চাকরিতে টিকে থাকতে হলে কর্মীদের এআই শেখার নির্দেশ মাইক্রোসফটের

চলতি বছরে একাধিক ধাপে ১৫ হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। শুধু তা–ই নয়, ছাঁটাইয়ের পর প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করা অন্য কর্মীদের বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছে, এআই শেখা এখন আর বিকল্প নয়, প্রতিটি কর্মীর জন্য তা আবশ্যিক। কর্মীদের দক্ষতা মূল্যায়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
মাইক্রোসফটের বিক্রয় বিভাগের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট জাডসন অলথফ জানিয়েছেন, ‘আমরা মাইক্রোসফটকে পরবর্তী প্রজন্মের এআই প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের লক্ষ্য, প্রতিটি যন্ত্র ও প্রতিটি কাজে কো-পাইলট প্রযুক্তিকে স্থাপন করা।’
মাইক্রোসফটের ডেভেলপার ডিভিশনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়া লিউসন জানিয়েছেন, এআই ব্যবহারে কর্মীরা কতটা পারদর্শী, তা ভবিষ্যতে কর্মমূল্যায়নের মূল উপাদান হয়ে উঠবে। এআই প্রযুক্তিতে দক্ষতা এখন আর বাড়তি সুবিধা নয়, এটি প্রতিটি দায়িত্ব ও পদের কেন্দ্রীয় অংশ।
মাইক্রোসফট এআই অবকাঠামো নির্মাণে চলতি অর্থবছরে প্রায় ৮ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করার পর মাইক্রোসফট প্রাতিষ্ঠানিক খরচ কমানোর পাশাপাশি কর্মী কাঠামোয় পরিবর্তন আনছে। আর তাই জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত চারবার বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাই করেছে মাইক্রোসফট। সর্বশেষ এ মাসের শুরুতে প্রায় ৯ হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চাকরি যাওয়া কর্মীদের বড় অংশই এক্সবক্স গেমিং বিভাগ ও বিক্রয় দলের সদস্য।
বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মীদের বার্ষিক দক্ষতা পর্যালোচনায় এআই–নির্ভর কিছু সূচক (মেট্রিকস) যুক্ত করার পরিকল্পনা করেছে মাইক্রোসফট। পরবর্তী অর্থবছর থেকে এটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হতে পারে। শুধু তা–ই নয়, সংস্থাটির একাধিক বিভাগ এআই–নির্ভর কর্মী কাঠামো গঠনে কাজ শুরু করেছে।