মানুষের আগে মহাকাশে ভ্রমণ করেছে যেসব প্রাণী

মহাকাশ অনুসন্ধানের শুরুতে বিজ্ঞানীরা মহাকর্ষীয় বিকিরণের প্রভাব জানার জন্য বিভিন্ন প্রাণীকে মহাকাশে পাঠাতেন। আর তাই মানুষের আগেই মহাকাশে ভ্রমণ করেছে বেশ কয়েকটি প্রাণী। ১৯৫৭ সালে লাইকা নামের একটি কুকুরকে মহাকাশে পাঠায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম প্রাণী লাইকা মহাকাশে থাকা অবস্থাতেই মারা যায়।
১৯৪৮ সালে দ্বিতীয় আলবার্ট নামে একটি রিসাস ম্যাকাক প্রজাতির বানরকে মহাকাশে পাঠানোর চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলবার্টকে নিয়ে মহাকাশ যান ৮৩ মাইল উচ্চতায় পৌঁছালেও উড্ডয়নের সময় মারা যায় বানরটি।
১৯৫৮ সালে গর্ডো নামের একটি কাঠবিড়ালি রকেটে চড়ে মহাকাশ প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী থেকে ৬০০ মাইল উচ্চতায় যায় গর্ডো। তবে ফ্লোটেশন যন্ত্রের কারিগরি ত্রুটির কারণে গর্ডো মহাকাশে মারা যায়।
১৯৬০ সালে বেলকা আর স্ট্রেলকা নামের আরও দুটি কুকুর মহাকাশে পাঠায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। মহাকাশ ভ্রমণ শেষে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসে কুকুরগুলো। বেলকা আর স্ট্রেলকা মহাকাশে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে নিরাপদে ফিরে আসা প্রথম প্রাণী। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ছাড়া মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে বেঁচে থাকতে পারবে কি না, তা জানতে কুকুরগুলোকে মহাকাশে পাঠানো হয়।
১৯৬১ সালে হ্যাম নামের এক শিম্পাঞ্জিকে মহাকাশে পাঠানো হয়। মার্কারি-রেডস্টোন রকেটে করে হ্যাম কক্ষপথে যাওয়ার পর শিম্পাঞ্জিটি প্রায় সাড়ে ছয় মিনিট ওজনহীন অবস্থায় ছিল। তবে মহাকাশ যানে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায় উড্ডয়নের ১৬ দশমিক ৫ মিনিটের মধ্যে পৃথিবীতে ফিরে আসে শিম্পাঞ্জিটি।
১৯৬২ সালে মহাকাশে সফলভাবে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে এনোস নামের আরেকটি শিম্পাঞ্জি। মার্কারি প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এনোসকে মহাকাশে পাঠানো হয়।
১৯৬৮ সালে দুটি কাছিম, মাছি এবং পোকা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে। এই প্রাণীগুলোই চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা প্রথম প্রাণী। তবে শুধু কাছিমগুলো নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
১৯৭৩ সালে মহাকাশে মাকড়সার জালের প্রভাব সম্পর্কে গবেষণার জন্য দুটি মাকড়সাকে মহাকাশে পাঠানো হয়।
১৯৭০ সালে চাঁদে পাঠানো হয় ব্যাঙ।