মার্কিন ভিসা পেলেও ঢুকতে লাগবে ১৫ হাজার ডলার! বাংলাদেশ কি তালিকায়?

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে, মালাউই ও জাম্বিয়া থেকে আসা পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের ভিসা পেতে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ডলার ফেরতযোগ্য জামানত (ভিসা বন্ড) জমা দিতে হবে। আগামী ২০ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এক বছরের পরীক্ষামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার উদ্দেশ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় অবস্থান কমানো।
পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, এই জামানত জমা দিলেই ভিসা অনুমোদন নিশ্চিত হবে না। ভ্রমণকারী নির্ধারিত সময়ের আগে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে, ভিসা ব্যবহার না করলে বা প্রবেশ বন্দরে ভিসা প্রত্যাখ্যাত হলে জামানতের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
এই সিদ্ধান্তের আগে যুক্তরাষ্ট্র ২৫০ ডলারের আলাদা একটি “ভিসা সততা ফি” চালু করার পরিকল্পনা করেছিল, যা ভিসার শর্ত পূরণ করলে ফেরত দেওয়া হবে। ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই জামানত সেইসব দেশের নাগরিকদের লক্ষ্য করে, যাদের ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় থাকার হার বেশি, পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাইয়ের সক্ষমতা নেই, অথবা যেখানে বাসিন্দা না হয়েও নাগরিকত্ব কেনা যায়।
মালাউই ও জাম্বিয়া এই জামানতের আওতায় পড়া একমাত্র দেশ, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আফ্রিকা বা বিশ্বে তাদের ভিসা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় থাকার হার সর্বোচ্চ নয়। কেন অন্যান্য উচ্চ হারের দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তা স্পষ্ট করেনি পররাষ্ট্র দফতর; কেবল জানিয়েছে, এই দুই দেশের নাগরিকরা “অনুমোদিত থাকার সময়সীমা অতিক্রম করেছে উল্লেখযোগ্য হারে।”
মালাউই মানবাধিকার কমিশনের প্রধান ও আইনজীবী হাবিবা ওসমান এই পদক্ষেপকে “অন্যায্য” এবং “সৎ ভ্রমণকারীদের জন্য গুরুতর আর্থিক বোঝা” বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, “মালাউইয়ের মতো দেশের জন্য এটি অমানবিক।” মালাউই সরকার এখনও এ বিষয়ে মন্তব্য করেনি। জাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুলাম্বো হাইমবে জানিয়েছেন, “অভ্যন্তরীণ আলোচনার” পর তিনি প্রতিক্রিয়া জানাবেন।
এই সিদ্ধান্ত আফ্রিকান দেশগুলোর উপর যুক্তরাষ্ট্রের বিস্তৃত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে এসেছে। দুই মাস আগে মহাদেশটির সাতটি দেশকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং আরও তিনটি দেশের ক্ষেত্রে আংশিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা পশ্চিম আফ্রিকার আরও কিছু দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা সম্প্রসারণের কথা বিবেচনা করছেন।