নাগোরনো-কারাবাখে নিহত অন্তত ২০০, আর্মেনিয়ান মানবাধিকার কর্মকর্তার দাবি
বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের সামরিক অভিযানে কমপক্ষে ২০০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া অভিযানে আহত হয়েছে আরও ৪০০ জনের বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে বোসামরিক নাগরিকও রয়েছে।
একজন বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনিয়ান মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তা এই দাবি করেছেন বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তিনি বলেছেন, আজারবাইজানীয় সামরিক অভিযানে সেখানে কমপক্ষে ২০০ জন নিহতসহ কয়েকশ মানুষের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বিচ্ছিন্নতাবাদী আর্মেনিয়ান মানবাধিকার বিষয়ক ওই কর্মকর্তার নাম গেঘাম স্টেপানিয়ান। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “বিচ্ছিন্ন ওই অঞ্চলে আজারবাইজানের হামলায় কমপক্ষে ২০০ জন নিহত এবং আরও ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।”
নিহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে, যাদের মধ্যে পাঁচজন শিশু বলে স্টেপানিয়ান দাবি করেছেন।
অন্যদিকে সামরিক অভিযানের সময় আজারি সেনাদের হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেয়নি আজারবাইজান। তবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বুধবার সন্ধ্যায় বলেছেন, নাগোরনো-কারাবাখে সামরিক অভিযান চালানোর সময় তাদের কিছু সৈন্য হতাহত হয়েছেন।
এদিকে নাগোরনো-কারাবাখের আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ এবং অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে। বিতর্কিত এই ভূখণ্ডের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বাকুর সামরিক অভিযান শুরু করার ২৪ ঘণ্টা পর বুধবার আর্মেনীয় ও আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী চুক্তিতে রাজি হয়।
উভয় দেশই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে; যা বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে কার্যকর হয়েছে। চুক্তির শর্তানুযায়ী, নাগোরনো-কারাবাখে আর্মেনিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীকে নিরস্ত্র এবং ভেঙে দেওয়া হবে।
মূলত আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতিগত আর্মেনীয় ছিটমহল নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে কয়েক মাস ধরেই দুই দেশের মাঝে উত্তেজনা চলছে।