ইরানের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলা এবং এরপর যা যা হলো

যদি আমেরিকার বাংকার ব্লাস্টার বোমা সফলভাবেও লক্ষ্যে পৌঁছায়, তাহলে এটা পরিষ্কার নয় যে ইরানের ইউরেনিয়াম সরবরাহে তা কতটা আঘাত করতে পেরেছে।
ইরানে হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ১২৫টি সামরিক বিমান ব্যবহার করেছে এবং রোববার রাত তেহরান সময় ২টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫ মিনিট সময়ের মধ্যে এ অভিযানে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
এই স্থাপনাগুলো হলো ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান।
স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে ফোরদোর দু’টি প্রবেশপথে ছয়টি গর্ত দেখা যাচ্ছে। একই ধরনের গর্ত চিহ্নিত করা গেছে ইসফাহানেও।
ট্রাম্প তাৎক্ষণিকভাবে এই হামলাকে ‘নজিরবিহীন সামরিক সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।
কিন্তু পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার একটি রিপোর্ট গতরাতে ফাঁস হয়েছে। এতে যে পর্যালোচনা করা হয়েছে তাতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ‘মাত্র কয়েক মাসের জন্য পিছিয়েছে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
নেটো সম্মেলনের আগে ফাঁস হওয়া এই রিপোর্ট সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। জবাবে তিনি আবারো বলেছেন যে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধবংস হয়ে গেছে ও কয়েক দশকের জন্য পিছিয়ে গেছে। তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ রিপোর্ট ফাঁস হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার দাবি করেছেন।
কিন্তু যদি আমেরিকার বাংকার ব্লাস্টার বোমা সফলভাবেও লক্ষ্যে পৌঁছায়, তাহলে এটা পরিষ্কার নয় যে ইরানের ইউরেনিয়াম সরবরাহে তা কতটা আঘাত করতে পেরেছে।
সিবিএসকে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে ইরানের ইউরেনিয়াম মজুদ হামলার আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যদিও এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।