Bangladesh

স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই ৭৫টিতে শতাধিক আসনে কেন্দ্রে ভোটার আনাই চ্যালেঞ্জ

অর্ধশতাধিক আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারছেন না * প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটার বাড়ায় : বিশ্লেষক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠে আছেন ১৯০৮ প্রার্থী। এর মধ্যে ২৭ দলের আছেন ১৫১৭ প্রার্থী। বিএনপিবিহীন এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দলেরই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ৩০০ আসনের অন্তত ২২৫টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৯১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এদের মধ্যে বর্তমান সংসদের এমপি, সাবেক এমপি ও মন্ত্রিসভার সাবেক সদস্য, জেলা ও উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আছেন। এছাড়া সংগঠনের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারাও শামিল স্বতন্ত্র দৌড়ে। এর বাইরে জাতীয় পার্টির কয়েকজন, বিএনপির বহিষ্কৃত দু-একজন এবং কোনো দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, এমন কয়েকজন স্বতন্ত্র হিসাবে ভোটের মাঠে আছেন। এত প্রার্থীর পরও এক-চতুর্থাংশ আসনে নেই কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী। এগুলোসহ আরও কিছু যোগ করে শতাধিক আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার আনাকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মাঠের হিসাবে দেখা যাচ্ছে-৩০০ আসনের মধ্যে অন্তত ৭৫টিতে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। এসব আসনের দু-চারটি ছাড়া বাকিগুলোকে অন্যান্য দলের প্রার্থীরাও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারছে না। আবার প্রায় অর্ধশত আসন আছে যেখানে প্রার্থী থাকলেও তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় খুব বেশি সুবিধা করতে পারবে না। এসব আসনেও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভবনা কম। ফলে সব মিলিয়ে অন্তত শতাধিক আসনে নির্বাচন অনেকটাই আমেজহীন। এসব আসনে ভোটারদের ভোট নিয়ে আগ্রহও কম। ফলে এ আসনগুলোতে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনি আমেজ ধরে রাখা এবং সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলে ভোটার কেন্দ্রে আসতে চায় না। তারা মনে করে যে আছে সে জিতে যাবে অথবা ভাবে আমার প্রার্থী তো নেই কেন্দ্রে গিয়ে কাকে ভোট দেব। এসব বিষয় মাথায় রেখেই এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি, ভোটগ্রহণের হার বাড়ানো, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট করাসহ নানা কারণে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ছাড়া দেওয়া হচ্ছে। ধরে নেওয়া হচ্ছে এরাই কেন্দ্রে ভোটার আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কিন্তু এক-চতুর্থাংশ আসনে স্বতন্ত্র শূন্য হওয়ায় এসব আসনের ভোটকেন্দ্রে কিভাবে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো যাবে তা নিয়ে চিন্তিত সংশ্লিষ্টরা।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন-নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ না হলে ভোটারদের আগ্রহ থাকে না। ফলে আওয়ামী লীগের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ তারা কত ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আনতে পারে। তবে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা মনে করেন-এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে। এ বিষয়ে রোববার সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা দুনিয়ার মতো আমাদের এখানেও নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে ভোটারের স্ট্যান্ডার্ড উপস্থিতি হবে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে তুলনা করলে হতাশ হতে হবে না, ভালো উপস্থিতি হবে।

জানতে চাইলে সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান বলেন, নির্বাচন যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় তখনই মানুষ ভোট দিতে যায়। তা না হলে ভোটারদের আগ্রহ থাকে না। তারা মনে করে-আমার ক্যান্ডিডেট তো জিতেই যাবে, তাহলে আর ভোট দিতে গিয়ে লাভ কি! ফলে আওয়ামী লীগের জন্য মূল চ্যালেঞ্জ তারা কত ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আনতে পারে। অন্যদিকে আবার বিএনপি ও বিরোধীরা ভোট বর্জনের ডাক দিয়েছে। তারাও চেষ্টা করছে ভোটাররা যেন ভোট দিতে না আসে। ফলে বিষয়টা হয়েছে- একপক্ষের ভোট বর্জনের চ্যালেঞ্জ। আরেক পক্ষের ভোটকেন্দ্রে ভোটার নিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ। এই দুই চ্যালেঞ্জের মুখে দুই শক্তি।

আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বিএনপির নেতাকর্মীরা যেভাবে বাধা দিয়েছিলেন, এবার তাদের সেই সক্ষমতা নেই। এবার অবরোধে সহিংসতাও সেই সময়ের তুলনায় কম বলে মনে করছেন তারা। এছাড়া এবার নির্বাচনে ভোটার বাড়ানোর কৌশল হিসাবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঠে রেখেছে দলটি। শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে আসন সমঝোতার বেলাও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়টি মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। কারণ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নির্বাচনে বিতর্কমুক্ত রাখতে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতির লক্ষ্য ক্ষতাসীনদের।

অন্যদিকে ৩০০ আসনের মধ্যে ৭৫টি আসনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। রংপুর বিভাগে ৩৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে স্বতন্ত্র নেই। সেগুলো হলো-পঞ্চগড় ২, ঠাকুরগাঁও ১, রংপুর ৪ ও কুড়িগ্রাম ১। রাজশাহী বিভাগের ৩৯ আসনের নয়টিতে স্বতন্ত্র নেই। সেগুলো হলো-বগুড়া ৫, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৩, রাজশাহী ২ ও ৩, সিরাজগঞ্জ ১, ২ ও ৪; পাবনা ২ ও ৫। খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনের পাঁচটিতে স্বতন্ত্র নেই। সেগুলো হলো-মাগুরা ২, নড়াইল ২, বাগেরহাট ১, খুলনা ৫, সাতক্ষীরা ৩। বরিশাল বিভাগের ২১টি আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র নেই সাতটিতে। সেগুলো হলো-বরগুনা ২, পটুয়াখালী ১ ও ২; ভোলা ১ ও ২; বরিশাল ১, ঝালকাঠি ২।

ঢাকা বিভাগের ৭০টি আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র নেই ১৫টিতে। আসনগুলো হলো-টাঙ্গাইল ৮, মানিকগঞ্জ ৩, ঢাকা ১, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ ও ১৫; নারায়ণগঞ্জ ৪ ও ৫; গোপালগঞ্জ ৩, মাদারীপুর ১ ও ২; শরীয়তপুর ৩। ময়মনসিংহ বিভাগের ২৪টি আসনের মধ্যে স্বতন্ত্র নেই ছয়টিতে। সেগুলো হলো-জামালপুর ১ ও ৩; ময়মনসিংহ ৫ ও ১০; নেত্রকোনা ৪, কিশোরগঞ্জ ৪। সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে ছয়টিতে স্বতন্ত্র নেই। আসনগুলো হলো-সিলেট ১, ২ ও ৪; মৌলভীবাজার ৩ ও ৪; হবিগঞ্জ ৩। চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৮টি আসনের মধ্যে ২০টিতে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। আসনগুলো হলো-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪ ও ৬; কুমিল্লা ১, ৩, ৭, ৯ ও ১০; চাঁদপুর ১, নোয়াখালী ৫ ও ৬; চট্টগ্রাম ৪, ৭, ৯ ও ১৩, কক্সবাজার ২, ৩ ও ৪ এবং খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য আসনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই।

রংপুর-৪ (পীরগাছা ও কাউনিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এই আসনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। তবে জাতীয় পার্টি ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আরও প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে মাঠে আছেন। তবুও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মনে করেন এবারের নির্বাচনে তাদের বড় চ্যালেঞ্জ কেন্দ্রে ভোটার আনা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রংপুরের পীরগাছায় নির্বাচনি এক পথসভায় তিনি বলেছেন, এবার যখন আপার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে দেখা করতে গেছি তখন তিনি আমাকে বলেছেন, বিএনপি ভোটে এলো না, তাই বলে ভোট তো কম পাওয়া চলবে না। নৌকার ভোট তো পাইতে হবে, ভোটারের উপস্থিতি দেখাতে হবে। সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে, বিএনপি না আসার পরেও কি পরিমাণ ভোট আমাদের পড়ে সেদিকে।

মাগুরা-১ আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। তার আসনে জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বিএনএফ ও তৃণমূল বিএনপির আরও চারজন প্রার্থী রয়েছেন। তবে নেই কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী। দেশের তারকা ক্রিকেটারের সামনেও মূল চ্যালেঞ্জ নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ তৈরি করা। প্রতীক বরাদ্দের পর তিনি বলেছিলেন, আমাদের সবারই চেষ্টা থাকবে, যাতে আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারি। একই সঙ্গে চেষ্টা থাকবে, যত বেশি ভোটার আনা যায়। কারণ, নিকট অতীতের নির্বাচনগুলোতে হয়তো ওই রকম ভোটার টার্নআউট হয়নি। এর ফলে এবার এটাই বড় চ্যালেঞ্জ যে আমরা কত ভোটারের আগ্রহ জোগাতে পারি।

এদিকে ঢাকা মহানগরের ১৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ৬টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন ১৬ জন। এর মধ্যে তিনটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে মাঠে রয়েছেন। তারা নিয়মিত প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন। সারা দেশে প্রায় অর্ধশতাধিক আসন আছে, যেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কাগজে-কলমে থাকলেও প্রকৃতপক্ষে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেনি। আসনগুলোর বেশিরভাগ কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৮৯ প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ১২০ জন। তারা ভোট পেয়েছিলেন ৫.২ শতাংশ। এ নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছিল ৫৩.৫৪ শতাংশ। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় নির্বাচনে ২ হাজার ১২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ৪২২ জন। তারা পেয়েছিলেন মোট ভোটের ১০.১০ শতাংশ। মোট ভোট পড়েছিল ৫১.২৮ শতাংশ। ১৯৮৬ সালে বিএনপির বর্জনের মধ্যে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ৪৫৩ জন। প্রদত্ত ভোটের ১.৭৩ শতাংশ পায় তারা। নির্বাচনে মোট ভোটার উপস্থিতির হার ছিল ৫৯.৩৮ শতাংশ। ১৯৮৮ সালে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের বর্জনের মধ্যে চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি ভোট পান। সেই নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৯১৯ জন, যার মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ২১২ জন। তারা পান প্রদত্ত ভোটের ১৩.৫০ শতাংশ। মোট ভোট পড়ে ৫৪.৯৩ শতাশং।

১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ২ হাজার ৭৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ৪২৪ জন, তারা ভোট পান ৪.৩৯ শতাংশ। ভোট পড়ে ৫৫.৫৪ শতাংশ। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের বর্জনের মধ্যে ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৪৫০ জন। ভোট পড়ে ৭৫.৬০ শতাংশ। ১৯৯৬ সালের জুনের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ২ হাজার ৫৭৪ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ২৮৪ জন। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সেই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে ভোট পড়ে ১.০৬ শতাংশ। ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ভোট, দুটোই আবার বাড়ে। সেই বছর ১ হাজার ৯৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিল ৪৮৬ জন, তারা পান প্রদত্ত ভোটের ৪.০৬ শতাংশ। নির্বাচনে ভোট পড়ে ৭৪.৬০ শতাংশ।

২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে ১ হাজার ৫৬৭ প্রার্থীর মধ্যে ১৫১ জন ছিলেন স্বতন্ত্র, যারা পান প্রদত্ত ভোটের ২.৯৮ শতাংশ। নির্বাচনে ভোট পড়ে ৮৭.১৩ শতাংশ। বিএনপি-জামায়াত জোটের বর্জনে ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে একজন প্রার্থী ছিল বলে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বাকি ১৪৭ আসনে প্রার্থী ছিলেন ৩৯০ জন, এর মধ্যে স্বতন্ত্র ছিলেন ১০৪ জন। সেই নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫.০৬ শতাংশই পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা আসন জেতেন ১৬টি। ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৪০.০৪ শতাংশ। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১২৮ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮০.৪১ শতাংশ। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ১ হাজার ৮৬১ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পান ৩ আসনে। তবে তাদেরও দলীয় পরিচয় ছিল।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Articles

Back to top button
Situs Toto
toto togel
slot toto
Toto slot gacor
bacan4d
totoslotgacor
bacan4d
bacan4d slot gacor
bacan4d login
Bacan4d
bacan4d
bacan4d bonus
Toto gacor
Toto gacor
slot gacor hari ini
bacan4d toto
bacan4d toto
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d link alternatif
slot gacor bett 200
situs toto
SITUS TOTO
toto 4d
Slot Toto
Slot Toto
Slot Toto
Situs toto
Slot toto
Slot Dana
Slot Dana
Judi Bola
Judi Bola
Slot Gacor
toto slot
bacan4d toto
bacan4d akun demo slot
bacantogel
bacan4d
bacan4d
slot gacor
bacantoto
bacan4d
Bacan4d Login
slot demo
Bacan4d Toto
toto gacor
Slot Gacor
Live Draw
Live Draw Hk
toto slot
Bacan4d slot gacor
toto macau
toto slot
Toto Gacor
slot dana
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
Slot Dp Pulsa
Bacan4d Login
toto slot
Bacansports/a>
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
bacansport
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
slot gacor
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
toto slot
slot demo
toto slot gacor
bacansports Slot toto toto slot Slot toto Slot dana Slot toto slot maxwin slot maxwin toto slot toto slot slot dana
Toto Bola
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
bacan4d
ts77casino
situs toto
slot pulsa
bacansports
situs toto
slot toto
situs toto
slot toto
situs toto
toto slot
bacansport
bacansport
bacansports
slot toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
xx1toto
situs toto
situs toto
xx1toto
toto slot
xx1toto
xx1toto
slot qriss
Slot Toto
slot dana
situs toto
slot toto
slot dana
Situs Toto Slot Gacor
xx1toto
xx1toto
bacan4d
xx1toto
xx1toto
toto slot
situs toto slot gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
toto gacor
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
bacan4d
situs toto
Slot Toto
Toto Slot
Slot Gacor
Slot Gacor
Slot Gacor
slot toto
Toto Slot
slot gacor
situs togel
Toto Slot
xx1toto
bacansport
bacan4d
toto slot
situs toto