সার্চে এখন সোশ্যাল মিডিয়া এগিয়ে

সারাবিশ্বে তথ্য-উপাত্তের খোঁজে গুগল নয়, সার্চের প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপরই এখন ভরসা করছেন জেন জি প্রজন্মের অনেকে।
২০১৬ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় জেন জি ছিল ৪০ শতাংশ। সংখ্যাটা বেড়ে ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। সুযোগটা পূর্ণমাত্রায় ব্যবহার করেছে জনপ্রিয় সবকটি সোশ্যাল মিডিয়া।
জেন জি পছন্দ করে এমন ধরনের পরিষেবা নিজস্ব সাইটে প্রমোশনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে সব সোশ্যাল মিডিয়া। সমীক্ষা বলছে, শুধু জেন জি নয়, বয়সে নবীন ও প্রবীণরা গুগলের পরিবর্তে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় সার্চের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন।
পরিবর্তন কেন
ডিজিটাল ট্রেন্ড গবেষকরা বলছেন, সবার ধারণায় (কনসেপ্ট) গুগল নাম যেমনটা ভরসার জায়গা ছিল, তা এখন অনেকাংশে সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণে। পরিবর্তনটা প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত ঘটেছে।
অনেকের অভিমত, গুগলে সার্চ করলে যেসব ফল দৃশ্যমান হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় তার থেকে ভালো ফল মিলছে।
কারণ ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ফেসবুক বা টিকটক যেহেতু গ্রাহক সরাসরি পোস্ট করেন, তাই ব্যক্তিতথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকাংশেই এসব সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। জেন জি প্রজন্মের এখনকার ‘ট্রেন্ড’ তেমন ধারণাই প্রকাশ করছে। সময়ের প্রচলিত (জেন জি) প্রবণতা বিবেচনা করে গুগল আপাতদৃষ্টিতে কিছুটা পেছনে পড়ে গেলেও সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নয়।
সময়ের প্রয়োজনে অভূতপূর্ব কয়েকটি নতুন ফিচার ডেভেলপ করে গুগল আবারও সরব। শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেতে দুর্দান্ত আর উদগ্রীব। মাল্টি সার্চ ফ্যাসিলিটি রয়েছে শীর্ষ আলোচনায়। যার অর্থ হলো ছবি ও টেক্সট দুটো দিয়েই সার্চ। টেক্সট সার্চ সাধারণ প্রয়াস। হালসময়ে গুগল এখন বেশি জোর দিয়েছে ইমেজ সার্চের কৌশলে নতুনত্ব আনতে। ছবি আপলোড করে সার্চ করলে গুগলের এআই ওই ছবির (ইমেজ) সংশ্লিষ্ট সব তথ্য দৃশ্যমান করে। সার্চ ইঞ্জিনের লড়াইটা এখন বেশ উপভোগ্য।
সার্চে কেন এআই
সুতরাং কৌশলগত প্রতিযোগিতা থেকে যেমন ফলই সামনে আসুক না কেন, তা কিন্তু ডিজিটাল অনুসন্ধানীদের কাজের গতি আর তথ্য-উপাত্তের খোঁজকে সমৃদ্ধ করবে।আগের তুলনায় তথ্য-উপাত্ত খোঁজ এখন আরও বিষয়ভিত্তিক হওয়ায় এআই সার্চ জগতে প্রথাগত পরিবর্তন এনেছে বলে মন্তব্য করেছেন কনটেন্ট গবেষকরা।