পানিবন্দি মানুষ, বাঁধ ধসে উৎকণ্ঠা
দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি
জানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে বাড়ছে তিস্তার পানি
লালমনিরহাটে তিস্তা ও সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি আবারও বাড়ছে। তিস্তার পানি গতকাল বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তা অববাহিকায় তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সিরাজগঞ্জে কাজিপুর বাঁধে ফের ধস নেমেছে। স্পার বাঁধের ১৫০ মিটার যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে।
লালমনিরহাট : উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি আবারও বাড়ছে। তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে গতকাল তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে চরের মানুষ তৃতীয় দফা পানিবন্দি হলো। জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, পানি আরও বাড়তে পারে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের কাজিপুর মেঘাই স্পার বাঁধে চারদিনের ব্যবধানে ফের ধস নেমেছে। মঙ্গলবার রাতে প্রায় ১৫০ মিটার এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আতঙ্কে রয়েছে বাঁধ এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়রা বলছেন, উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন পয়েন্টে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে কাজিপুর থানাসহ ওই এলাকার বহু স্থাপনা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার বলেন, বাঁধ ধসের খবর পেয়ে সেখানে জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে।