ভারত ও পাকিস্তানকে সংযত হওয়ার আহবান বাংলাদেশের

ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশকেই সংযত হওয়ার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, উভয়পক্ষকে সংযত হওয়ার আহবান জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ মনে করে ক‚টনৈতিক দিক থেকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা উচিত।
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিরসন করে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যেকার পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ।
সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। উভয় দেশকে বাংলাদেশ অনুরোধ করেছে যেন তারা শান্ত থাকে, ধৈর্য প্রদর্শন করে এবং পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে, এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকে।
বাংলাদেশ আশা করছে, আঞ্চলিক শান্তি, উন্নতি এবং স্থিতিশীলতার জন্য ক‚টনৈতিকভাবে এই উত্তেজনার অবসান হবে, বলা হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে। বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেন, ভারত, পাকিস্তানের এই সংঘাতে বাংলাদেশে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। এরপরও বংলাদেশের পণ্য আমদানি-রফতানিতে ভারতের আকাশপথে কোনো সমস্যা হয় কি না, সেটা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে পাকিস্তানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক মুখপাত্র আহমেদ শরিফ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন। এ সময় আহতের সংখ্যা ৪৬ জন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আহমেদ শরিফ চৌধুরী আরও জানিয়েন, পাকিস্তানের ছয়টি জায়গায় ২৪টি স্থাপনায় বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে ভারত।
ভারত পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুর’র জবাবে, ভারত শাসিত কাশ্মীরে পাকিস্তানি পাল্টা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩২ জন। নিহতরা সবাই ভারতের পুঞ্চ জেলায় বসবাসকারী সাধারণ নাগরিক। এই অঞ্চলটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছেই অবস্থিত। এর আগে পাকিস্তানি হামলায় ভারতে ৭ জন নিহতের খবর জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।