বাজারে টাকার প্রবাহ সীমিত
বিভিন্ন সময়ের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের সঙ্গে এবারের নির্বাচন উপলক্ষ্যে অনেক সূচকই মিলছে না। অন্যান্য সময়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে বাজারে টাকার প্রবাহ বেড়ে যেত। এবার বাড়ছে খুবই সীমিত হারে।
অতীতে নির্বাচনের আগে ব্যাংক থেকে নগদ টাকা বেরিয়ে মানুষের হাতে চলে আসত বেশি। এবার সেটি হচ্ছে না। উলটো মানুষের হাতে থাকা টাকা ব্যাংকে চলে যাচ্ছে। অবশ্য চড়া মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণ করছে।
এ কারণেও টাকার প্রবাহ কমছে। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময়ও মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি ও অর্থনৈতিক সংকট থাকলেও টাকার প্রবাহ কমেনি। বরং বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে অর্থনীতির এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, নির্বাচনের আগে সরকার যেমন প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে বাড়তি খরচ করে, তেমনি প্রার্থী, দল ও প্রার্থীর নিটকজন বা কর্মীরাও বাড়তি অর্থ খরচ করে। এ কারণে মুদ্রানীতি যাই হোক না কেন টাকার প্রবাহ বাড়বেই। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না।
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা বাইরে আসার কথা। সেটিও হচ্ছে না। উলটো টাকা ব্যাংকে চলে যাচ্ছে বেশি। এবারের নির্বাচনটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে না। যে কারণে অর্থনীতির সূচকগুলো অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের সঙ্গে মিলছে না। নির্বাচনে বেশিরভাগ প্রার্থীই কালোটাকা ব্যবহার করেন। যে কারণে ব্যাংকের লেনদেনে খুব বেশি প্রভাব পড়ে না।
এবারের নির্বাচনে প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। প্রার্থীর এ অর্থ খরচ করতে যে কোনো ব্যাংকে একটি হিসাব খুলতে হবে। ওই হিসাবে টাকা জমা করে খরচ করতে হবে। নির্বাচনের পর ওই হিসাবের জমা ও খরচের বিবরণী নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীরা ব্যাংক থেকে তুলে টাকা খরচ খুবই কম করেন। বেশিরভাগ অর্থই ব্যাংকবহিভূর্ত খাত থেকে আসে। অর্থনীতিতে কালোটাকার মাত্রা বেশি থাকায় টাকার প্রবাহের সঠিক হিসাব বের করা কঠিন।
তবে নির্বাচনের সময় স্বাভাবিকভাবেই টাকার প্রবাহ বাড়ে। অর্থনৈতিক মন্দা, ডলার সংকট ও সব দল অংশ না নেওয়াতে এবার টাকার প্রবাহের