চীনের সমর্থন চান না ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট

যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেনের ত্রিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের আগে শর্ত রাখলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি। বৈঠকের আগে ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিয়শ্চতা চাচ্ছেন তিনি।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি কেবল তখনই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন যখন ভবিষ্যতে রাশিয়া আক্রমণ প্রতিরোধে কিয়েভের সুরক্ষার নিশ্চয়তা নিয়ে একমত হবে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতে চাই। আমাদের বুঝতে হবে কোন দেশ ঠিক কোন মুহূর্তে কী করতে প্রস্তুত থাকবে’। এএফপি।
জেলেনস্কি আরও ঘোষণা করেছেনতার দেশ একটি নতুন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। ‘ফ্ল্যামিঙ্গো’ নামের নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এটি ৩ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে, যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এটি বর্তমানে ইউক্রেনের সবচেয়ে সফল ক্ষেপণাস্ত্র। এরপর মস্কোর প্রতি বেইজিংয়ের কথিত সমর্থনের কথা উল্লেখ করে জেলেনস্কি আরও বলেন তিনি চান না যে চীন রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ভূমিকা পালন করুক।
এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক হয় আলাস্কায়। এরপর ইউরোপীয় নেতা ও জেলেনস্কির সঙ্গে হোয়াইট হাউজে বৈঠক করেন ট্রাম্প। এবার ত্রিপাক্ষীয় বৈঠকটি কোন দেশে হতে যাচ্ছে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা।
ধারণা করা হচ্ছে সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া অথবা তুরস্কে হতে পারে এই বৈঠক। তবে হাঙ্গেরিও জানিয়েছে তদের দেশ এই শান্তি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো বলেছেন, ‘বুদাপেস্ট যে কোনো শান্তি আলোচনা আয়োজন করতে প্রস্তুত। আমরা এ ধরনের শান্তি আলোচনার জন্য যথাযথ, ন্যায্য এবং নিরাপদ পরিস্থিতি প্রদান করব।’
অন্যদিকে শান্তি আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এক রাতেই ইউক্রেনে ছয় শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রুশ বাহিনী ৫৭৪টি ড্রোন এবং ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এতে কমপক্ষে একজন নিহত হয়েছে। বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট ৫৪৬টি ড্রোন এবং ৩১টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।