দুটি কার্গো সরবরাহ করেছে জাপানের জেরা ও কাতার এনার্জি। ‘ভিটল এশিয়া’কে কার্যাদেশ পাইয়ে দেয় বিপুর ‘পাওয়ারকো ইন্টারন্যাশনাল’। অর্থাৎ ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও এই খাত থেকে থেকেও বিপুর প্রতিষ্ঠান হাতিয়ে নেয় কয়েক শ’ কোটি টাকা।
এলএনজি আমদানির খরচ বাবদ ব্যয়িত অর্থের অন্তত ৬০ ভাগ চলে যায় নসরুল হামিদ বিপুর পকেটে। এ টাকার প্রায় পুরোটাই তিনি বিদেশ পাচার করেন। কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের গবেষণা মতে, শেখ হাসিনার শাসনামলে জ্বালানি খাতে বছরে গড়ে লুটপাট হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি লুট হয় হাসিনাঘনিষ্ঠ নসরুল হামিদ বিপুর সংশ্লিষ্টতায়। কিন্তু লুণ্ঠিত অর্থের যৎসামান্যই দেশে রেখেছেন তিনি। এখন বিএফআইইউ, এনবিআর, দুদক সম্মিলিতভাবে নসরুল হামিদের যে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে বলে দাবি করছে সেটি পরিমাণে যৎসামান্য। বলা চলে, সমুদ্রের নিচে ভাসমান হিমশৈলের চূড়া মাত্র।
অবশ্য দেশে রাখা যৎসামান্য অর্থ-সম্পদও রাখা হয়েছে আরো বেশি লুটপাটের পরিকল্পনা থেকে। তার শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে রয়েছে বিপুল ব্যাংক ঋণ। পুঁজিবাজার থেকেও নেয়া হয়েছে বিপুল অর্থ। ২০১৮ সালে ময়মনসিংহের ত্রিশালে বনবিভাগের ১৫৩ একর জমি জুড়ে ‘হামিদ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ ঘোষণা করে নসরুর হামিদ বিপুর মালিকানাধীন ‘হামিদ গ্রুপ’। ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে সংলগ্ন নারায়ণপুর ও খাগাদিপাড়া মৌজাজুড়ে বিস্তৃত কথিত অর্থনৈতিক অঞ্চল। ওই বছর ২৭ ডিসেম্বর হামিদ গুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইন্তেখাবুল হামিদ (নসরুল হামিদের ভাই) জানান, হামিদ গ্রুপ অবকাঠামো ও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। তৈরি পোশাক এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সিরামিক প্রডাক্টস, প্লাস্টিক, চামড়াজাত জুতা প্রস্তুতির লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্প গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এক হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিপু গড়ে তুলেন এই বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল। সেখানে ৬৭টি শিল্পপ্রতিষ্ঠা গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানান বেজার তৎকালীন নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, ‘টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পনগরী’ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে বনবিভাগের জমি দখল করে। বিপুর এই দখলদারিত্ব নিয়ে টুঁ শব্দটি নেই পরিবেশবাদীদের মুখে। এমনকি এ বিষয়ে উদ্যোগ নেই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারও। নসরুল হামিদ বিপু রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার তীরবর্তী জমি, হাওড়, জলাশয়, বিস্তীর্ণ কৃষিজমি দখল করেছেন। সেগুলোর বিষয়েও কোনো উদ্যোগ নেই এ উপদেষ্টার।
বিপুর ব্যবসা ও অবৈধ সম্পদ পাহারায় উপদেষ্টার স্বামী : হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যান নসরুল হামিদ বিপু। অদৃশ্য হয়ে যায় বিপু-পরিবারের সব সদস্য। বিপু পরিবারের সব সদস্য অদৃশ্য হয়ে গেলেও চালু রয়েছে তার প্রতিটি প্রতিষ্ঠান। তবে এরই মধ্যে বেশ কিছু স্থাবর সম্পত্তি, বাগানবাড়ি, রিসোর্ট তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্রে জানায়। অন্তর্বর্তী সরকার আইনি ও বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সম্পত্তি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বাজেয়াপ্ত করতে পারেÑ এমন আশঙ্কা থেকে তিনি আত্মগোপনে থেকেই বাদবাকি সম্পত্তি বিক্রির চেষ্টা করছেন। তার প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তি পাহারা দেয়া ও দেখাশোনার দায়িত্ব দিয়েছেন বিশ্বস্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আত্মীয়-স্বজনদের। তারাই তাকে সম্পত্তি বিক্রিলব্ধ অর্থ নানা কৌশলে বিদেশ পাঠাতে সহায়তা করছেন। আর এই ‘বিশ্বস্ত’র তালিকায় অন্তর্বর্তী সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি, এমনকি একজন নারী উপদেষ্টার স্বামীরও সম্পৃক্ত থাকার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রভাবশালী এই নারী উপদেষ্টার স্বামী নসরুল হামিদ বিপুর মালিকানাধীন হামিদ অ্যাপারেলসের বেতনভুক্ত পরিচালক। ওই পরিচালক ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার আমলে একবার নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত হামিদ অ্যাপারেলস থেকে বাসায় ফেরার পথে রহস্যজনকভাবে ‘নিখোঁজ’ হন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধারও হন। কিন্তু কী উদ্দেশে কারা তাকে ‘অপহরণ’ করেছিল এ বিষয়ে অদ্যাবধি মুখ খোলেননি। ওই উপদেষ্টার আলোচিত এই ‘স্বামী’ই এখন হয়ে উঠেছেন হাসিনার লুটপাটতন্ত্রের দোসর, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সবচেয়ে বড় নির্ভরতা।
জানা গেছে, তার মাধ্যমে বিপু বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দেখভাল করেন। তার প্রতিষ্ঠান ও সম্পত্তি পাহারা দেন। জানা গেছে, ওই নারী উপদেষ্টা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর তার স্বামী নিজ এলাকা কুমিল্লার হোমনা উপজেলাধীন শ্রীমদ্দি গ্রামে আকস্মিকভাবেই বনে গেছেন ‘তরুণ সমাজসেবক’। তিনি গ্রামে যাচ্ছেন ঘন ঘন। দুঃখী মানুষের কথা শুনছেন। সংবর্ধনা নিচ্ছেন। মতবিনিময়-আলোচনা সভায় হচ্ছেন ‘প্রধান অতিথি’। শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন নদীভাঙন রোধ ও পুনরুদ্ধার প্রকল্পের পরিদর্শন করছেন। শ্রীমদ্দি বড় কবরস্থানের আধুনিকীকরণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, ডিগ্রি কলেজ থেকে চিতাশাল পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মাণ এবং তিতাস নদীর পাড়ে হোমনা থেকে শ্রীমদ্দি লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে কথা বলছেন। স্থানীয়দের দাবি-দাওয়া পূরণের আশ্বাস দিচ্ছেন। এ সময় তাকে প্রটোকল দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। এসব অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিএনপি-জামায়াত নেতারাও উপস্থিত থাকছেন।