টুইন টাওয়ারে হামলা: এক বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন হামলাকারীরা

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৯ ব্যক্তি চারটি উড়োজাহাজ ছিনতাই করে আত্মঘাতী হামলা চালান যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি স্থানে। দুটি আঘাত হানে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ারে। তৃতীয় উড়োজাহাজ ভার্জিনিয়ায় মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনে ও চতুর্থটি পেনসিলভানিয়ায় আছড়ে পড়ে। ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারান প্রায় ৩ হাজার মানুষ। ‘নাইন-ইলেভেন’ নামে পরিচিত এ হামলার ২৪তম বার্ষিকী ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। সেদিন কী ঘটেছিল আর বিশ্বজুড়েই–বা এর কী প্রভাব পড়েছিল, আরেকবার দেখে নেওয়া যাক।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, স্বাভাবিক জীবনের ব্যস্ততায় ডুবে ছিল নিউইয়র্ক শহর। অফিসগামী মানুষ, স্কুলগামী শিশু, ব্যস্ত রাস্তাঘাট ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান—সবই ছিল প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর। সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে আমেরিকান এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ১১ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নর্থ টাওয়ারে আঘাত হানে। প্রথমে অনেকেই ভাবলেন দুর্ঘটনা। কিন্তু ৯টা ৩ মিনিটে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ১৭৫ সাউথ টাওয়ারে আঘাত হানলে পুরো শহর এবং গোটা বিশ্ব বুঝতে পারে—এটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা।
নর্থ টাওয়ারে আঘাতের পর দেখা যায় আগুনের ঊর্ধ্বমুখী স্তম্ভ এবং ধুলা ভর করে শহর। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মানুষ লাফিয়ে পড়ছিলেন, রাস্তায় ধুলায় ঢাকা অবস্থায় হাঁটছিলেন এবং চিৎকার করছিলেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশু, অফিস কর্মী, পর্যটক এবং প্রথম সাড়াদানকারী কর্মীরা ছিলেন।
হামলার সময় ফেডারেল জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা এবং নিউইয়র্ক ফায়ার সার্ভিস বিভাগ জরুরি যোগাযোগব্যবস্থার মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে শহরের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে সতর্ক করে। তবে যোগাযোগ চ্যানেলের জটিলতার কারণে অনেকটা বিলম্বিত হয় উদ্ধারকাজ।
হামলার পরিকল্পনা এতটাই গোপন ছিল যে স্থানীয় বিমান প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কর্মীরা কিছুই সন্দেহ করেননি। পরিকল্পনাকারীরা মার্কিন সমাজে মিশে গিয়েছিলেন, বিভিন্ন ব্যবসায় কাজ করেছিলেন এবং তাঁদের উপস্থিতি সাধারণ মানুষের মতোই মনে হতো।
হামলার প্রেক্ষাপট
আল-কায়েদা গড়ে উঠেছিল ১৯৮০-এর দশকে আফগানিস্তানে। তৎকালীন সোভিয়েত সশস্ত্র বাহিনী ওই সময় আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালাচ্ছিল। ১৯৯০-এর দশকে আল–কায়েদা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে হামলা চালানো শুরু করে। ১৯৯৩ সালে প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বোমা হামলা চালায় সংগঠনটি। ওই হামলায় ছয়জন নিহত ও হাজারের বেশি আহত হন। পরের বছরগুলোতে তারা বিভিন্ন দেশে হোটেল, কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠান ও জাহাজে হামলা চালায়। ৯/১১ ছিল তাদের সবচেয়ে বড় ও সুপরিকল্পিত হামলা।
হামলার আগে আল-কায়েদার কিছু সদস্য মার্কিন নাগরিক বা গ্রিন কার্ডধারী ছিলেন, যা তাঁদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ এবং ফ্লাইট পরিচালনার স্কুলে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ দেয়। ৯/১১ হামলার উদ্দেশ্য ছিল—যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক নীতি, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি ও ইসরায়েলের প্রতি সমর্থনের প্রতিশোধ নেওয়া। পরিকল্পনাকারীরা দীর্ঘ এক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেছিলেন, ফ্লাইট পরিচালনার দক্ষতা অর্জন ও লক্ষ্য চিহ্নিত করেছিলেন।
হামলার পরিকল্পনা এতটাই গোপন ছিল যে স্থানীয় বিমান প্রশিক্ষণকেন্দ্রের কর্মীরা কিছুই সন্দেহ করেননি। পরিকল্পনাকারীরা মার্কিন সমাজে মিশে গিয়েছিলেন, বিভিন্ন ব্যবসায় কাজ করেছিলেন এবং তাঁদের উপস্থিতি সাধারণ মানুষের মতোই মনে হতো।

হামলার পর জ্বলছে টুইন টাওয়ারফাইল ছবি: রয়টার্স
বিমান ছিনতাই ও নিরাপত্তাব্যবস্থার ব্যর্থতা
হামলার দিন চারটি বিমান ছিনতাই করা হয়। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র ও বক্স-কাটার ব্যবহার করে উড়োজাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেন। প্রতিটি উড়োজাহাজ দীর্ঘ যাত্রার জন্য পূর্ণ জ্বালানি নিয়ে উড়ছিল, যা হামলার সময় বিস্ফোরণকে মারাত্মক করে তোলে।
যাত্রীদের মধ্যে যাঁরা হামলা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছিলেন, বিশেষভাবে ইউনাইটেড ফ্লাইট ৯৩-এর যাত্রীরা ককপিটে প্রবেশের চেষ্টা চালান। ফলে উড়োজাহাজটি পশ্চিম পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে বিধ্বস্ত হয় এবং সম্ভাব্য লক্ষ্য হোয়াইট হাউস বা ক্যাপিটল সুরক্ষিত থাকে।
ফ্লাইটগুলোর নিরাপত্তাব্যবস্থার ফাঁক, সীমিত স্ক্যানিং ও গোয়েন্দা তথ্যের সমন্বয়ের অভাব হামলা সফল করার সুযোগ দেয়। এ ঘটনায় গঠিত কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে, যদি গোয়েন্দা তথ্য যথাযথভাবে ব্যবহার করা হতো, হামলা আটকানো সম্ভব হতো।
নিরাপত্তাব্যবস্থার ব্যর্থতার বিষয় বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে ৯/১১-এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজের নিরাপত্তায় সীমিত বডি স্ক্যানার ও অস্ত্র শনাক্তকরণের প্রাথমিক ব্যবস্থা ছিল। এ ছাড়া, ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা তথ্য বিনিময় না করার কারণে হামলার সম্ভাব্য সতর্কতা কার্যকর হয়নি।
৯/১১ হামলায় ২ হাজার ৯৭৬ জনের মতো নিহত হন। আহত হন ৬ হাজারের বেশি। উদ্ধারকাজে প্রাণ হারান ৩৪৩ ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, ৬০ পুলিশ সদস্য এবং বেশ কয়েকজন প্রথম জরুরি বিভাগের কর্মী। বিষাক্ত ধুলা ও ধ্বংসাবশেষের কারণে ক্যানসারে ও শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় বহু মানুষ আক্রান্ত হন।
হামলার সময় ও ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা
৮টা ৪৬ মিনিটে ফ্লাইট ১১ নর্থ টাওয়ারে আঘাত হানে। ৯টা ৩ মিনিটে ফ্লাইট ১৭৫ সাউথ টাওয়ারে আঘাত হানে। ৯টা ৩৭ মিনিটে ফ্লাইট ৭৭ পেন্টাগনে আঘাত হানে। ৯টা ৫৯ মিনিটে সাউথ টাওয়ার ধসে পড়ে। আর ১০টা ৩ মিনিটে ফ্লাইট ৯৩ পেনসিলভানিয়ায় বিধ্বস্ত হয়। ১০টা ২৮ মিনিটে ধসে পড়ে নর্থ টাওয়ার।
ধ্বংসের মাত্রা উড়োজাহাজের ওজন, জ্বালানির পরিমাণ, স্থাপত্য কাঠামো ও বিস্ফোরণকালে সৃষ্ট তাপের ওপর নির্ভর করেছিল। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের প্রতিটি টাওয়ার ২০০০–৩০০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার শিকার হয়। এগুলোর স্টিলের অবকাঠামোও ছিল দুর্বল। দুই কারণে টাওয়ার দুটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটায় উদ্ধারকাজ হয়ে পড়ে জটিল।
নাইন-ইলেভেনের হামলায় ১৯ জন হামলাকারীসহ ২ হাজার ৯৯৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে শুধু ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চালানো দুটি বিমান হামলায় মারা যান ২ হাজার ৭৬৩ জন। আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করতে গিয়ে ৩৪৩ ফায়ার সার্ভিসের কর্মী এবং ৬০ পুলিশ সদস্যও নিহত হন। হামলায় সম্মিলিতভাবে ৭৮টি দেশের মানুষ নিহত হন।
আবার, ছড়িয়ে পড়া বিষাক্ত ধুলা এবং ধ্বংসাবশেষের কারণে ক্যানসারে ও শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় বহু মানুষ আক্রান্ত হন। নিউইয়র্ক সিটির স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য, গ্রাউন্ড জিরোতে কাজ করা ফার্স্ট রেসপন্ডারদের মধ্যে প্রায় ১০ হাজার জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন।
গ্রাউন্ড জিরো এখন শোক ও স্মৃতির প্রতীক। স্মৃতিসৌধের নকশায় ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনের অংশ, নিহত ব্যক্তিদের নাম ও শিল্পকর্ম রয়েছে। প্রতিবছর এখানে স্মরণসভা হয়।

টুইন টাওয়ারে ৯/১১ হামলাফাইল ছবি: রয়টার্স
‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’
হামলার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ তথাকথিত ‘ওয়ার অন টেরর’ বা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা দেন। আফগানিস্তানে ‘অপারেশন এনডিউরিং ফ্রিডম’ শুরু হয় ৭ অক্টোবর ২০০১।
যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযানে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা হারালেও যুদ্ধ চলতে থাকে। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন বাহিনী যুদ্ধ শুরু করে ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র’ থাকার অজুহাতে। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলোতে ও সীমান্তে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর করা হয়। গ্রহণ করা হয় প্যাট্রিয়ট অ্যাক্ট। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি ও নাগরিকদের ওপর নজরদারির নিয়ম জোরদার হয়।
আন্তর্জাতিক প্রভাব ও আর্থিক ক্ষতি
নাইন-ইলেভেনের প্রভাব শুধু যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেই সীমিত থাকেনি। মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত তালেবান ২০২১ সালে আবারও আফগানিস্তানে শাসনক্ষমতায় ফিরে আসে। পশ্চিমা–সমর্থিত দুর্নীতিবাজ আশরাফ গনি সরকারকে নজিরবিহীন আক্রমণের মাধ্যমে হটিয়ে দেয় তারা।
এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে ইরাক ও সিরিয়ায় অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। ন্যাটো ও জাতিসংঘ যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন দেয় ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযানে, গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নেয় এবং সামরিক সহায়তা প্রদান করে। বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় রেখে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা জোরদার করে। ৯/১১-এর পর প্রায় ৭০টিরও বেশি দেশ সন্ত্রাসবিরোধী আইন শক্তিশালী করে এবং সীমান্তে নজরদারি বাড়ায়।
হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে পতন, বিমা শিল্পে ক্ষতি, বিমান ও পর্যটন খাতে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। নিউইয়র্ক সিটির অবকাঠামোগত ক্ষতি ছাড়িয়ে যায় ৬০ বিলিয়ন (৬ হাজার কোটি) ডলার। গ্রাউন্ড জিরো থেকে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতেই খরচ হয় ৭৫০ মিলিয়ন (৭৫ কোটি) ডলার। ক্ষতিপূরণ তহবিল থেকে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিতরণ করা হয়। প্রথম তিন মাসে নিউইয়র্ক সিটিতে চাকরি হারান প্রায় ১ লাখ ৪৩ হাজার জন।
ক্ষয়ক্ষতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হিসেবে নিউইয়র্ক ও বিশ্ব অর্থনীতিতে নিরাপত্তা খাতে বড় বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
ওসামা বিন লাদেন হত্যা
আল–কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেন আফগানিস্তান–পাকিস্তান সীমান্তে প্রায় ১০ বছর আত্মগোপন করে ছিলেন। ২০১১ সালে মার্কিন নেভি সিলস অ্যাবোটাবাদে এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে। তাঁকে হত্যা যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের প্রতীক ধরা হলেও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রবণতা বন্ধ হয়নি। আল-কায়েদাও বিভিন্ন দেশে নামে–বেনামে সক্রিয় আছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকে সংগঠনটির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন।
ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর আল–কায়েদা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক তহবিল ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশে কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে বেড়েছে সাইবার সন্ত্রাসী কার্যক্রমও।

হামলার পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় ধসে পড়ে টুইন টাওয়ারফাইল ছবি: রয়টার্স
৯/১১ শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, পুরো বিশ্বকেই বদলে দিয়েছে—হামলার ২৪ বছর পরও সেটি পরিষ্কার। এটি প্রমাণ করে যে সন্ত্রাস মোকাবিলায় শুধু সামরিক শক্তি যথেষ্ট নয়; রাজনৈতিক সমাধান, সামাজিক ন্যায়বিচার, বৈষম্যহীন বিশ্ব ব্যবস্থাই তা দীর্ঘ মেয়াদে প্রতিরোধের চাবিকাঠি।
গোয়েন্দা ব্যর্থতা, প্রশাসনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও মানবিক ক্ষতি—সবকিছু বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, ৯/১১ আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। বৈশ্বিক সহযোগিতা, প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার ও নিরাপত্তা নীতির উন্নয়ন ছাড়া সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে স্থায়ী প্রতিরোধ সম্ভব নয়।