আজ রাতেই আংশিক চন্দ্রগ্রহণ, সঙ্গে হার্ভেস্ট মুন
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মহাকাশে ঘটছে একটি বিশেষ ঘটনা—হার্ভেস্ট মুন এবং এর সঙ্গে একটি আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। এই দুটি মহাকাশীয় ঘটনা একসঙ্গে দেখা যাওয়া বিরল। তাই মহাকাশপ্রেমীদের জন্য এক উত্তেজনাপূর্ণ দিন আজ। এই ধরনের ঘটনাগুলি পৃথিবী থেকে খালি চোখেই দেখা যায়, তাই এটি মিস করা সত্যিই দুঃখজনক হবে।
হার্ভেস্ট মুন হলো সেপ্টেম্বরের পূর্ণিমা, যা সাধারণত কৃষিকাজের মৌসুমের সময় আসে। এই সময় চাঁদ ওঠে সূর্যাস্তের ঠিক পরে এবং তার আলো রাতে মাঠে কাজ করা কৃষকদের জন্য বিশেষভাবে সহায়ক হয়। হার্ভেস্ট মুনের সময় চাঁদ অন্য সময়ের তুলনায় বেশি বড় এবং উজ্জ্বল দেখা যায়, কারণ এটি দিগন্তের কাছাকাছি অবস্থান করে।
আজকের বিশেষ ঘটনা হলো, হার্ভেস্ট মুনের সঙ্গে একটি আংশিক চন্দ্রগ্রহণও ঘটছে।
চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য এক সরলরেখায় অবস্থান করে, ফলে পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ে। আংশিক চন্দ্রগ্রহণের ক্ষেত্রে, চাঁদের একটি অংশ পৃথিবীর ছায়ায় ঢেকে যায়, যার ফলে চাঁদ আংশিকভাবে অন্ধকার হয়ে আসে।
এই আংশিক চন্দ্রগ্রহণ পৃথিবীর বেশ কিছু অঞ্চলে খালি চোখে দেখা যাবে। আজকের পূর্ণিমার সঙ্গে মিলিত হয়ে, আকাশে চাঁদের এই পরিবর্তন অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হবে। যদি আবহাওয়া পরিষ্কার থাকে, তাহলে চাঁদের এই অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করতে কোনো বিশেষ যন্ত্রের প্রয়োজন হবে না।
আজকের আংশিক চন্দ্রগ্রহণটি পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যাবে। বিশেষ করে উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়ার কিছু অংশে এই আংশিক চন্দ্রগ্রহণ খালি চোখে দেখা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগোসহ বিভিন্ন শহর থেকে এটি পরিষ্কারভাবে দেখা যাবে। একই সঙ্গে লন্ডন, প্যারিস, কায়রো এবং রিও ডি জেনেইরো থেকেও এটি দেখা যাবে।
দুঃখজনক ব্যাপার হলো, আজকের আংশিক চন্দ্রগ্রহণটি ঢাকা বা বাংলাদেশ কোনো জায়গা থেকে দেখা যাবে না। কারণ চাঁদ গ্রহণের সময় বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ থাকবে না, অর্থাৎ চাঁদ দিগন্তের নিচে থাকবে। যদিও গ্রহণটি ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়ার কিছু অংশে দৃশ্যমান হবে, তবে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ অঞ্চলে এটি দৃশ্যমান হবে না
হার্ভেস্ট মুন নিজেই একটি বিশেষ মহাকাশ ঘটনা, কারণ এটি বছরের শেষের দিকে আসে এবং কৃষকদের জন্য ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে আংশিক চন্দ্রগ্রহণের মিলিত হওয়ায়, এই বছর এটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আকাশপ্রেমীরা রাতের আকাশে এই দুই মহাজাগতিক ঘটনার একত্রিত সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।