ডলারের বিনিময় হারে আরো নমনীয়তা আসছে

জুনে আইএমএফের ঋণের শেষ দুই কিস্তি পেতে পারে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা শেষে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। মার্কিন ডলারের বিনিময় হারে আরো নমনীয়তা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে আইএমএফ তার চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে দুই কিস্তিতে ১৩০ কোটি ডলার ছাড় করতে যাচ্ছে। আগামী জুন মাসের মধ্যেই অর্থ ছাড় হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, বিনিময় হার এখন যেভাবে নির্ধারিত হয়, ভবিষ্যতেও সেই ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতিই বহাল থাকবে। এই ব্যবস্থায় প্রতি ডলারের বিপরীতে ১১৯ টাকা ভিত্তি ধরে তার ২ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এর ফলে ডলারের দাম এখন সর্বোচ্চ ১২৩ টাকার মধ্যে রয়েছে।
আইএমএফের অনুরোধে বাংলাদেশ ব্যাংক এই নমনীয়তা আনতে সম্মত হওয়ার পরই কিস্তি ছাড়ের পথ সুগম হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইএমএফের পক্ষ থেকেও শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হবে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। সেখানেই কিস্তি ছাড়ের ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচিতে চুক্তি করে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত তিন কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার। তবে চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায় সম্প্রতি।
এর পেছনে প্রধান কারণ ছিল বিনিময় হার নির্ধারণ পদ্ধতি নিয়ে আইএমএফ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে মতপার্থক্য। গত এপ্রিল মাসে ঢাকায় আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির পর্যালোচনা করে গেলেও সমঝোতা হয়নি। পরবর্তী সময়ে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বসন্তকালীন বৈঠকেও সমাধান হয়নি।
শেষ পর্যন্ত ৫ ও ৬ মে ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে আলোচনা এগোয়। বাংলাদেশ ব্যাংক তখন নমনীয় অবস্থানে যায় এবং আইএমএফের মূল শর্ত মেনে নেয়। এরই ফল হিসেবে দুই কিস্তিন অর্থ ছাড়ে সম্মত হয় সংস্থাটি।