ইনশাআল্লাহ অতি শীঘ্রই আপনাদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হবে: তারেক

তিনি বলেন, আগামী বছর রমজানের আগে নির্বাচনে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ বাস্তবায়িত হবে, এরপরেও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘ইনশাআল্লাহ অতি শীঘ্রই আপনাদের সঙ্গে সামনামাননি দেখা হবে।’ আজ রোববার রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।
তারেক বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ অতি শীঘ্রই আপনাদের সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হবে। ইনশাআল্লাহ আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশের অধিকাংশ মানুষ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চায়। এই আস্থা-বিশ্বাস ধরে রাখার দায়িত্ব জনগণের না। এটা বিএনপির নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে মানুষের আস্থার মূল্যায়ন করে দেশকে পুনর্গঠন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী বছর রমজানের আগে নির্বাচনে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ বাস্তবায়িত হবে। এরপরেও অনেক চ্যালেঞ্জ আছে।’
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে তারেক বলেন, ‘স্বৈরাচার বিতাড়িত হয়েছে। এখন জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার মূল পন্থা হচ্ছে জনগণের ভোট প্রয়োগের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে জনগণ নির্ধারণ করবে কে দেশ পরিচালনা করবে, কে জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে। আমারা দেখছি অন্তর্বর্তী সরকার সেই পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত এক যুগেরও বেশি সময় বিএনপিসহ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলন অব্যহত রেখেছিল। বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন ও সহযোগিতায় গত বছর স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করেছি।’
আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনসহ প্রতিটি নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙেচুরে চুরমার করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। শুধু নির্বাচনী ব্যবস্থা না, বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনীতিকরণের মধ্য দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে, দেশের অর্থনীতে ধ্বংস করা হয়েছে, মেগা উন্নয়নের নামে মেগা দুর্নীতি হয়েছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দেশের মানুষের অর্থ-সম্পাদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচার ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য হাজার হাজার মানুষের উপর গুলি করেছে৷ দেড় মাসের ব্যবধানে দেড় হাজারের বেশি মানুষ হত্যা করেছে। ৩০ হাজারের বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে৷’
এর আগে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে হাতে মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন নেতা-কর্মীরা। পৌনে ৩টার দিকে জাতীয় ও দলীয় সংগীতের পরিবেশন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম ও মিজানুর রহমান মিনু। এরপর শোক প্রস্তাব শেষে বক্তব্য দেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সবশেষ ২০০৯ সালে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলন হয়েছিল। পরে কমিটি গঠন করা হয়। ২০২১ সালে কমিটি বিলুপ্ত করে ডিসেম্বরে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। চলতি বছরের মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত বিএনপির একটি পক্ষ আহ্বায়ক কমিটিসহ থানা ও ওয়ার্ড কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।