আজীবন নিষিদ্ধ হতে পারেন মার্কিন নাগরিকত্বের ভুয়া দাবিদার

অভিবাসীরা নিজেদেরকে মিথ্যাভাবে মার্কিন নাগরিক দাবি করলে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন বলে কড়া সতর্ক বার্তা দিয়েছে মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (ইউএসসিআইএস)।
ইউএসসিআইএস জানিয়েছে, তারা অভিবাসন ব্যবস্থাকে জালিয়াতি ও অপব্যবহার থেকে রক্ষায় ‘কঠোর স্ক্রিনিং ও যাচাই প্রক্রিয়া পুনঃপ্রবর্তন করছে।’
সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, যেসব অভিবাসী ভুয়া তথ্য বা প্রতারণামূলক কৌশল ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে অভিবাসন সুবিধা পেতে চান, তাদের কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
ইউএসসিআইএস নীতিমালার সংশোধিত নির্দেশনায় বিশেষভাবে ‘মার্কিন নাগরিকত্বের ভুয়া দাবি’ সম্পর্কিত অনুপোযুক্ততার ভিত্তির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস এ নিয়ম চালু করেছিল নাগরিকত্বের মর্যাদা সুরক্ষার জন্য। ১৯৯৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে কোনো অভিবাসী যদি অভিবাসন বা আইনি সুবিধা পাওয়ার জন্য মিথ্যাভাবে নাগরিকত্ব দাবি করেন, তাহলে তাকে স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অযোগ্য বলে গণ্য করা হয়—সাধারণত যেখানে কোনো ছাড়ের সুযোগ থাকে না।
ইউএসসিআইএস জানিয়েছে, কংগ্রেস কেবল সীমিত ব্যতিক্রম রেখেছে—যাদের বয়স ১৬ বছরের আগে স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ছিল।
সংস্থার মতে, নতুন নীতিতে ‘একজন কর্মকর্তাকে অনুপোযুক্ততা নির্ধারণে যেসব ধাপ অনুসরণ করতে হবে’ তা বর্ণনা করা হয়েছে এবং ভুয়া দাবির মামলায় কোনো কোনো বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে। এ নিয়মগুলো এখন থেকে সব চলমান ও ভবিষ্যতের আবেদনেই প্রযোজ্য হবে।
ইউএসসিআইএস জানায়, এ পদক্ষেপের লক্ষ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করাও। সংস্থাটি জানায়, অভিবাসন জালিয়াতির পরিণতি সম্পর্কে অভিবাসী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আমরা সক্রিয়ভাবে সচেতনতা বাড়াচ্ছি।
এছাড়া সংস্থাটি ২০১৯ সালে ঝাং এর মামলায় অভিবাসন আপিল বোর্ডের (বিআই) একটি রায়ের কথা উল্লেখ করেছে, যেখানে বলা হয়েছিল যে ভুয়া নাগরিকত্ব দাবির জন্য অভিবাসনগত পরিণতি হতে পারে, এমনকি সেটি সচেতনভাবে না করলেও। ইউএসসিআইএস ২০২০ সালে সেই রায় নীতিমালায় যুক্ত করে স্পষ্ট করেছিল যে, মার্কিন নাগরিকত্বের ভুয়া দাবির জন্য একজন অভিবাসীকে অযোগ্য ঘোষণায় ইচ্ছাকৃত উদ্দেশ্য প্রমাণের প্রয়োজন নেই।