Bangladesh

রপ্তানির ৯ বিলিয়ন ডলার আসেনি ‘রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায়’

ঢাকা: আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫ বিলিয়ন রপ্তানি করে ৪৬ বিলিয়ন ডলার দেশে এনেছে। বাকি ৯ বিলিয়ন ডলার দেশে আসেনি। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে বিপুল এ অর্থ দেশে আসেনি বলে মনে করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আগামী মুদ্রানীতি নিয়ে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে মতবিনিময় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ কথা বলেন। বৈঠকের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া বিভিন্ন নীতি ব্যাখ্যা করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনায় অংশ নিয়ে জাহিদ হোসেন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।

এ ছাড়া তিনি ঋণ সুদহার ক্রমান্বয়ে বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমন্বয়েরও পরামর্শ দেন। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণপূর্বক তা সংরক্ষণের নীতি নেওয়ার পরামর্শও দেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতোমধ্যে নীতি সুদহার, একক বিনিময় হার, অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত করার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি ভবিষ্যতে সময়োপযোগী নীতি উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়টি ড. জাহিদ হোসেনকে অবহিত করা হয়।  

রপ্তানি আয় দেশে না আনার পেছনে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের ডলারের বিপরীতে বেশি টাকা পাওয়ার প্রত্যাশাও কাজ করেছে বলে মত দেন ড. জাহিদ হোসেন।  

তিনি বলেন, ডলারের বিনিময় হার যতদূর সম্ভব বাজারের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। এটি করা গেলে ব্যবসায়ীরা যেমন দেশে রপ্তানি আয় নিয়ে আসবেন, পাশাপাশি প্রবাসীরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাবেন। এটা করা সম্ভব হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়বে।  

পাশাপাশি সুদ হার নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংক যে পদ্ধতি অনুসরণ করছে, এটাও কিছু শিথিল করার পরামর্শ দেন এই অর্থনীতিবিদ।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button