ভরা মৌসুমেও চড়া সবজি বাড়তি ডিম-মুরগির দামও
![](https://miprobashi.com/wp-content/uploads/2024/01/image-428780-1704511071.jpg)
বছরের এ সময়ে সবজির ব্যাপক সরবরাহ সত্তে¡ও বাজার এখনো চড়া। শুক্রবার রাজধানীর বাজারে দু-একটি সবজি ছাড়া বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকার ওপরে। চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে মুরগি ও ডিমের বাজারেও। অন্যদিকে রমজানকে সামনে রেখে নতুন বছরে শুরুতেই বেড়েছে ছোলা ও ডালের দাম।
শুক্রবার রাজধানীর বাজারে সবজির কোনো কমতি না থাকলেও দাম স্বাভাবিকের থেকে বেশি। এদিন জাতভেদে নতুন আলু বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে। শিমের কেজি বিক্রি হয়েছে ৭০, ৮০ ও ৯০ টাকা দরে, সরু বেগুন ৮০ টাকা এবং গোল বেগুন বিক্রি হয়েছে ১শ টাকার ওপরে। অন্যদিকে ৩ জাতের কাঁচা-পাকা টমেটোর ব্যাপক সরবরাহ দেখা গেলেও প্রতি কেজি পাকা টমেটো বিক্রি হয়েছে ১শ টাকা এবং কাঁচা টমেটো ৮০ টাকা দরে। এমনকি মিষ্টিকুমড়ার কেজি বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকার ওপরে। একই অবস্থা অন্যান্য সবজির দামে। সে হিসেবে গতবছরের তুলনায় এসব সবজিতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে প্রায় ৩ গুণ বেশি অর্থ।
এদিন বাজারে সবচেয়ে কম দামে বিক্রীত সবজি শালগম, কাঁচা পেপে ও মুলার কেজি ছিল ৪০ টাকার ওপরে। এছাড়া মাঝারি আকারের ফুলকপি ও বাঁধাকপির কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকা, লাউয়ের পিস আকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটির কেজি ৮০ টাকা, করলার কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা ও মরিচের কেজি ১২০ টাকা দরে।
এদিকে রমজান আসতে এখনো দুই মাসের বেশি বাকি কিন্তু এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে ছোলার দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডালজাতীয় খাদ্য পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। একই সঙ্গে ছোলার ডাল, মুগডাল, অ্যাংকরসহ প্রায় সব ধরনের ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ছোলার কেজি ছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকা যা কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে এদিন বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে।
এছাড়া মুগডালের কেজি দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা যা এদিন বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা দরে। একই সঙ্গে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে অ্যাংকর ডাল বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকার ওপরে।
বাজারে গত সপ্তাহ থেকে ব্রয়লার মুরগির দরও কিছুটা বাড়তি। প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা দরে। আর ডিমের দর গত সপ্তারে তুলনায় ডজনে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে। যা পাড়া-মহল্লায় বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা দরে।
তবে গত সপ্তাহের দামে অপরিবতির্ত রয়েছে মাছের বাজার। এদিন মাছবাজারে মাঝারি আকারের রুইয়ের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বড় কাতল ৪শ’ টাকা, বড় পাঙ্গাশ ২শ’ টাকা, চাষের কই (ছোট) ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া আড়াইশ টাকা ও শিং মাছ ৬শ’ টাকা, শোল মাছ ৮শ’ টাকা, পাবদা ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, ট্যাংরা মাছের কেজি আকারভেদে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা, মলা মাছ ৫শ’ টাকা, বাইলা ১ হাজার টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪শ’ টাকা, মাঝারি আকারে বোয়াল ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, গুড়ামাছ ৩শ’ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫শ’ টাকা, গলদা ৭শ’ এবং বাগদা ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা ও রূপচাঁদা ৯শ’ টাকা দরে।