বিরল প্রজাতির হাঙরের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা

বিশাল নীল সমুদ্রে ডুব দিলেই দেখা মেলে হাঙরসহ বিভিন্ন রহস্যময় প্রাণীর। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেকটা নীরবেই বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর সংখ্যা কমছে। প্রায় বিলুপ্তির মুখেও রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। সম্প্রতি অর্ধশত বছর ধরে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সেইলব্যাক হাউন্ডশার্ক হাঙরের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিরল প্রজাতির হাঙরটির সন্ধান পাওয়া গেছে পাপুয়া নিউগিনির সমুদ্রসীমায়।
১৯৭৩ সালে বিরল প্রজাতির সেইলব্যাক হাউন্ডশার্ক হাঙরের সর্বশেষ সন্ধান মিলেছিল। এরপর দীর্ঘ পাঁচ দশক ধরে এই প্রজাতির হাঙরের কোনো অস্তিত্ব ছিল না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২০২০ সালের মার্চে পাপুয়া নিউগিনির গোগল নদীর কাছে স্থানীয় জেলেরা অদ্ভুত চেহারার কয়েকটি হাঙর ধরেন। একটি হাঙরের পিঠের পাখনা ছিল অন্য হাঙরের চেয়ে অনেক লম্বা। সেই হাঙরের ছবি দেখে নড়েচড়ে বসেন বিজ্ঞানীরা।
ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের বিজ্ঞানীরা সেসব ছবি পরীক্ষা করে প্রায় ৫০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সেইলব্যাক হাউন্ডশার্কের খোঁজ পান। এর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ছয়টি সেইলব্যাক হাউন্ডশার্কের তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচটি স্ত্রী ও একটি পুরুষ। বিরল প্রজাতির এই হাঙর অতিরিক্ত মাছ শিকারের কারণে বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে মনে করা হয়। এই প্রজাতির হাঙরের কোনো নিকটাত্মীয় এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা যায়, বিরল প্রজাতির হাঙরগুলো বিশেষ বিবর্তনের ধারার প্রতিনিধিত্ব করে। আর তাই বিজ্ঞানীরা এই প্রজাতির হাঙরেে জীবনযাত্রা, প্রজনন ও সংখ্যা জানতে চেষ্টা করছেন। এই প্রজাতির হাঙর সম্ভবত খুবই সীমিত এলাকায় বসবাস করে বলে এত দিন মানুষের জানার বাইরে ছিল। জার্নাল অব ফিশ বায়োলজিতে এই হাঙরের তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।