যুক্তরাজ্যে প্রতিবন্ধী, বেকার ও গৃহহীনদের ভোটাধিকার চায় ইলেক্টোরাল কমিশন
যুক্তরাজ্যে কারচুপি ঠেকাতে ভোট দেওয়ার সময় ছবি সম্বলিত পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করে নতুন আইন করা হয়েছে। গত মে মাসে অনুষ্ঠিত স্থানীয় নির্বাচনে এই আইন কার্যকর করায় প্রায় ১৪ হাজার ভোটারকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি৷ এজন্য যুক্তরাজ্যে বেকার ও গৃহহীনদের ভোটাধিকারের আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছে ইলেক্টোরাল কমিশন নামের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ইলেক্টোরাল কমিশন জানায়, নতুন আইনের আওতায় বেশিরভাগ ভোটার ভোট দিতে পারলেও কিছু ভোটারদের জন্য বিষয়টি কঠিন মনে হচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছে প্রতিবন্ধী ও বেকাররা।
কমিশনের কমিউনিকেশনস ডাইরেক্টর ক্রেইগ ওয়েস্টউড বলেন, ‘ছবি সম্বলিত পরিচয়পত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা কিছু ভোটারের কাছে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে ভবিষ্যতে অনেক ভোটাররাই ভোট করতে পারবে না যার প্রভাব নির্বাচনে পড়তে পারে।’
ইলেক্টোরাল কমিশন আরও ধারনা করছে, আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের আগে এই সমস্যা সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে নির্বাচনে বড় প্রভাব পড়তে পারে। এক্ষেত্রে তারা সাধারণের পরিচয়পত্রের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে।
নতুন আইনের সমালোচকেরা বলছেন, নির্বাচনে কারচুপির পরিমাণ কম হওয়ায় ছবি সম্বলিত পরিচয়পত্র দেখানো বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন ছিল না। তাদের অভিযোগ; ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রতি সমর্থন কম এমন জনগোষ্ঠী যেমন দরিদ্র মানুষ, জাতিগত সংখ্যালঘু ও তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি কমাতে এই আইন করা হয়েছে।
তবে সরকার বলছে, গবেষণায় দেখা গেছে মে মাসে ভোট দেয়া ৯৫ শতাংশ ভোটারদের কাছে নতুন প্রক্রিয়া সহজ মনে হয়েছে।