ড, ইউনূনের কারাদণ্ড বাংলাদেশের মানবাধিকারের অবরুদ্ধ দশার প্রতীক
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বাংলাদেশি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকারের স্বরূপ প্রকাশ পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেয়া হয়েছে। গত সোমবার ৮৩ বছর বয়সী ড. ইউনূস ও তার তিন সহকর্মীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ২০০৬ সালের শ্রম আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করে তাদেরকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ওই মন্তব্য করেছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ভেরিফায়েড এক্স একাউন্টে প্রতিক্রিয়ায় লিখেছে, ড. ইউনূসকে দোষী সাব্যস্ত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকারের চিত্র ফুটে উঠেছে। এখানে স্বাধীনতাকে ধ্বংস করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সমালোচনাকে পিষে মেরেছে। বাংলাদেশে যেখানে শ্রম অধিকার বিষয়ক অন্য মামলাগুলো আদালতে শম্বুকগতিতে চলে, তার তুলনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা সম্পন্ন হয়েছে অস্বাভাবিক গতিতে। অ্যামনেস্টি আরো লিখেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটানোর জন্য শ্রম আইনের লঙ্ঘন এবং বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক আইনের লঙ্ঘন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বাস করে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে প্রাথমিকভাবে ফৌজদারি প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছে তা দেওয়ানি ও প্রশাসনিক বিষয়।
ড. ইউনূসকে কারাদণ্ডের মধ্য দিয়ে নগ্নভাবে শ্রম আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে নগ্নভাবে লংঘন করা হয়েছে। একই সঙ্গে এটা হলো তার কাজ ও ভিন্নমতের কারণে এক রকম রাজনৈতিক প্রতিশোধ।