শেষ শর্ত পূরণ করতে এনবিআর বিলুপ্ত, ঋণ পাওয়ার আশা

বিশ্বব্যাংকের শেষ শর্ত পূরণ করতে সোমবার গভীর রাতে জাতীয় রাজস্ব বিভাগ (এনবিআর) বিলুপ্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। বাজেট সহায়তার ছয় হাজার কোটি টাকা ঋণ নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। পাঁচ মাস আগে বিশ্বব্যাংক সরকারকে ৯টি শর্ত দিয়েছিল। আটটি এর আগে পূরণ করা হয়েছে।
ঢাকায় আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে এই ঋণ সহায়তা নিয়ে আলোচনা শুরু হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এ বৈঠক হওয়ার কথা। বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসবেন। আলোচনার আগমুহূর্তে শেষ শর্তটি পূরণ করায় ঋণ পাওয়া নিয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআর বিলুপ্ত করে একে রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি বিভাগে ভাগ করেছে। রাজস্বনীতি বিভাগের শীর্ষ পদ কর এবং শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারের জন্য এককভাবে সংরক্ষণ না করায় এ দুই ক্যাডারের কর্মকর্তারা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা তিন দিনের কলমবিরতি ঘোষণা করেছেন।
এ অবস্থায় গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এনবিআর বিলুপ্ত হয়ে দুটি বিভাগ গঠিত হলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সরকারের পক্ষে আলাদা ব্যাখ্যাও দেয়। তাতে বলা হয়, ৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত এনবিআর ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে এই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ী সংগঠন ও অর্থনীতিবিদরা এনবিআর বিলুপ্ত করে নেওয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বিশ্বব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সরকার এর আগে অডিট অধ্যাদেশ জারি করেছে। প্রকিউরমেন্ট আইন সংশোধন করে ১০ শতাংশ কমবেশি নিয়ম তুলে দিয়েছে। স্বাধীনভাবে পরিসংখ্যান কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে ক্ষমতা দিয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তার সব তথ্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এ ছাড়া ভালো ও খারাপ ঋণ চিহ্নিত করা, করছাড় যৌক্তিকীকরণ, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি রাজস্ব আহরণ কৌশল, দুর্বল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা এবং অবসায়নের জন্য ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ জারি করেছে। সর্বশেষ এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ করা হয়েছে।
রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ-২০২৫ এ বলা হয়েছে, রাজস্বনীতি বিভাগের সচিব পদে সরকার উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেবে। ফলে এ পদে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা নিয়োগ পাবেন বলে মনে করছেন কর এবং শুল্ক ও আবগারি ক্যাডারের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, এতে রাজস্ব প্রশাসনের দক্ষতা, গতিশীলতা এবং কার্যকারিতা বিঘ্নিত হবে। নীতি বিভাগ রাজস্ব বিষয়ে নীতি প্রণয়ন করবে। অন্যদিকে ব্যবস্থাপনা বিভাগ রাজস্ব আদায় করবে।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে এনবিআরের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগও (আইআরডি) বিলুপ্ত করা হয়েছে।
রাজস্বনীতি বিভাগের কাজ কী হবে
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্বনীতি বিভাগ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় রাজস্ব জোগানে সম্প্রসারণমূলক করভিত্তি, যৌক্তিক করহার এবং সীমিত কর অব্যাহতি নীতি অনুসরণ করে উত্তম কর ব্যবস্থা তৈরি করবে। এ ছাড়া স্ট্যাম্প আইনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন নতুনভাবে প্রণয়ন বা সংশোধন, স্ট্যাম্প ডিউটি, আয়কর, ভ্রমণ কর, দান কর, সম্পদ কর, কাস্টমস শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর, আবগারি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, সারচার্জ ও অন্যান্য শুল্ক-কর, ফি আরোপ ও হ্রাস-বৃদ্ধি এবং অব্যাহতি প্রদান-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
পাশাপাশি কর আইন প্রয়োগ ও কর আহরণ পরিস্থিতির মূল্যায়ন, কাস্টমস-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদন ও মতামত প্রদান, আন্তর্জাতিক দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি-সংক্রান্ত কার্যক্রম; রাজস্ব-সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত বিচার বিশ্লেষণ ও গবেষণার মাধ্যমে রাজস্ব আয়ের যথাযথ প্রক্ষেপণ ও প্রাক্কলন; রাজস্বনীতি-সংশ্লিষ্ট বিধিবিধান, প্রজ্ঞাপন, এসআরও প্রণয়ন, সংশোধন ও ব্যাখ্যা প্রদান করবে।
এ বিভাগের জনবল সম্পর্কে বলা হয়েছে, আয়কর, মূল্য সংযোজন কর, কাস্টমস, অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, গবেষণা ও পরিসংখ্যান, প্রশাসন, নিরীক্ষা ও হিসাব এবং আইন-সংক্রান্ত কাজে অভিজ্ঞদের দিয়ে বিভাগটির বিভিন্ন পদ পূরণ করা হবে। তবে সরকার উপযুক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন যে কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে রাজস্বনীতি বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে। মূলত এই অংশ নিয়েই বেশি আপত্তি এনবিআর কর্মকর্তাদের।
রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাজের পরিধি
রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগের কাজ হবে আইন ও বিধির যথাযথ প্রয়োগ; কাস্টমস-সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির বাস্তবায়ন, করভিত্তি সম্প্রসারণে করসেবা ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি জোরদার করা, সবাইকে কর জালের মধ্যে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি। এ ছাড়া রাজস্বনীতি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় সাধন, অটোমেশন বাস্তবায়ন, দক্ষ জনবল কাঠামো গড়ে তোলা, নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করবে।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর এনবিআরের বিদ্যমান জনবল রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগে ন্যস্ত হবে। তবে এসব জনবল থেকে প্রয়োজনীয় জনবল রাজস্বনীতি বিভাগেও পদায়ন করা যাবে।
তিন দিনের কলমবিরতি
নতুন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে গতকাল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সারাদেশে তিন দিনের কলমবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কর্মসূচিতে কর, ভ্যাট ও কাস্টমস ক্যাডারের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচি চলাকালে এনবিআর চেয়ারম্যান রাজস্ব ভবন থেকে বের হয়ে যান। এ সময় কর্মকর্তারা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অতিরিক্ত কমিশনার (কাস্টমস ও ভ্যাট) সাধন কুমার কুণ্ডু বলেন, এনবিআর সংস্কারে সরকার দেশের যোগ্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে পরামর্শক কমিটি গঠন করলেও তাদের দেওয়া প্রতিবেদন এখনও প্রকাশ করা হয়নি। স্টেকহোল্ডারদের মতামত উপেক্ষা করে সোমবার রাতে অনেকটা গোপনীয়ভাবে অধ্যাদেশটি জারি করা হয়েছে। এটি বাতিল করে পরামর্শক কমিটি যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তার আলোকে নতুন অধ্যাদেশ জারি করার দাবি কর্মকর্তাদের। তিনি বলেন, অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বুধ, বৃহস্পতি ও শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কলমবিরতি পালন করা হবে। তবে কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা, আমদানি-রপ্তানি ও বাজেট-বিষয়ক কার্যক্রম চালু থাকবে। এর পর শনিবার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা বলেন, সারাদেশের কর, কাস্টমস ও ভ্যাট অফিসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন। অধ্যাদেশে কাস্টমস এবং ট্যাক্স সার্ভিসের কারও পরামর্শ রাখা হয়নি। উপ-কর কমিশনার শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহী বলেন, রাষ্ট্রের রাজস্ব আদায়ের মেরুদণ্ড এনবিআর। অধ্যাদেশ বাতিল করে সবার মতামতের ভিত্তিতে নিরীক্ষার মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম করতে হবে।
কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই: অর্থ উপদেষ্টা
গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, এনবিআর বিলুপ্ত হয়ে দুটি বিভাগ গঠিত হলেও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের দুশ্চিন্তার কারণ নেই। সব দেশেই এমন আলাদা বিভাগ থাকে। এনবিআরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, বিশ্বের সব দেশেই রাজস্বনীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগ পৃথক। যারা নীতি প্রণয়ন করবেন, তাদের পেশাদার হতে হবে। দেশের জিডিপি, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান– এসব বিষয়ে ধারণা থাকতে হবে। যারা নীতি প্রণয়ন করবেন, তারা রাজস্ব সংগ্রহও করবেন– তা হতে পারে না।
সরকারের ব্যাখ্যা
এনবিআর বিলুপ্তির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত এনবিআর ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত প্রায় ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা এশিয়ার সবচেয়ে কম কর-জিডিপি অনুপাতের মধ্যে একটি। জনগণের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর-জিডিপি অনুপাত কমপক্ষে ১০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।
এ লক্ষ্য অর্জনে এনবিআর পুনর্গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। করনীতি প্রণয়ন এবং তা কার্যকর করার জন্য একটি একক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। কারণ এ ধরনের ব্যবস্থা স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি করে। এটি ধীরগতিসম্পন্ন ও অদক্ষতা বাড়ায়।
ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা যা মনে করেন
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির সমকালকে বলেন, এটি সঠিক সিদ্ধান্ত। নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ আলাদা থাকাই ভালো। কারণ যিনি নীতি প্রণয়ন করবেন তিনি রাজস্ব আদায় করতে গেলে সেখানে নীতির অপব্যবহার হতে পারে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ বলেন, দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠা ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। এর ফলে একদিকে যেমন নীতি প্রণয়ন আরও স্বচ্ছ, সময়োপযোগী ও গবেষণাভিত্তিক হবে; অন্যদিকে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আরও অধিক কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক করার সুযোগ তৈরি হলো। এতে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হবে।
গবেষণা সংস্থা সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, এ সিদ্ধান্ত সাহসী ও সময়োপযোগী। যদিও এর সফলতা নির্ভর করবে বৃহত্তর কর ব্যবস্থার সংস্কার, কার্যকর বাস্তবায়ন ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ওপর। এর ফলে কর প্রশাসনের আধুনিকীকরণ, রাজস্ব বৃদ্ধি ও ব্যবস্থাপনা আরও দক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সেলিম রায়হান বলেন, এটি আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত উত্তম রীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। একটি বিভাগ নীতি প্রণয়ন ও আইন তৈরির কাজে যুক্ত থাকবে, অন্যটি আদায় ও বাস্তবায়নে কাজ করবে। এভাবে দায়িত্ব বণ্টনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও গতিশীলতা বাড়ানো সম্ভব। এ কাঠামো বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থাকে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও ক্রমবর্ধমান রাজস্ব চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে সহায়ক হতে পারে।
তিন দশক আগে বলেছিল আইএমএফ
প্রায় তিন দশক আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এনবিআরের নীতি ও ব্যবস্থাপনা আলাদা করার পরামর্শ দিয়েছিল। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিশ্বব্যাংকও এ বিষয়ে তাগিদ দিয়েছিল। ২০০৮ সালে ওই সরকারের সময় রাজস্ব প্রশাসন ও নীতি প্রণয়ন নামে দুটি বিভাগ করতে আদেশ জারি করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার ১৫ বছরেও আর এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
গত ৯ অক্টোবর অন্তবর্তী সরকার এনবিআর সংস্কারে পাঁচ সদস্যের পরামর্শক কমিটি গঠন করে। সদস্যদের মধ্যে ছিলেন– এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদ ও নাসিরউদ্দিন আহমেদ, সাবেক সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন (কর), ফরিদ উদ্দিন (শুল্ক) ও আমিনুর রহমান (কর)।
পরামর্শক কমিটি একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, সংস্কার করার জন্য পরামর্শক কমিটি সরকারকে প্রতিবেদন দিয়েছে। তার কতটুকু রাখা হয়েছে বা হয়নি, তা সরকারের বিবেচ্য।